আপনি কি মাত্র ১ মিনিটেই মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? আজকের এই আর্টিকেলটিতে একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খোলা যায় ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় কি এবং সত্যি কি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা যায় নাকি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে এবং ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

তাই আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান কিংবা একটি সুন্দর প্রফেশনাল চ্যানেল তৈরি করতে চান তাহলে আর্টিকেলটি সম্পন্ন দেখুন আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার আগামী জীবন গুলো বদলে দিতে পারে। আসুন আমরা দেখে আসি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খোলা যায়? মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম কি এবং ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় গুলো কি।

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন মোবাইল দিয়ে কি ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়? হ্যাঁ আপনি মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন এবং একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন এখন মোবাইল দিয়ে অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ঘরে বসে আয় করছে। শুধুমাত্র একটি ইউটিউব চ্যানেল আয় করার জন্য যথেষ্ট নয় এটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সেখানে নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিক করতে হবে এবং আপনাকে কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে।

তবে প্রথমে প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে মোবাইল দিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা যায় তাই তো?? নিচে দেখুন স্টেপ বাই স্টেপ মোবাইল দিয়ে আপনি কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন সেই সকল নিয়মাবলী নিচে দেওয়া রয়েছে। নিচের নিয়ম গুলো অনুসরণ করে ঝটপট মোবাইল দিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ফেলুন তারপরে আমরা আলোচনা করব কিভাবে সেই চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায়।

তবে youtube চ্যানেল তৈরি করার আগে আপনাকে জানতে হবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার জন্য কি কি প্রয়োজন? নিচে দেখুন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের তালিকার দেওয়া রয়েছে।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার জন্য কি কি প্রয়োজন

• youtube চ্যানেল তৈরি করার জন্য একটি জিমেইল একাউন্ট প্রয়োজন
• youtube চ্যানেল তৈরি করার জন্য একটি নাম্বার এর প্রয়োজন যেই নাম্বারটি সক্রিয় রয়েছে
• সাথে মোবাইল ফোন এবং ডাটা কানেকশন অথবা ওয়াইফাই কানেকশন থাকা আবশ্যক

উপরের এই কয়েকটি উপাদান না থাকলে আপনি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন না সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল জিমেইল একাউন্ট আপনার একটি ভেরিফাইড জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে ভেরিফাইড বলতে বোঝায় যে জিমেইল অ্যাকাউন্টটি আপনার নাম্বার এর সাথে যুক্ত রয়েছে এবং আপনার নাম্বার দিয়ে ভেরিফাই করা রয়েছে এমন একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন আপনার যদি জিমেইল একাউন্ট না থেকে থাকে তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করে একটি জিমেইল একাউন্ট দ্রুত তৈরি করে ফেলুন।

আরো পড়ুন: এখানে ক্লিক করে ১ মিনিটেই জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেলুন

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার নিয়ম

নিচে যা যা নিয়ম দেওয়া রয়েছে সব সঠিকভাবে সম্পন্ন করুন।

• মোবাইল ফোন থেকে ইউটিউব ওপেন করুন।
• ইউটিউবে নিচে ডান সাইডে দেখুন এমন একটি অপশন দেওয়া রয়েছে।

এখানে অলরেডি আমার একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা রয়েছে এই জন্য subscription এর পাশে you দেওয়া রয়েছে অর্থাৎ এটি হল আমার অ্যাকাউন্ট। ইউটিউব চ্যানেল নেই আপনি নতুন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে চাচ্ছেন তাই you এর এখানে আপনার কোন একাউন্ট শো করবে না আপনি তার উপর ক্লিক করুন।

আপনার মোবাইলে এমন একটি + প্লাস আইকন দেখতে পারবেন তার উপরে ক্লিক করুন।

প্লাস আইকনে ক্লিক করলে জিমেইল একাউন্ট অপশন আসবে এখান থেকে সরাসরি জিমেইল একাউন্ট এর সাহায্যে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।

এই জিমেইল থেকে এর আগে কখনো চ্যানেল তৈরি করা হয়নি এই জন্য নিচে no channel দেওয়া রয়েছে।

এখানে আমাদের আগে থেকেই একই জিমেইল একাউন্ট তৈরি করা রয়েছে। এই অ্যাকাউন্ট এর উপরে ক্লিক করে এখন youtube চ্যানেল তৈরি করতে হবে। একাউন্টের উপরে ক্লিক করুন।

এবার আপনার জিমেইল একাউন্টের জন্য একটি সুন্দর প্রফেশনাল নাম বেছে নিন যেখানে YouTube channel name দেওয়া রয়েছে সেখানে আপনাদের ইউটিউব চ্যানেলের নাম বসান।

