পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম – ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন
পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম খুঁজছেন? কিন্তু বুঝতে পারছি না কিভাবে রুটিন বানাতে হয়? তাহলে এই পোস্টের সম্পূর্ণ দেখতে থাকুন। আজকের এই পোস্টে আমরা পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম, ১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন , দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন এবং ভাল ছাত্রদের পড়ার রুটিন কিভাবে তৈরি করতে হয় সেই বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ভালো স্টুডেন্ট সবসময় সে তার নিজের রুটিন অনুসারে কাজ করে। যেকোনো কাজ রুটিন অনুসারে করলে প্রতিটি কাজ সময় মত সম্পন্ন হয় সাথে সেখান থেকে আরো সময় বের করে আমরা অন্য কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি। তাহলে চলুন ঝটপট দেখে আসি পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন এবং ১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন , দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন।
ভূমিকাঃ
তুমি কি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাও? পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাইলে আমাদেরকে অবশ্যই একটি রুটিন বানাতে হবে। লক্ষ্য করে দেখবে তোমার ক্লাসে প্রতিটি ভালো স্টুডেন্টের অবশ্যই একটি পড়ার রুটিন রয়েছে যে পড়া রুটির অনুসারে পড়া সমস্ত সম্পন্ন করে। এভাবে তুমি যদি রুটিন তৈরি করো এবং সেই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করো তাহলে আশা করছি তুমি তোমার পরীক্ষা দিয়ে অনেক ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।
সারা বছর না পড়ে পরীক্ষার আগের এক মাস পরে কেউ কখনো ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে না তুমি যদি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই প্রথম থেকেই পড়তে হবে। অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা প্রথম সাত-আট মাস কিছুই পড়াশোনা করে না কিন্তু পরীক্ষার আগে টানা একমাস পড়াশোনা করে। এভাবে পড়াশোনা করে পরবর্তী সময়ে ভালো কিছু অর্জন করা কিন্তু কখনোই সম্ভব নয়।
তোমার যদি ইচ্ছা থাকে জীবনে ভালো কিছু অর্জন করার ভালো কোন পর্যায়ে দাঁড়ানোর তাহলে তোমাকে শুরু থেকেই একটু একটু করে পড়াশোনা করতে হবে। আজকের এই পোস্টে আমরা পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম সাথেই ভালো ছাত্রদের পড়া রুটি নিয়ে তোমাদের সাথে আলোচনা করব। নিচের এই রুটিন টি তোমাদের সবার জন্য উপকারী হতে চলেছে।
পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম / পরীক্ষার আগে পড়ার রুটিন
ওপরে আমরা আলোচনা করলাম অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা পরীক্ষার আগে এক মাস টানা পড়াশোনা করে এই ক্ষেত্রে তাদের জন্য নিচের এই রুটিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে নিজের এই রুটিনটি অনুসরণ করো সাথে অল্প করে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করার কিছু টিপস আজকে তোমাদের সাথে শেয়ার করব। তাই পোস্টটি মনোযোগসহ সম্পূর্ন দেখে থাকো এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে খাতায় নোট করে রাখো।
- সকাল ৬.০০ মিনিটে উঠতে হবে।
- তারপর ৬.০০ থেকে ৬.৩০ মিনিটের মধ্যে চা অথবা কফি খেয়ে পড়াশোনার জন্য রেডি হতে হবে।
- সকাল ৬.৩০ থেকে ৮.৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। (২ ঘন্টা)
- ৮:৩০ থেকে ৯:০০ টার মধ্যে স্কুল অথবা কলেজ ব্যাগ গুছিয়ে স্কুল অথবা কলেজে যেতে হবে।
- ২.০০ মিনিটে স্কুল অথবা কলেজ ছুটি হলে ২.৩০ এর মধ্যে বাসায় আসতে হবে।
