পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র লিখার নিয়ম
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব যারা পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ আবেদন খুঁজছেন তারা এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন দেখুন। এই আর্টিকেলে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত এবং পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের আবেদন করতে কি কি লাগে সেই সকল বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করব।

বাসায় নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ পেতে এই আর্টিকেলটি দেখে নিন চলুন তাড়াতাড়ি দেখে আসি পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন অথবা পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র লিখার নিয়ম।
পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র লিখার নিয়ম
আবেদনপত্র লিখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? যারা বাসায় নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। যদি আপনি সরাসরি অনলাইন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করতে না পারেন,
তাহলে একটি দরখাস্ত পত্র অথবা আবেদন পত্র লিখে বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিতে হবে তাহলে তারা যত দ্রুত সম্ভব আপনার বাসায় এসে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করবে কিন্তু যদি আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারেন তাহলে আপনার আর অতিরিক্ত এই আবেদন পত্র তৈরি করার প্রয়োজন হবে না।
আরো দেখুন: এই ৮টি উপায় দেখে রোজায় ওজন কমিয়ে ফেলুন
ঠিক একই ভাবে যদি আপনি আজকের এই নিয়ম দেখে আবেদন পত্র লিখেন তাহলে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন হবে না অর্থাৎ আপনার কাছে রয়েছে দুইটি পদ্ধতি। ১) অনলাইনে আবেদন , ২) অফলাইনে আবেদন অথবা দরখাস্ত অথবা আবেদন পত্র।
যে পদ্ধতি আপনার কাছে সহজ মনে হয় আপনি সে পদ্ধতি অবলম্বন করে বাসায় পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশে এখন নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার এসেছে যা অনেক বেশি অর্থ সাশ্রয় করতে সাহায্য করে,
এখানে অতিরিক্ত অর্থের অপচয় হয় না আপনি যতটুকু পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন ঠিক ততটুকু পরিমাণ বিদ্যুতের বিল আপনাকে দিতে হবে। চলুন ঝটপট দেখে আসি আবেদন পত্র লেখার নিয়ম।
পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র লিখার নিয়ম
তারিখ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
রাজশাহী নেস্কো বিদ্যুৎ অফিস
হেতেম খা রাজশাহী
বিষয়: পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন/প্রিপেইড মিটারের জন্য আবেদন
মহাশয়
সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে আমি, আরিফুল হাসান উপসহর, সেক্টর ৩ , ১৭ নং ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দ। আমাদের গ্রামে অনেকের বাসাতে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার স্থাপন করা হয়েছে কিন্তু মহাশয় আমার বাসায় এখনো পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার প্রতিস্থাপন করা হয়নি।
অতএব মহাশয় এর নিকট আমার বিনীত আবেদন এই যে আমার বাসায় অতি দ্রুত পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার সংযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। নিচে সকল প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেওয়া হল।
ইতি
আরিফুল হাসান
গ্রাম: উপসহর সেক্টর ৩
বাসা নং: ৭৮
প্রিয় পাঠক বৃন্দ যখন পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র তৈরি করবেন তখন প্রথমেই বিদ্যুৎ অফিসের নাম উল্লেখ করবেন তারপর সে বিদ্যুৎ ভবন কোথায় অবস্থিত সেই ঠিকানা উল্লেখ করবেন তারপর তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
আবেদন পত্র তৈরি করার নিয়ম খুবই সোজা শুধুমাত্র যখন বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদনপত্র তৈরি করবেন তখন আপনি চাইলে প্রথমে তারিখ উল্লেখ করতে পারবেন অথবা ঠিকানা এর নিচে তারিখ উল্লেখ করতে পারবেন। এখানে বরাবর কিংবা প্রধান শিক্ষক আবার কোন প্রয়োজন নেই।
তারপর সরাসরি বিষয় লিখে মহাশয় উল্লেখ করে মূল বক্তব্য ব্যাখ্যা করতে হবে। মূল বক্তব্য অতিরিক্ত বড় করা যাবে না এক পেজের মধ্যে সম্পন্ন করা যায় ঠিক ততটুকুই লিখতে হবে। এখানে অতিরিক্ত কিছু যুক্ত করবেন না শুধুমাত্র আপনার বাসার নির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ করবেন
এবং আপনার বাসায় এখনও পর্যন্ত কোনরকম নতুন বিদ্যুৎ মিটার প্রতিস্থাপন করা হয়নি এ বিষয়টি উল্লেখ করবেন তারপর সর্বশেষে ”মহোদয় এর নিকট আমার বিনীত আবেদন এই যে আমার বাসায় এখনো কোন নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার স্থাপন করা হয়নি।
অতএব আপনি এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আমার বাসায় পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার সংযোগ করে দিয়ে বাধিত করুন”এটি লিখেই আবেদনপত্র সম্পন্ন করতে হবে। প্রিয় পাঠক বৃন্দ গন আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছেন পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে উপরের
এই নিয়ম অনুসারে আপনারা পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র লিখতে পারবেন।। যদি আমাদের পত্র লিখতে না পারেন তাহলে দেখুন নিচে একটি আবেদন পত্র দেওয়া রয়েছে এখানে শুধুমাত্র নিজের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে সরাসরি এই আবেদন পত্রটি ব্যবহার করতে পারবেন। নিচে দেখুন পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন এর নমুনা।
পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন এর নমুনা
ঢাকা NESCO বিদ্যুৎ ভবন
ঢাকা পঞ্চগড়
তারিখ: ৭ জানুয়ারি ২০২৫
বিষয়: নতুন প্রিপেইড অথবা কার্ড মিটারের জন্য আবেদন পত্র
মহোদয়
বিনীত নিবেদন এই যে আমি ঢাকা পঞ্চগড় ২৫ নং ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা,,, (নিজ এলাকায় এবং ওয়ার্ডের নাম) আমার নাম হচ্ছে মোঃ শরিফুল ইসলাম( নিজের নাম উল্লেখ করুন) আমাদের গ্রামের প্রায় ৫০ টি বাসায় নতুন প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে কিন্তু আমার বাসাতে এখনো এই প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়নি। নতুন প্রিপেইড মিটার এর সুবিধা সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি।
অতএব মহোদয় এই নিকট আমার বিনীত আবেদন এই যে উক্ত বিষয়টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আমার বাসায় দ্রুত নতুন প্রিপেইড অথবা কার্ড মিটার সংযোগ করে দিয়ে বাধিত করুন। নিচের সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যুক্ত করা হলো।
ইতি
নিজের নাম,,,
উপরের এই আবেদনপত্র তে শুধুমাত্র আপনার নাম এবং আপনি কত নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা আপনার গ্রাম গিয়ে সেই সকল বিষয়গুলো পরিবর্তন করে উপরের এই আবেদন পত্রটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। আপনারা এই আবেদন পত্রটি অসংখ্য মানুষ শুধুমাত্র নিজের নাম ও গ্রাম ঠিকানা
পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র লিখার নিয়ম সম্পর্কে এবার চলুন দেখে আসি বাংলাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার এর সুবিধাগুলো কি কি।
বাংলাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের সুবিধা
বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের সুবিধা অনেক বেশি। নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার কে বলা হয় কার্ড মিটারের সুবিধা অনেক বেশি এই মিটারকে অনেকে প্রিপেইড মিটার বলে থাকে কারণ এই মিটার ে খুব অল্প পরিমাণে খরচ হয় এবং একে এক ধরনের সিস্টেম বলা হয়।
আরো পড়ুন: সব ধরনের স্কিনের জন্য নাইট ক্রিম কোনটা ভালো?
এখানে আপনার বিল ততটুকুই হবে যতটুকু আপনি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন এর বাইরে আপনাকে অতিরিক্ত অর্থ অপচয় করতে হবে না। আগে প্রতি মাসে আমাদেরকে বিল দিতে হতো এবং সেই বিলের কোন হিসাব থাকত না কিন্তু বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারে আপনি প্রয়োজন মাফিক বিদ্যুৎ বিল দিতে পারবেন।
যেমন আপনি যদি এক মাসে ৫০০ টাকা রিচার্জ করেন তাহলে সে ৫০০ অনুসারে আপনি বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। অথবা যদি আপনার বাজেট আরো কম থাকে তাহলে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ আরো কমিয়ে দিয়ে আপনি আরও কম টাকা রিচার্জ করতে পারবেন এবং কখন কত টাকা শেষ হচ্ছে
আপনি যে সকল তথ্য সম্পর্কে বিদ্যুৎ মিটার থেকে জানতে পারবেন যেমন আমাদের মোবাইল ফোনে কথা বললে রিচার্জ কাটে ঠিক একইভাবে যখন আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করবো তখন আমাদের মিটার থেকে রিচার্জ কাটতে শুরু করবে এটি এক ধরনের নতুন প্রযুক্তি যা বাংলাদেশ আবিষ্কার হয়েছে
এই নতুন কার্ড মিটার অথবা প্রিপেইড মিটারে সাহায্যে খুব সহজেই বিলের ঝামেলা দূর করা সম্ভব। এছাড়াও এখন কার্ড মিটারে খুব সহজে রিচার্জ করা যায় যেমন আমরা মোবাইল ফোনে খুব সহজেই মোবাইল থেকে রিচার্জ করতে পারি
ঠিক একই ভাবে আপনি বিকাশ থেকে অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ মিটার রিচার্জ করতে পারবেন।। আশা করছি আপনারা সকলেই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের সুবিধা গুলো কি কি এবার চলুন দেখে আসি পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত?
পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত
আপনি কি জানেন পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত? আপনারা যারা বাসায় নতুন বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ দিতে চাচ্ছেন তাদেরকে জানতে হবে যে নতুন সংযোগের জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে? নতুন মিটার সংযোগের কোন খরচ হয় না। এটি সরকার থেকে দিচ্ছে।
তাই আপনারা যদি ভেবে থাকেন যে নতুন মিটার সংযোগ পেতে অনেক টাকা খরচ হতে পারে এ ধারণা গুলো সম্পন্ন ভুল আপনারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এখন বাংলাদেশের নতুন প্রিপেইড মিটার এই সুবিধা লাভ করতে পারবেন। যদি আপনি অন্য কারোর মাধ্যমে দরখাস্ত লিখিয়ে আবেদনপত্র
তৈরি করতে চান সে ক্ষেত্রে তারা ৫০ থেকে ১০০ টাকা নিতে পারে অথবা যদি আপনি কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র করেন তাহলেও কম্পিউটারের দোকানে অবশ্যই 50 অথবা 100 টাকা দিতে হবে। যদি আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন দেখেন
তাহলে আপনার পঞ্চাশ এবং ১০০ টাকা খরচ করার কোন প্রয়োজন হবে না সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আপনি বাসায় পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার স্থাপন করতে পারবেন। এই আর্টিকেলে আমরা দুইটি পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব অর্থাৎ অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের আবেদন এবং অফলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের আবেদন সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করব।
আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছেন পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ শুন্য। এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক নতুন মিটারের আবেদন করতে কি কি লাগে?
নতুন মিটারের আবেদন করতে কি কি লাগে
আপনি কি জানেন নতুন মিটারের আবেদন করতে কি কি লাগে? আপনি যদি আপনার বাসায় নতুন মিটার স্থাপন করতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে সেই নতুন মিটার স্থাপনের জন্য কি কি প্রয়োজন কোন কোন কাগজপত্র জমা দিয়ে নতুন মিটার বাসায় স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: লোটাস নাইট ক্রিম এর অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আমাদের প্রত্যেকের বাসাতেই মিটার রয়েছে তবে বাংলাদেশে এখন নতুন একটি প্রিপেইড মিটার তৈরি হয়েছে এই প্রিপেইড মিটারের সাহায্যে আপনারা খুব সহজে অল্প খরচের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করতে পারবেন অর্থাৎ আগে যেমন আমরা প্রতি মাসে বিদ্যুৎ ভবনের লোকদের নিকট বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতাম।
এখন ব্যাপারটি সম্পন্ন আলাদা এখন নতুন প্রিপেইড মিটারের সাহায্যে আপনারা মোবাইলে রিচার্জ এর মত প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে পারবেন। আপনি যতটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন ঠিক ততটুকুই আপনি রিচার্জ করতে পারবেন আগে যেমন প্রতি মাসে একটি মাসিক বিল আসত
এবং এই বিলটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকত না অর্থাৎ এটি বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃক তৈরি করা হতো কিন্তু এই নতুন প্রিপেইড মিটারের সাহায্যে আপনি নিজেই আপনার বিদ্যুৎ বিল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন আপনি যদি 500 টাকা রিচার্জ করে অল্প পরিমাণে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন
তাহলে এই ৫০০ টাকা দিয়ে আপনি একমাস বিদ্যুৎ বিল ব্যবহার করতে পারবেন অপরদিকে আপনি চাইলে আপনার খরচ আর একটু বৃদ্ধি করে বেশি পরিমাণ বিদ্যু ব্যবহার করতে পারবেন আবার কখন কতটুকু বিদ্যুৎ আপনি ব্যবহার করছেন আর কত টাকা অবশিষ্ট রয়েছে।
সে সকল বিষয় সম্পর্কে আপনি প্রিপেইড মিটার দিকে জানতে পারবেন অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় নতুন প্রিপেইড মিটার সবদিক থেকে সুবিধা জনক এখানে আপনি খুব সহজেই ফ্লেক্সিলোড এর দোকান থেকে রিচার্জ করতে পারবেন।
আরেক দিকে কে কত টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন জানতে পারবেন পাশাপাশি আপনি অল্প খরচে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। আসুন আমরা দেখে নেই পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের আবেদন করতে কি কি লাগে?
নতুন মিটারের আবেদন করতে কি কি লাগে
- নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে একটি সক্রিয় মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন।
- যে ব্যক্তি বাসায় নতুন মিটার প্রতিস্থাপন করা হবে সেই ব্যক্তির এনআইডি কার্ডের ফ্রন্ট পার্টের এবং ব্যাক পার্টের ফটোকপি।
- আবেদনকারীর স্থায়ী এবং বাসার ঠিকানা।
- বাসা নাম্বার বাসা কত নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত কোন গ্রামে অবস্থিত সেই সকল ঠিকানা উল্লেখ।
- আবেদনকারীর বাসা র অথবা জমির খতিয়ান নাম্বার অথবা জমির দাগ নাম্বার।
- সার্ভিস পোলের সাথে আপনার বাসার দূরত্ব কত দূর তা মেপে নিতে হবে এবং আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
- একটি গ্রাউন্ড রডের ক্যাশ মেমোর পিকচার সংগ্রহ করতে হবে।
- কোন বিদ্যুৎ ভবন থেকে আপনি নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন সেই বিদ্যুৎ ভবনের একটি বই সংগ্রহ করতে হবে।
ওপরের এই কাগজপত্রগুলো আবেদনপত্রের সাথে জমা করে একসাথে বিদ্যুৎ ভবনে জমা দিতে পারবেন এতে কোন রকম টাকা লাগবে না এবং সম্পূর্ণ বিনামলে আপনি বাসায় পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার সংযোগ ব্যবহার করতে পারবেন।
আর যদি অনলাইন আবেদন করতে চান তাহলে দরখাস্ত পত্রের কোন প্রয়োজন হবে না শুধুমাত্র কিছু কাগজপত্র ব্যবহার করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। চলুন দেখে আসি, নতুন মিটারের জন্য অনলাইন আবেদন করার পদ্ধতি।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি
আপনি কি নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি খুঁজছেন? যারা কোন ঝামেলা ছাড়াই বাসায় নতুন মিটার স্থাপন করতে চাচ্ছেন তাদেরকে এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে হবে অর্থাৎ সমস্ত কাগজপত্র একসাথে সামনে রেখে নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করে ফেলতে হবে।
এর জন্য আপনাকে কোন বিদ্যুৎ অফিসে যেতে হবে না কোন কিছু করতে হবে না শুধু মাত্র বাসায় বসে একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন পত্র জমা দেওয়ার এক মাসের মধ্যে আপনার বাসায় নতুন প্রিপেইড অথবা কার্ড মিটার স্থাপন করে দিয়ে যাবে। নিচে দেখে নিন আবেদন পদ্ধতি দেওয়া রয়েছে।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি
অনলাইনে যদি নতুনের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে google অথবা ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করে সার্চ করুন পল্লী বিদ্যুৎ অনলাইন আবেদন। অফিসিয়াল পেজ এর শুরুতেই REB থাকবে। অফিসিয়াল পেজে প্রবেশ করে সমিতির নাম এবং জেনারেল অফিস উল্লেখ করতে হবে।
সমিতির নাম অর্থাৎ আপনি আপনার আশেপাশের কোন বিদ্যুৎ ভবন থেকে এই নতুন মিটারের সংযোগ নিতে যাচ্ছেন সেই বিদ্যুৎ ভবনের নাম উল্লেখ করতে হবে তারপর সেই বিদ্যুৎ ভবনটি কোথায় অবস্থিত সেই ঠিকানাটি জেনারেল অফিসের উল্লেখ করতে হবে।
তারপর দেওয়া রয়েছে সংযোগের ট্যারিফ। যদি আবাসিক বাড়ি হয়ে থাকে তাহলে এলটিএ উল্লেখ করুন আর যদি বহুতল বাড়ি হয়ে থাকে তাহলে এমটি ১ উল্লেখ করতে হবে। তারপর আপনার ইনফরমেশন গুলো দিতে হবে যেমন আপনার নাম আপনার বাবার নাম আপনার মায়ের নাম
এবং আপনার এন আইডি কার্ডের নাম্বার। স্বামী এবং স্ত্রীর নাম, এটি সক্রিয় মোবাইল নাম্বার এর পাশাপাশি টিআইএন নাম্বার এবং জাতীয়তা উল্লেখ করতে হবে। এর পাশাপাশি একটি অপশন দেওয়া থাকবে পাসপোর্ট নাম্বারের যদি আপনার করে পাসপোর্ট না থাকে সেক্ষেত্রে এই অপশনটি স্কিপ করুন।
আরো দেখুন: অসুস্থতার জন্য পরীক্ষায় অনুপস্থিতির আবেদন
তারপর অনলাইনে জিওগ্রাফি ব্যাখ্যা দিতে হবে। আপনার বাসা থেকে বিদ্যুৎ পোলের দূরত্ব কত দূরে তা মেপে অনলাইনে সঠিক উত্তর দিতে হবে। যদি 130 মিটারের কাছে হয় তাহলে উল্লেখ করুন। তারপর পার্শ্ববর্তী গ্রাহকের বই নাম্বার সংগ্রহ করুন, পোল নাম্বার উল্লেখ করুন।
এই সবকিছু ইংরেজিতে উল্লেখ করতে হবে। তারপর দেখুন লোড নামক একটি অপশন রয়েছে, সেখানে আপনার বাসায় কতটি ফ্যান চলবে কতটি চলবে অর্থাৎ কতটি কি কি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রয়েছে সে সকল বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে। তারপর সর্বশেষ স্টেপ, আপনার ছবি,
ছবি অবশ্যই স্পষ্ট হতে হবে এবং কোন ইডিট ব্যবহার করা যাবে না, তারপর জমির খারিজের ছবি, তারপর ক্লিয়ার স্পষ্ট জাতীয় এল আই ডি কার্ডের ছবি তুলে যুক্ত করুন। নিজে স্কোর করে দেখুন তিনটি অপশন দেওয়া রয়েছে সেখানে তিনটি ছবি চাওয়া হয়েছে।। এখানে প্রথমে আপনার ছবি তারপর আপনার জাতীয় এনআইডি কার্ডের ছবি তারপর জমির খারিজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
তারপর নিচে দেখুন একটি ছক দেওয়া রয়েছে সেই ছকে ছয় সংখ্যাটি কোড রয়েছে সেই কোডটি দেখে দেখে নিচে বসাতে হবে।। তারপর বাম সাইডে একটি সংরক্ষণ করুন নামক বাটন দেওয়া রয়েছে তার ওপরে ক্লিক করুন।
ব্যাস অভিনন্দন প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা সফলভাবে অনলাইনে নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করতে সক্ষম হয়েছেন এভাবে আপনারা চাইলে ঘরে বসেই কোন ঝামেলা ছাড়া বিনামূল্যে নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা প্রত্যেকেই বুঝতে পেরেছেন নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে। যদি আপনারা অনলাইনে ওপরের এই নিয়ম অনুসারে আবেদন করেন তাহলে আপনাদেরকে দরখাস্ত লেখার কোন প্রয়োজন হবে না।
অপরদিকে যদি আপনারা দরখাস্ত লেখেন তাহলে উপরের এই নিয়মে অনলাইনে আবেদন করার কোন প্রয়োজন হবে না অর্থাৎ আপনাদের হাতে দুইটি পদ্ধতি রয়েছে এক অনলাইনে আবেদন দুই অফলাইন আবেদন আপনারা চাইলে যেকোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে
অনলাইনে অথবা অফলাইনে মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মনে রাখবেন আবেদন করার পর সর্বোচ্চ একমাস সময় প্রয়োজন হবে এক মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ ভবন থেকে কর্মী এসে আপনার বাসায় নতুন মিটার সংযোগ দিয়ে যাবে।।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করলাম পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি কি নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে? এবং পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র লিখার নিয়ম কি।
যারা বাসায় নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল লেখক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনারা পল্লী বিদ্যুৎ মিটার সংযোগের দুইটি পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই আর্টিকেলে অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ের পদ্ধতি আলোচনা করেছি।
যারা বাসায় নতুন মিটার ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তারা এই আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ দেখুন এছাড়াও অনেকে জানতে চান যে নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে? নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য কোন টাকা খরচ হয় না তবে যদি আপনি অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে কম্পিউটারের দোকানে আপনাকে অবশ্যই 50 থেকে 100 টাকা দিতে হবে।
অথবা যদি আপনি অফলাইনে দরখাস্ত লিখে আবেদন করেন তাহলে যার মাধ্যমে কর্মগুলো সম্পাদন করবেন তাকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিতে হবে। যারা কোনো রকম খরচ ছাড়াই বিনামূল্যে বাসায় পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার স্থাপন করতে চাচ্ছেন তারা এই আর্টিকেলটি দেখে নিন ওপরে দুইটি নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ওপরে নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনারা বিনামূল্যে নিজে নিজেই বাসায় বসে মোবাইল ব্যবহার করে অথবা আবেদন লিখে নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ দিতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে একটি কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।