তারপরে choose a username এখানে আপনার ইউটিউব একাউন্টের জন্য এটি ইউজার নেম বেছে নিন যেমন মনে করুন আপনার ইউটিউব একাউন্টের নাম arif Yt তাহলে আপনার ইউজারনেম দিতে পারেন arifyt71।

আপনি চাইলে এটি আপনার ইচ্ছা অনুসারেও বসাতে পারেন তবে ইউজারনেমে কিন্তু কোন ধরনের স্পেস ব্যবহার করা যাবে না স্পেস ছাড়া ইউজারনেম তৈরি করতে হবে।

তারপর আপনার চ্যানেলের জন্য একটি ছবি বেছে নিন। উপরে দেখুন edit picture নামক একটি অপশন রয়েছে তার উপর ক্লিক করে আপনার গ্যালারি থেকে একটি ভালো ছবি বেঁচে আপনার চ্যানেলের জন্য চুজ করুন।

তারপর নিচের সেভ বাটনে ক্লিক করুন। আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে গেছে। এবার আবারো একইভাবে নিচে দেখুন ডান সাইডে আপনি you বাটন দেখতে পারবেন এবং সেখানে আপনি যে পিকচারটি বেছে নিয়েছিলেন সে পিকচারটি শো হবে তার উপরে ক্লিক করুন।

দেখুন আমাদের চ্যানেল তৈরি হয়ে গেছে। আমরা যে নাম দিয়েছিলাম YouTube channel name সেই নামটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এবার আপনি যদি চান যে না আমার নামটা ভালো লাগছে না আমি নামটা পরিবর্তন করব সেই ক্ষেত্রে নিচে দেখুন edit channel নামক একটি অপশন দেওয়া রয়েছে।

তার উপরে ক্লিক করুন। আর আগে যখন আমরা চ্যানেল তৈরি করেছিলাম না তখন জিমেইল একাউন্টের নিচে লেখা ছিল no channel অর্থাৎ তখন আমাদের কোন চ্যানেল ছিল না কিন্তু এখন আমাদের জিমেইল একাউন্টের নিচে লেখা রয়েছে no subscribers

অর্থাৎ আমাদের চ্যানেলে কোন সাবস্ক্রাইবার যেহেতু আমরা চ্যানেলটি এখনি বানিয়েছি তাই খরচ সাবস্ক্রাইবার নেই কিন্তু আপনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে থাকে ধীরে ধীরে আপনার সাবস্ক্রাইবারসের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে।

এবার যেহেতু আমরা এডিট করতে চাচ্ছি তাই এডিট চ্যানেল নামক বাটন এর উপর ক্লিক করুন।

এদের চ্যানেল নামক বাটন এর উপর চাপ দিলে আপনার সামনে এমন একটি পেজ ওপেন হয়ে যাবে যেহেতু আমরা কোন পিকচার সেট করিনি তাই এখানে কোনরকম পিকচার দেখা যাচ্ছে না কিন্তু আপনি আপনি চাইলে picture ব্যবহার করলে ওপরে ক্যামেরা অপশনে আপনার পিকচার দেখতে পারবেন।

এবার যারা জিজ্ঞাসা করেন যে কিভাবে একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করব তাদের উদ্দেশ্যে বলি প্রফেশনাল youtube চ্যানেল তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথম একটি প্রফেশনাল নেম প্রফেশনাল লোগো এবং প্রফেশনাল bio ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনার চ্যানেলটি প্রফেশনাল মনে হবে।

যদি চ্যানেলকে আরো কাস্টমাইজ করতে চান আরো সুন্দর করতে চান তাহলে সাইডে থাকা পেন্সিল বাটন এ ক্লিক করে ইউটিউব নাম পরিবর্তন করতে পারবেন চ্যানেলের লিংক পরিবর্তন করতে পারবেন এবং youtube ডেসক্রিপশন দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল সৌন্দর্যতা আরও বৃদ্ধি করতে পারবেন।

আশা করছি আপনি সফলভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। এবার যদি আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল দেখতে চান তাহলে আবারও নিচে থাকা you বাটন এর উপর চাপ দিন।

এই বাটন এর উপর চাপ দিলে আপনি আপনার চ্যানেল দেখতে পারবেন যেমন আমরা your channel এ ক্লিক করলাম।

কংগ্রাচুলেশন আপনি যদি এরকম একটি চ্যানেল দেখতে পান তাহলে আপনার চ্যানেল তৈরি হয়ে গেছে। এখানে manage videos বাটনে ক্লিক করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে থাকা ভিডিওগুলো ম্যানেজ করতে পারবেন এডিট করতে পারবেন। কত ফলোয়ার্স হয়েছে কিংবা কত সাবস্ক্রাইবার হয়েছে চেক করতে পারবেন।