- ৩.০০ থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। (২.৩০ মিনিট)
- ৫.৩৫ থেকে ৬.০০ পর্যন্ত বাইরে হাটাহাটি করতে হবে।
- ৬.১৫ থেকে ৯.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। (২.৪৫ মিনিট)
- ৯.০০ থেকে ৯.৩০ এর মধ্যে রাতের খাওয়াদাওয়া শেষ করতে হবে।
- ৯.৩০ থেকে আবার ১২.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।(২.৩০ মিনিট)
পড়াশোনায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাইলে এবং পরীক্ষার আগে তোমরা যারা এক টানা পড়াশোনা করতে যাচ্ছ তাদেরকে নিয়মিত সকালে উঠতে হবে। সকালের পড়াটি সবচেয়ে ভালো হয় সকালের যে কোন পড়া দ্রুত আমাদের বুঝতে সুবিধা হয় আবার সেই পড়াটি দীর্ঘদিন ব্রইনে সংরক্ষণ থাকে। এইজন্য নিয়মিত সকাল ৬.০০ মিনিটে ওঠার চেষ্টা করবেন। ৬.০০ মিনিটে উঠে এক কাপ কফি অথবা চা খেয়ে ৬.৩০ এর মধ্যে পড়তে বসতে হবে।
তারপর ৬ টা ৩০ মিনিট থেকে ৮.৩০ পর্যন্ত একটানা পড়াশোনা করতে হবে। প্রথমে রাতে কি কি পড়েছিলে সেই সমস্ত বিষয়গুলো সকালে একবার রিভাইজ দিবেন। তারপর ৮:৩০ মিনিটে পড়া সম্পন্ন করে নয়টার মধ্যে স্কুল অথবা কলেজের জন্য রেডি হতে হবে। তারপর ২.০০ কলেজ অথবা স্কুল ছুটি হলে ২.৩০ এর মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে। ২ টা ৩০ মিনিট থেকে তিনটা এর মধ্যে খাওয়া দাওয়া এবং বাকি সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে ৩.০০ তে পড়তে বসতে হবে।
তারপর তিনটা থেকে আবার ৫ টা ৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। তারপর ৫.৩০ মিনিট থেকে ২০ মিনিট বাইরে হাটাহাটি করতে হবে। ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করার পর ছয়টা থেকে আবার পড়তে বসতে হবে। অর্থাৎ এই সময়টা শুধুমাত্র তোমাদের পড়ার জন্য নিজেদের সমস্ত কাজকর্ম শেষ করে পড়তে হবে। ৬.১৫ মিনিট থেকে ৯ টা পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে তারপর ৯.৩০ এর মধ্যে রাতের খাবার দাবার,
সম্পন্ন করে আবার ৯ঃ৩০ থেকে রাত ১২.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। তুমি যদি এভাবে দুটির অনুসারে পড়াশোনা করো তাহলে আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি তোমার পরীক্ষা খুবই ভালো হবে। যেকোনো কাজ করার আগে এটি রুটিন তৈরি করলে প্রতিটি কাজ সময়মতো সম্পন্ন হয় এই জন্য চেষ্টা করবে এই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করার। এছাড়াও আমরা আজকের এই পোস্টে তোমাদের সাথে আলোচনা করব পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো। এবার চলো আমরা দেখে আসি ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন সম্পর্কে।
ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন
ভালো ছাত্ররা সবসময় তাদের পড়াশুনা অনুসারী সম্পন্ন করে কারণ রুটিন অনুসারে যে কোন কাজ করলে প্রতিটি কাজ সময় মতো সম্পন্ন হয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম গুলো শেয়ার করলাম উপরে নিয়ম অনুসারে একটি রুটিন তৈরি করে ফেলো। তুমি যদি ওপরের রুটিন অনুসারে পড়াশোনা কর অথবা কাজ করো তাহলে আশা করছি তুমি দ্রুত ভালো কিছু অর্জন করতে পারবে। এবার আমরা দেখব ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন।
ভালো ছাত্র প্রতিদিন সকালে উঠে
তুমি যদি সকালে না উঠো তাহলে তুমি কেমন ভালো ছাত্র? ভালো ছাত্ররা সবসময় সকালে উঠে। কারণ সকাল সময় টি পড়াশোনা করার জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময়ে এই সময় যেকোনো পরা দ্রুত আমরা বুঝতে পারি আবার সেই পড়াটি দীর্ঘদিন আমরা ব্রেনের সংরক্ষণ করে রাখতে পারি তুমি লক্ষ্য করে দেখবে যে পড়াটি তোমার পড়তে দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগে এসে পড়াতে তুমি সকালে এক ঘন্টার মধ্যে সম্পন্ন করতে পারছ। এর কারণ কি তুমি জানো?