যদি আপনি youtube চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে চান তাহলে মাঝখানে যে +বাটন দেওয়া রয়েছে তার ওপর ক্লিক করে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। শর্ট ভিডিও আপলোড করতে চাইলে সেখানে শর্ট বাটন দেওয়া রয়েছে। তারপরে ক্লিক করলেই শর্ট ভিডিও আপলোড হয়ে যাবে।

প্রিয় পাঠক বৃন্দাবন আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হয় ইউটিউব চ্যানেল মোবাইল দিয়ে তৈরি করার নিয়ম কি। খুব সহজে আপনারা উপরের এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন আমরাও আজকের এই আর্টিকেলে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করলাম এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

যারা জিজ্ঞাসা করেন যে প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খোলা যায় তাদের উদ্দেশ্যে নিজেদের কোন প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া রয়েছে আপনারা নিচে নিয়ম গুলো অনুসরণ করে আবার একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।

প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

ওপরে আমরা দেখলাম একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম তবে সেটি ছিল সাধারণ যদি আপনি একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে চান তাহলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন। প্রফেশনাল youtube চ্যানেলের সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি এজন্য এখন বেশিরভাগ মানুষ প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে চাই এই চ্যানেল সহজেই আপনি সাবস্ক্রাইবারসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবেন আপনার ভিডিওগুলো অন্যদের কাছে পৌঁছাবে এবং এটি আপনার চ্যানেলটি দ্রুত আগিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

আপনি ওপরে নিয়ম অনুসরণ করে যে চ্যানেল তৈরি করেছেন সেই চ্যানেল কি আপনার প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেলের রূপান্তরিত করতে পারবেন।

প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

প্রফেশনাল youtube চ্যানেল তৈরি করার জন্য আপনার মোবাইল থেকে কোন ব্রাউজার ওপেন করুন। যদি আপনার পিসি কিংবা ল্যাপটপ থাকে তাহলে পিসি অথবা ল্যাপটপে ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করুন আর যদি পিসি ল্যাপটপ না থাকে তাহলে ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করুন।।।

আরো পড়ুন: অনলাইনে mini task পূরণ করে ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে

ক্রম ব্রাউজারে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি লগইন করুন। ক্রোম ব্রাউজারে ইউটিউব চ্যানেল লগইন দেওয়ার নিয়ম হচ্ছে chrom browser ওপেন করে উপরে সার্চ বক্সে ইউটিউব সার্চ করুন।

নিচের সাদা সার্চ বক্সে যদি এভাবে আপনি ইউটিউব লিখে সার্চ করেন তাহলে কিন্তু সরাসরি ইউটিউব ওপেন হয়ে যাবে। ক্রোম ব্রাউজারে ইউটিউব ওপেন করতে হলে ওপরে তালা অপশনের পাশে যেখানে google.com লেখা রয়েছে। সেখানে লিখুন YouTube.com । তারপর ফোন থেকে এন্টার বাটনে চাপ দিন। তাহলে ক্রোম ব্রাউজার এই ইউটিউব ওপেন হয়ে যাবে।

এভাবে আপনার ক্রোম ব্রাউজারে ইউটিউব ওপেন হয়ে গেলে সাইডে যেখানে আমরা মার্ক করেছি সেখানে দেখুন একটি থ্রি ডট দেওয়া রয়েছে তার উপরে ক্লিক করুন। যদি ওপরে নিয়মে আপনি ক্রম ব্রাউজারে ইউটিউব ওপেন করতে না পারেন তাহলে ক্রোম ব্রাউজারে তালা অপশনের পাশে যে সার্চ ওলসন রয়েছে সেখানে m.Youtube.com সার্চ করুন। আশা করছি আপনি ক্রোম ব্রাউজারে ইউটিউব ওপেন করতে সক্ষম হয়েছেন এবার ফ্রি ডট এ ক্লিক করে নিচে স্ক্রল করে দেখুন দেখুন desktop site দেওয়া রয়েছে তার ওপরে ক্লিক করুন।

ডেক্সটপ সাইটে আপনার চ্যানেল দেখতে কিছুটা এরকম লাগবে।

ডান সাইডে দেখুন ওপরে যেখানে Y দাও রয়েছে সেখানে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ছবি দেওয়া থাকে যেহেতু আমরা কোন ছবি সেট করিনি এর জন্য Y আপনি যে ছবিটি সেভ করেছেন সেই ছবিটি এখানে দেখা যাবে। এই ছবির উপরে যদি ক্লিক করেন তাহলে আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে সেখানে নিচে দেখুন একটি সেটিং setting নামক অপশন দেওয়া রয়েছে।

setting অপশন থেকে আপনার চ্যানেল সংক্রান্ত সবকিছু আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এখন যেহেতু আমরা ইউটিউব চ্যানেলকে প্রফেশনাল চ্যানেলে রূপান্তরিত করব তাই সেটিং অপশন এ ক্লিক করুন।