আরো পড়ুন: গ্যাকোজিমা মলম এর উপকারিতা ২ দিনেই দাদ হবে দূর
এর কারণ হলো আমরা সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি তখন আমাদের মাইন্ড সম্পূর্ণ ফ্রেশ থাকে এই সময় যে কোন পড়া দ্রুত আমরা বুঝতে পারি এবং পড়াটি দীর্ঘদিন আমরা আমাদের ব্রেইনে ধরে রাখতে পারি। রাতে পড়াশোনা করলে সারাদিনের কি কি হয়েছে সে সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের ব্রেইনে স্টক থাকে এক্ষেত্রে যেকোনো পরা বুঝতে একটু সময় লাগে এবং পড়তেও সময় লাগে। এইজন্য এখন থেকে নিয়মিত সকালে উঠবে। ভালো ছাত্র প্রতিদিন সকালে উঠে।
সকালে উঠে ব্যায়াম করতে হবে
পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের শরীরকে ফিট এবং সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম করতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের ব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়াম করা এটি সম্পূর্ণ নিজের জন্য ব্যায়াম করলে তোমার শরীর ফিট থাকবে। সারাদিন এত কাজ কামের মধ্যে এক ঘন্টা নিজের জন্য তো বের করাই যায়। এইজন্য প্রতিদিন সকালে উঠে সবার আগে এক ঘন্টা ব্যায়াম করবে। বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত ব্যায়াম করলে স্মৃতিশক্তি অনেক উন্নত হয়।
সকালে উঠে পড়াশোনা
ভালো ছাত্ররা সবসময় সকালে উঠে পড়াশোনা করতে ভালোবাসে কারণ এই সময়টি পড়াশোনার জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট। এখনো পড়া সকালে পড়লে সেই পড়াটি দ্রুত আমরা বুঝতে পারি এবং পরাটিকে আমাদের ব্রেনে দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারি। এইজন্য ভালো ছাত্ররা সবসময় সকালে উঠে পড়াশোনা করে। তুমি যদি নিজে ভালা ছাত্রদের মধ্যে একজন হতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই সকালে উঠে পড়াশোনা করতে হবে। সকাল সময় টি পড়াশোনার জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট।
সকালের নাস্তা
সকালে উঠে পড়াশোনা শেষ করে নাস্তা করতে হবে। তোমরা অনেকেই রয়েছো যারা সকালে নাস্তা করতে চাও না তোমাদের এই অভ্যাসটি খুবই খারাপ সকালে উঠে নাস্তা না করলে ধীরে ধীরে তোমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে আর দুর্বল শরীর নিয়ে পড়াশোনা করা কিন্তু কোনভাবেই সম্ভব নয় এজন্য তোমরা যদি কঠোর পরিশ্রম করতে চাও পড়াশোনা করতে চাও এবং জীবনে ভালো পর্যায়ে যেয়ে ,দাঁড়াতে চাও তাহলে তোমাদেরকে অবশ্যই সকালের নাস্তা করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
কলেজ অথবা স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করা
ভালো ছাত্ররা সবসময় নিয়মিত ক্লাস করে। তুমি যদি নিয়মিত ক্লাস না করো তাহলে তুমি ভালো ছাত্র হতে পারবে না। তুমি যদি রেগুলার ক্লাস করো তাহলে তোমাকে বাইরে পড়ার প্রয়োজন হবে না স্কুলের পড়ার মাধ্যমে তুমি সহজেই সব পড়া বুঝতে পারবে । আবার স্কুল থেকে স্যার অনেক সাজেশন দিয়ে থাকে তাদের এই সাজেশন এর মাধ্যমে তুমি অল্প পরেও পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। এইজন্য স্কুল অথবা কলেজের নিয়মিত ক্লাস করতে হবে।
দিনে ৮ ঘন্টা পড়াশোনা
ভালো স্টুডেন্ট প্রায় দিনে ৭-৮ ঘন্টা পড়াশোনা করে। তুমি যদি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাও এবং একজন ভালো স্টুডেন্ট হতে চাও তাহলে তোমাকে দিনে ৭-৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে। ভালোভাবে পড়াশোনা করলে এই পড়াশোনা সারাজীবন তোমার কাজে আসবে। এখন তোমার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আমি কিভাবে দিনে ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করব? তুমি যদি দিনে ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতে চাও তাহলে তোমাকে সকালে উঠতে হবে। অনেকেই রয়েছে যারা রাত জেগে পড়াশোনা করতে ভালোবাসো।
এক্ষেত্রে আমি তোমাদেরকে বলবো রাত জেগে পড়াশোনা না করে তোমরা চেষ্টা করো সকালে উঠে পড়াশোনা করার। সকালে উঠে পড়াশোনা করলে যেকোনো পড়া দ্রুত মুখস্ত হয় বুঝতে পারা যায় আবার পড়াকে দীর্ঘদিন ব্রেনে সংরক্ষণ থাকে। এইজন্য প্রতিদিন সকালে উঠবে এবং সকালে উঠে এক কাপ চা অথবা কফি খেয়ে পড়াশোনা শুরু করবে। তোমার যদি সকালে ওঠার অভ্যাস না থাকে তাহলে প্রথম অবস্থায় এটা তোমার কাছে বেশ কষ্টকর মনে হতে পারে তবে ধীরে ধীরে এতে তোমার অভ্যাসে পরিণত হবে।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা আশা করছি তোমরা উপরের আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছ ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন সম্পর্কে। ভালো ছাত্ররা প্রতিদিন সকালে উঠে এবং সকালে উঠে ব্যায়াম করে তারপর এক কাপ কফি অথবা চা খেয়ে পড়াশোনা শুরু করে। আর তারা বেশি বেশি পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করে কারণ পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ না করলে তোমার শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে আর শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে পড়াশোনা করা কোনভাবেই সম্ভব হবে না। এইজন্য বেশি বেশি পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
আরো পড়ুন: নিভিয়া সফট ক্রিম এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
তোমরা যদি ওপরের এই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করো এবং কাজ করো তাহলে আশা করছি তোমরা দ্রুত ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করে কিন্তু আমাদের মেইন টার্গেট নয় আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য হল একজন সঠিক মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠা। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া এবং জীবনে ভাল কোন পর্যায়ে যেয়ে দাঁড়ানো। তুমি যদি তোমার নিজের জীবনের সফল হতে চাও তাহলে ওপরের এই রুটিনটি অবশ্যই অনুসরণ করবে।
দৈনিক ১০ ঘণ্টা পড়ার রুটিন
তুমি কি দৈনিক ১০ ঘণ্টা পড়তে চাও? কিন্তু বুঝতে পারছ না কিভাবে দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়া সম্ভব সময় বের করতে পারছ না? তাহলে তুমি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছ আমরা আজকের এই পোস্টে তোমার সাথে শেয়ার করব কিভাবে দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়া যায়। অর্থাৎ দৈনিক ১০ ঘণ্টা পড়ার রুটিন। চলো তাহলে আর দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে আসি দৈনিক ১০ ঘণ্টা পড়ার রুটিন ।
দৈনিক ১০ ঘণ্টা পড়তে চাইলে তোমাকে অবশ্যই সকালে উঠতে হবে সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকাল ৫.৩০ এ উঠার অভ্যাস তৈরি করো।
- ৫.৩০ মিনিট হতে ৫.৪৫ এর মধ্যে এক কাপ কফি অথবা চা খেয়ে পড়ার টেবিলে বসে পড়ো।
- ৫.৪৫ থেকে ৮.৪৫ পর্যন্ত তোমাকে পড়াশোনা করতে হবে।(৩ ঘন্টা)
- তারপর ৮.৪৫ হতে ৯.০০ এর মধ্যে স্কুল অথবা কলেজের উদ্দেশ্যে বের হতে হবে।
- ৯.০০ থেকে ২.০০ পর্যন্ত স্কুলে অথবা কলেজে পড়াশোনা করতে হবে।
- স্কুল ছুটি হওয়ার পর এদিক ওদিক না যেয়ে সরাসরি টঙ্কে বাসায় পৌঁছাতে হবে।
- ২.৩০ এর মধ্যে বাসায় এসে ৩.০০ এর মধ্যে খাওয়াদাওয়া সম্পন্ন করতে হবে।
- ৩.৩০ থেকে ৫.৩০ মিনিট মনোযোগ সহ পড়াশোনা করতে হবে। (২.০০ ঘন্টা )
- ৫.৩০ থেকে ৬.০০ পর্যন্ত বাইরে একটি হাঁটাহাঁটি করতে হবে। হাটাহাটি করলে মন ও মেজাজ দুটোই ভালো থাকে।
- তারপর ৬.১৫ থেকে ৮.১৫ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।(২ ঘন্টা)
- তারপর ৮.১৫ থেকে ৯.০০ এর মধ্যে রাতের খাওয়া দাওয়া সম্পন্ন করতে হবে। তারপর ফ্যামিলির সাথে গল্প আড্ডা অথবা বিশ্রাম করতে পারো।
- রাত ৯. ০০ হতে ১২.০০পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। ( ৩ ঘন্টা)
প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমরা যদি ওপরের এই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করো তাহলে আশা করছি পরীক্ষাটি খুবই ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা কিন্তু খুব কঠিন কোন বিষয় নয় তোমরা যদি একটু চেষ্টা করো এবং ওপরের এই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করো তাহলে আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি পরীক্ষা তো তোমার ভালো ফলাফল অর্জন হবেই। তোমরা যারা দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়াশোনার জন্য রুটিন খুঁজছিলে তারা এই রুটিনটা দেখতে পারো।এবার চলো আমরা দেখে আসি দৈনিক ১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন।
১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন
তুমি কি দৈনিক ১২ ঘণ্টা পড়তে চাও? তোমরা অনেকেই রয়েছে যারা পড়তে খুব ভালোবাসো কিন্তু পড়ার সময় পাচ্ছো না, সে ক্ষেত্রে আজকের এই পোস্টটা তোমাদের কাজে আসতে পারে। কিভাবে দিনে ১২ ঘণ্টা পরা সম্ভব সেই বিষয়ে আমরা আজকের এই পোস্টে তোমাদের সাথে আলোচনা করব। দিনে ১২ ঘন্টা পড়লে তোমরা পরীক্ষাতে খুবই ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে শুধু পরীক্ষাতেই নয় আশা করছি তোমরা জীবনে ভালো একটি পর্যায়ে যেয়ে দাঁড়াতে পারবে। তাহলে ঝটপট আমরা দেখে আসি দৈনিক 12 ঘন্টা পড়ার রুটিন টি।
- ৫.০০ মিনিট হতে ৫.১৫ এর মধ্যে এক কাপ কফি কিংবা চা খেয়ে পড়ার টেবিলে বসে পড়ো।
- ৫.২০ থেকে ৮.৪০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।(৩.২০ মিনিট)
- তারপর ৮.৪০ হতে ৯.০০ এর মধ্যে স্কুল কিংবা কলেজের উদ্দেশ্যে বের হতে হবে।
- ৯.০০ থেকে ২.০০ পর্যন্ত স্কুলে পড়াশোনা করতে হবে।
- স্কুলের স্যার অথবা ম্যাম কোন সাজেশন দিলে সেটি সাথে সাথে নোট খাতায় নোট করতে হবে।
- স্কুল ছুটি হওয়ার পর এদিক-ওদিক না যেয়ে সরাসরি বাসায় পৌঁছাতে হবে।
- ২.৩০ এর মধ্যে বাসায় এসে ৩.০০ এর মধ্যে খাওয়াদাওয়া সম্পন্ন করতে হবে।
- ৩.০০ থেকে ৫.৪০ মিনিট পড়াশোনা করতে হবে। (২.৪০ মিনিট।
- ৫.৪০ থেকে ৬.০০ পর্যন্ত বিশ্রাম নিতে হবে। সাথেই বিকালের নাস্তা খেয়ে নিতে হবে।
- ৬.১৫ থেকে ১০.১৫ পর্যন্ত আবার পড়াশোনা করতে হবে।(৪ ঘন্টা)
- আজকে স্কুলে কি কি পড়া দিয়েছে সে সমস্ত পড়া গুলো কমপ্লিট করতে হবে।
- তারপর ১০.১৫ থেকে ১০.৩০ এর মধ্যে রাতের খাওয়া দাওয়া সম্পন্ন করতে হবে।
- তারপর রাত ১০. ৪০ হতে ১২.৪০ পর্যন্ত আবার পড়াশোনা করতে হবে। ( ২ ঘন্টা)
- তারপর ঘুমিয়ে পড়তে হবে। আর প্রতিদিন সকাল ৫.০০ মিনিটে একটি আলার্ম সেট করতে হবে।
দিনে ১২ ঘন্টা পড়তে চাইলে তোমাকে প্রথমে সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। প্রতিদিন সকাল পাঁচটায় উঠার অভ্যাস তৈরি কর। তারপর পাঁচটা থেকে ৫ঃ১৫ মিনিটের মধ্যে চা অথবা কফি খেয়ে পড়ার টেবিলে পড়তে বসো। ৫.২০ মিনিট হতে ৮.৪০ মিনিট পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। তারপর নয়টার মধ্যে স্কুল কিংবা কলেজে পৌঁছে ৯ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত ক্লাস করতে হবে। তারপর তিনটা থেকে ৫.৪০ পর্যন্ত আবার পড়াশোনা করতে হবে।
৫.৪০ থেকে ছয়টা পর্যন্ত বিশ্রাম নিয়ে সাথে বিকালের নাস্তা খেয়ে ৬.১৫ মিনিট হতে ১০.১৫ পর্যন্ত আবার পড়াশোনা করতে হবে। এভাবে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর বারবার পড়াশোনা করতে হবে তাহলে তুমি একজন ভালো স্টুডেন্ট হতে পারবে এবং ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। আজকের এই পোস্টে আমরা পড়া রুটিন বানানোর নিয়ম, ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন দৈনিক ১০ ঘণ্টা পড়ার রুটিন এবং দিনে ১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন কিন্তু তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন কোথায় পাবো?
দৈনিক ১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা দৈনিক ১২ ঘন্টা পড়ার জন্য বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি এরকম অনুসারে পড়েন তাহলে আশা করছি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন।
দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন কোথায় পাবো?
দৈনিক ১০ পড়ার রুটিন খুঁজছেন? বর্তমান সময়ের পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা কিন্তু খুব কঠিন কোন বিষয় নয় আপনি যদি উপরের এই রুটিনটি অনুসরণ করেন তাহলে আশা করছি খুব সহজেই ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন। আমরা আজকের এই পোস্টে ভালো ছাত্রদের পড়া রুটিন গুলো শেয়ার করলাম।
ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন মানে?
ভালো চাচাদের পড়ার রুটিন মানে ভালো ছাত্ররা যে রুটিন অনুসারে পড়ে যে রুটিন অনুসারে কাজ করে সে রুটিন কে বোঝানো হয়েছে। আজকের এই পোস্টে আমরা ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন গুলো শেয়ার করলাম আপনি যদি তাদের রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করেন তাহলে আশা করছি আপনার পড়াশোনায় দ্রুত উন্নতি হবে।
কিভাবে পড়লে a+ আসবে?
জানতে চান? কিভাবে পড়লে a+ আসবে? তাহলে উপরে দেখুন আমরা আজকের এই পোস্টে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো শেয়ার করেছি। তোমরা যদি উপরের এগুলো মন অনুসারে পড়াশোনা করো তাহলে আশা করছি দ্রুত ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।
অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় কি?
অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় সম্পর্কে জানতে ওপরে দেখো। কিভাবে অল্প করে ভালো রেজাল্ট করা যায় সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
না পরে ভালো রেজাল্ট করা যায়?
তোমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে না পড়ে ভালো রেজাল্ট করা যায়? আসলেই কি না করে কখনো ভালো রেজাল্ট অর্জন করা সম্ভব? প্রিয় শিক্ষার্থী না পড়ে কখনোই ভালো রেজাল্ট অর্জন করতে পারবেন না। কারণ পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাইলে আমাদেরকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে এবং পড়াশোনা করতে হবে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আজকের এই পোস্টে আমরা অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম এবং ১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন, দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তুমি যদি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাও এবং দিনে 10 থেকে 12 ঘন্টা পড়াশোনা করতে চাও তাহলে ওপরের এই রুটিনটি তোমার কাজে আসবে।
আমরা অনেকেই রয়েছি যারা পড়াশোনা করতে খুব ভালোবাসি কিন্তু কিভাবে দিনে 10 থেকে 12 ঘণ্টা পরা চাই সে সম্পর্কে অনেকেই জানিনা অথবা সময় ঠিকভাবে বের করতে পারি না। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে দিনে 10 ঘণ্টা থেকে ১২ ঘন্টা পড়াশোনা করার রুটিন গুলো শেয়ার করলাম। তুমি যদি দিনে 10 থেকে 12 ঘন্টা পড়াশোনা করতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
সকালে উঠে পড়াশুনা করলে একদিকে যেমন পড়াশোনা ভালো হয় আর একদিকে অল্প পরেও পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায়। তোমরা যারা অল্প পড়াশোনা অল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাচ্ছো তোমরা চেষ্টা করো নিয়মিত সকালে উদ্ধার কারণ সকালে উঠে পড়াশোনা করলে যেকোনো পড়া দ্রুত বোঝা যায় জানা যায় এবং মুখস্ত করা যায়।
তাই আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম, ১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন এবং দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন শেয়ার করলাম। তোমরা যদি উপরের এই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করো তাহলে আশা করছি তোমরা পরীক্ষাতে খুবই ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন প্রিয় শিক্ষার্থীরা আশা করছি আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে তোমরা উপকৃত হয়েছো।