সেটিং অপশনে প্রবেশ করে এই প্রথমে আপনি এমন একটি অপশন দেখতে পাবেন যেখানে লেখা থাকবে channel status and features। তার ওপরে ক্লিক করে আপনি আপনার চ্যানেলের সকল সেটিং বদলাতে পারবেন

এবং আপনার চ্যানেলকে আরো বেশি করতে পারবেন যার সাহায্যে আপনার চ্যানেলের ভিডিওগুলো দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছাবে। চ্যানেল স্ট্যাটাস এন্ড ফিচারস বাটন এর উপরে ক্লিক করুন।

এবার এডভান্স সেটিং এ ক্লিক করুন এডভান্স সেটিং এ দেখুন কয়েকটি অপশন দেওয়া রয়েছে প্রথম অপশন যেখানে আপনি দেখতে পারবেন ads linking দেওয়া রয়েছে চ্যানেলে যদি ভালো সাবস্ক্রাইবার থাকে তাহলে এডস এর সাথে লিংকিং করে ইনকাম এখন থেকেই শুরু করতে পারবেন।

এবার নিচে স্ক্রল করুন নিজে দেখুন অটোমেটিক ক্যাপশন নামক একটি অপশন দেওয়া রয়েছে। এর কাজ হল আপনার ভিডিও থেকে অটোমেটিক যে শব্দ কিংবা ক্যাপশন গুলো যুক্ত হয় এই ক্যাপশন গুলোকে রিমুভ করা। যদি আপনি না চান যে আপনার ভিডিওতে অটোমেটিক কোন ক্যাপশন কিংবা শব্দযুক্ত হোক তাহলে এখানে ক্লিক করুন।

তারপর নিচে আরও স্ক্রল করুন। নিচে আরও স্ক্রল করলে আপনি দেখতে পারবেন আরো একটি অপশন দেওয়া রয়েছে যেখানে থার্ড পার্টি অ্যাপ গুলোর সাথে আপনার চ্যানেলের ভিডিও লিংকিং করতে বলা হয়েছে এখানে অল থার্ড পার্টি অ্যাপসে ক্লিক করে সেভ করুন।এতে দ্রুত আপনার চ্যানেলের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে যাবে।

এবার এডভান্স সেটিং এর পরে বেসিক ইনফ নামক অপশন দেওয়া রয়েছে বেসিক ইনফোতে আপনি কোথায় থাকেন আপনার নিজ দেশ সিলেক্ট করুন তারপর ইউ আর যুক্ত করুন এই চ্যানেলে আপনি কোন কোন বিষয় সম্পর্কিত ভিডিও আপলোড করেন সেই সকল কিওয়ার্ড গুলো যুক্ত করুন।

আরো পড়ুন: কুইজ খেলুন পুরস্কার জিতুন এখনই

তাহলে মানুষ যখন এই সম্পর্কিত কোন পোস্ট youtube এ সার্চ করবে তখন আপনার চ্যানেলের ভিডিও সে সবার আগে দেখতে পাবে এভাবে আপনার চ্যানেল দ্রুত ছড়িয়ে যাবে এবং আপনি জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করবেন।

প্রিয় পাঠক বৃন্দাবন আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে প্রফেশনাল youtube চ্যানেল তৈরি করতে হয় প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল বাসায় বসে আপনি তৈরি করতে পারবেন উপরের এ পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে এসব কাজ শেষ হয়ে গেলে নিচের সেভ বাটনে ক্লিক করে ভিডিও আপলোড করা

শুরু করুন তাহলে দ্রুত আপনার ভিডিওগুলো অন্যের কাছে পৌঁছাবে এতে তারা আপনার ভিডিও দেখতে পারবে ভিডিওতে ভিউস এর সংখ্যা বাড়বে এবং সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বাড়তে শুরু করবেন।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দগণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করলাম ঘরে বসে মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে এবং কিভাবে আপনি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই জানেন না প্রফেশনাল youtube চ্যানেল তৈরি নিয়ম সম্পর্কে।

তাই আজকের এই আর্টিকেলটিতে মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করলাম সাথেই প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে তৈরি করা যায় সেই সকল বিষয়গুলো বিস্তারিত শেয়ার করলাম। আশা করছি সকলে বুঝতে পেরেছেন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি নিয়ম সম্পর্কে।

ওপরের এই নিয়মগুলো স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করলেই আপনারা ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন। যদি কোথাও কোনো সমস্যা হয় তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে।