মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে? মুদ্রাস্ফীতির কারণ কি
মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে? মুদ্রাস্ফীতি কি? এবং মুদ্রা স্ফীতির হার নির্ণয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। মুদ্রাস্ফীতি বলতে কি বোঝায় জানুন আজকের এই আর্টিকেলে।

যারা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলের গুরুত্বপূর্ণ। মুদ্রাস্ফীতির কারণ কি! মুদ্রাস্ফীতি কি? মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে? এবং মুদ্রা স্ফীতির হার নির্ণয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে দেখে নিন।
মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে
মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে? মুদ্রা স্মৃতি বলতে বোঝায় বাজেরে পন্য সামগ্রী কিংবা সেবার দাম ক্রমাগত বাড়তেই থাকা। যখন কোন দেশে ক্রমাগত পূর্ণ সামগ্রী এবং সেবার দাম বাড়তে থাকবে তখন তাকে মুদ্রাস্ফীতি বলা হবে।
অর্থনীতিতে সময়ের ব্যবধানে পূর্ণ সামগ্রী এবং সেবার দামেস্বরের ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার যে প্রবণতা রয়েছে তাকেই বলা হয় মুদ্রাস্ফীতি। অন্যভাবে বলা যায় যে মুদ্রারস্ফীতি বলতে বোঝায় একটি পরিবেশ যখন পণ্য সামগ্রী এবং এবার দাম স্তর বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আরো পড়ুন: melatrin cream কি কাজ করে জানলে অবাক হবেন
মূলত সামরিক যোগানের যে যখন সামগ্রিক চাহিদা বেশি হয় এবং এই প্রতিবছরের দাম স্তর বাড়তে থাকে তখনই অর্থনীতিতে মুদ্রা থেকে প্রবণতা দেখা যায় তবে একটি কিংবা কয়েকটি পণ্যের দাম হঠাৎ করে বাড়লে তাকে মুদ্রা স্মৃতি বলা যাবে না বরং
যখন সার্বিকভাবে সভ্যস্ত পণ্য কিংবা সেবার গরদাম কিংবা দামস্থর বৃদ্ধি পেতে থাকবে তখন তাকে বলা হবে মুদ্রাস্ফীতি। আবার যখন দামস্থর একটি অংকের ঘরে উঠানামা করবে তখন তাকে মুদ্রাস্ফীতি বলবে কারণ 10% এর নিচে দামস্তর বৃদ্ধির অর্থনীতির বিকাশের জন্য যথেষ্ট সহায়ক বলে মনে করা হয়।।
ইংরেজিতে দামস্থর কে বলা হয় ইনফ্লেশন। Inflation শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে, দামি স্মৃতি অথবা মূল্য স্মৃতি এই মুদ্রা ইস্মিত পদবাচ্যটি বহুল ব্যবহৃত এবং পরিচিত হয়ে আছে এখানে আরো কয়েকটি বিষয় মনে রাখা দরকার সেটি হল অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় এক তিন বা
একাধিক কারণে উপায়ে অর্থনীতিতে মুদ্রার সরবরাহ বাড়তে থাকলে পণ্য এবং সেবার দাম বাড়ে যেমন সরকার কিংবা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন অতিরিক্ত মুদ্রার ছাপানো অর্থনীতিতে ছাড়তে পারে ঠিক একই ভাবে ব্যাংকগুলো সহজেই ঋণ সরবরাহ নীতি গ্রহণ করতে পারে।
আবার সরকার ঘাটতি গ্রহণ করতে পারে বৈদেশিক সাহায্য এবং অনুদানের প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে পারে ইত্যাদি কারণেই মুদ্রাস্ফীতি ঘটে এর ফলে পন্য এবং সেবার উৎপাদন আগের মত সমানভাবে আর বাড়ে না। মুদ্রাস্ফীতি কিংবা দামস্থল বাড়লে মানুষের চাহিদা বাড়ে এবং পণ্যের যোগান কমে যায়।
অন্যের অথবা সেবার চাহিদা খরচ বৃদ্ধি জনসংখ্যা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন কারণে এই দাম বৃদ্ধি পেতে পারে এই কারণেই দাম বৃদ্ধি প্রবণতাকে অর্থনীতিতে দামস্ফীতি কিংবা মুদ্রা স্ফীতি বলা হয়। অর্থনীতিতে মূল্য বলতে কোন পণ্যের ব্যবহারিক মৌল কে বোঝানো হয় আবার দাম বলতে
কোন পনের বিনিয়ময় মূল্যকে বোঝানো হয় এখানে দাম বাড়লে পণ্যের বিনিময় মূল্যের ব্যবহারিক মূল্য বাড়ে না। দাম বৃদ্ধির এই প্রবণ থেকে মূল্য স্থিতি নামে অভিহিত করা হয় যাই হোক দাম বৃদ্ধি টোটো সাধারণভাবে মুদ্রাস্ফীতি কিংবা মূল্যস্ফীতি উভয়ই নামে অভিহিত করা হয়।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে? মুদ্রাস্ফীতি বলতে বোঝায় বাজারে সকল পণ্য কিংবা সেবার দাম যখন ক্রমাগতভাবে বাড়তেই থাকবে তখন তাকে মুদ্রা স্ফীতি কিংবা মূল্য স্ফীতি বলা হবে। আমরা জানি স্থিতি বলতে বোঝায় কোন কিছু প্রসারিত হবা। দামের স্ফীতি বলতে বোঝায় যখন কোন পণ্য কিংবা সেবার দাম কত বৃদ্ধি পাবে। এবার চলুন দেখে আসি মুদ্রাস্ফীতি বৈশিষ্ট্য।
মুদ্রাস্ফীতির বৈশিষ্ট্য
মুদ্রাস্ফীতির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে আজকের এই আর্ট কিন্তু সম্পূর্ণ দেখুন এই আর্টিকেলে আমরা মুদ্রা স্ফীতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। অর্থনীতিতে মুদ্রা স্ফীতি এর পরিস্থিতি বিরাজ করছে কিনা সেটি জানার জন্য কিছু লক্ষণ কিংবা বৈশিষ্ট্য জানার দরকার রয়েছে সেই উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হল।
মুদ্রাস্ফীতির বৈশিষ্ট্য
- অর্থের ক্রয় ক্ষমতা কমতে শুরু করবে দাম স্তর ক্রমাগতই বাড়তে থাকবে
- বিনিময়ের মাধ্যমে এবং সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে অর্থের গুরুত্ব ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে অথবা কমে যাবে।
- সামগ্রিক যোগানের তুলনায় সামগ্রিক চাহিদা বেশি হবে অথবা যোগানের যে চাহিদা অধিক হারে বাড়তে শুরু করবে।
- সহনীয় মুদ্রা পেজের আওতায় মুনাফার প্রত্যাশা আরো বারে কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বাড়তে থাকে
- সহনীয় মাত্রায় মুদ্রা তৃতীয় অর্থনীতিতে বেকারত্ব ক্রমে এবং প্রবৃদ্ধির হার বাড়ে।
- উচ্চ হাড়ের মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতিতে অর্থনয়ন করে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা দেখা দেয় এতে জনজীবনে আরও যন্ত্রণা বৃদ্ধি পায়।
ওপরের এই বৈশিষ্ট্য গুলো দেখার মাধ্যমে জানা যায় যে একটি দেশের মুদ্রা স্ফীতি বিরাজ করছে নাকি। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন মুদ্রা স্ফীতির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এবার চলুন ঝটপট দেখে নেওয়া যাক মুদ্রা স্মৃতির হার নির্ণয় করার পদ্ধতি।
মুদ্রা স্ফীতির হার নির্ণয় করার পদ্ধতি
মুদ্রা স্ফীতির হার নির্ণয়ের পদ্ধতি শতকরা হারে প্রকাশ করা হয় । কোন নির্দিষ্ট একটি সময়ে অতীতের অন্য কোন সময়ের ভিত্তিতে নির্মিত দাম সূচকে শতকরা হারে প্রকাশ করলে তাকেই মুদ্রাস্ফীতির হার বলা হয়।। সহজ অর্থে বলা যায় অতীতের কোন ভিত্তি বছরে তুলনায় বর্তমান বছরের দামোস্তরের শতাংশ পরিবর্তনকে মুদ্রা স্ফীতির শতাংশিক হার বলে।
আরো পড়ুন: বঙ্গভঙ্গ কি এবং বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে? কারণ সমূহ সবকিছু বিস্তারিত
মুদ্রা স্ফীতির হার নির্ণয়ের জন্য নিচের সূত্রগুলো ব্যবহার করতে হবে।
মুদ্রা স্ফীতির হার= বর্তমান বছরের দাম স্তর – পূর্বের বছরের দাম স্তর ÷পূর্বের বছরের দাম স্তর × ১০০
অর্থাৎ মুদ্রা স্ফীতির হার নির্ণয় করার জন্য প্রথমে বর্তমান বছরের দাম স্তর জানতে হবে বর্তমান বছরের দাম স্তরের থেকে পূর্বের বছরের দাম স্তর বিয়োগ করতে হবে তারপরে আবার পূর্বের বছরের দাম স্তর ভাগ করতে হবে তার সাথে ১০০ গুণ করতে হবে।
মুদ্রা স্ফীতির: p¹ – p⁰/ p⁰× 100
- p¹ হলো বর্তমান বছরের দাম স্তর।
- P ⁰ হলো পূর্বের বছরের দাম স্তর ।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মুদ্রা স্ফীতির হার নির্ণয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে যে কোন দেশের মুদ্রা স্ফীতির হার নির্ণয় করা সম্ভব। মুদ্রা স্ফীতি বলতে বোঝায় যখন কোন একটি দেশে ক্রমাগতভাবে দ্রব্য সামগ্রী অথবা সেবার দাম বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
যেমন বাংলাদেশের বিগত পাঁচ বছর থেকে প্রতিটি দ্রব্যের দাম ক্রমাগতভাবে বাড়তেই চলেছে এবং টাকার মান কমতে চলেছে অতএব বাংলাদেশের মুদ্রা স্ফীতির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। মুদ্রা স্ফীতির কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে সেই বিষয়ে জানার জন্য উপরের এই সূত্রগুলো এপ্লাই করতে হবে।
মুদ্রাস্ফীতি কি
মুদ্রাস্ফীতি কি? অনেকেই জিজ্ঞাসা করে যে মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে? যখন কোন একটি দেশের দ্রব্য সামগ্রী কিংবা পণ্যের দাম ক্রমা করতে বাড়তে শুরু করবে তখন থেকে বলা হবে মুদ্রাস্ফীতি। অনেকেই মুদ্রাস্ফীতি এবং দামস্তর এই দুইটি জিনিসকে একই মনে করেন
কিন্তু আর বলতে বোঝায় কোন দেশের সামগ্রিক দাম অপরদিকে মুদ্রাস্ফীতি বলতে বোঝায় যখন কোন দেশের ক্রমাগত দ্রব্য কিংবা সেবার দাম বাড়তেই শুরু করবে তাকে মুদ্রাস্ফীতি অথবা মূল্য স্ফীতি বলবে। মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেলে যোগানের তুলনায় চাহিদার পরিমাণ বেড়ে যাবে
এবং যোগান তুলনামূলকভাবে কমে যাবে এতে আরো যোগান সৃষ্টির জন্য বিক্রেতার ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। বিনিময় এর মাধ্যমে এবং সঞ্চয় বাহন হিসেবে অর্থের ক্রয় ক্ষমতা এবং গুরুত্ব হ্রাস পাবে। সামগ্রিক যোগানের তুলনায় সামগ্রিক চাহিদার পরিমাণ বাড়তে শুরু করবে।
মুদ্রাস্ফীতির প্রকারভেদ সমূহ
মুদ্রাস্ফীতির প্রকারভেদ সমূহ সম্পর্কে জানতে চান? মুদ্রাস্ফীতি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই মুদ্রাস্ফীতিকে বিভিন্নভাবে আখ্যায়িত করা হয় যেমন প্রথমে চলুন আমরা দেখে নেই মুদ্রাস্ফীতি কারণভিত্তিক।
মুদ্রাস্ফীতি কারণ ভিত্তিক
চাহিদা বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি
বাজারের কোন সামগ্রী এবং সেবার চাহিদার বৃদ্ধির কারণে শ্রেষ্ঠ মুদ্রা স্ফীতিকে চাহিদা বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি বলে। এই সময়ে সামগ্রিক জোভান এর চেয়ে সামগ্রিক চাহিদা আর অধিকারের বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যখন বাজারে দ্রব্য সামগ্রী দাম বাড়ে কিংবা মুদ্রাস্ফীতি বাড়ি তখন যোগাযোগ তুলনায় চাহিদা অনেক পরিমাণে বাড়তে শুরু করে।
ব্যয় বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি
উৎপাদন এবং বিপণন বা বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট মুদ্রা স্ফীতি ব্যয় বৃদ্ধি জনিত মুদ্রা স্ফীতি বলে। এই সময় বিভিন্ন কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়তে পারে সামগ্রিক যোগান করতে পারে এবং বাজারের দাম স্তর বৃদ্ধি পেতে পারে। চাহিদার উপর নির্ভর করে বিক্রেতা তারা নিজেদের যোগান বৃদ্ধি করবে। যখন করে পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে তখন সে পণ্য অথবা সেবার যোগান বৃদ্ধি করা হবে।
ঘাটতি ব্যয়জনিত মুদ্রাস্ফীতি
সরকারের ঘাটতি ব্যয় নীতি অনুসরণ করলে অর্থনীতিতে দামি স্তর বৃদ্ধির যে প্রবণতা রয়েছে তাকেই মূলত ঘাটতি ব্যায়জনিত মুদ্রাস্ফীতি বলে।
মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি
অর্থনীতিতে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধির ফলের দাম স্তর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয় তাকে বলা হয় মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি।।
ঋণ সরবরাহ বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি
উদার বিবৃতি গ্রহণের ফলে অর্থনীতিতে অর্থের যোগান বাড়ে এবং এর ফলে বাজারের দামস্থর বাড়লে তাকে ঋণ সরবরাহ বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি বলে।
ঘাটতি ডাইনিটি অনুসরণ এবং মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধির সাথে ঋণ সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেই অর্থনীতিতে ব্যয়টা গো অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় আয় প্রবাহ এবং সৃষ্ট এই মুদ্রাস্ফীতি মূলত চাহিদা বৃদ্ধি জনিত মুদ্রা নীতির ঐ ভিন্ন একটি প্রকাশ মাত্র।
আবার মজুরি বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়ে বলেই এই কারণে সৃষ্ট মুদ্রাস্ফীতি মূলত ব্যয় বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন মুদ্রাস্ফীতির প্রকারভেদ সমূহ সম্পর্কে এবং মুদ্রাস্ফীতি কি সেই সম্পর্কে। এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক মুদ্রাস্ফীতির কারণ কি?
মুদ্রাস্ফীতির কারণ কি
অনেকেই জানতে চান যে মুদ্রাস্ফীতির কারণ কি?? মুদ্রাস্ফীতি এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে। বিগত পাঁচ বছর থেকে বাংলাদেশের মুদ্রা স্ফীতি বেড়েই চলেছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের দ্রব্য মূল্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে আগে যেখানে ১০০ টাকার মধ্যে প্রায় একদিনের সকল সবজি বাজার সম্পন্ন করা যেত।
কিন্তু এখন 100 টাকার মধ্যে মাত্র এক থেকে দুইটি সবজি পাওয়া যায় এর কারণ হলো অর্থের মূল্য কমে গেছে। পাঁচ বছর আগের অর্থের মূল্য এবং বর্তমান সময়ের অর্থের মূল্য এর মধ্যে আকাশ পায়াল তফাৎ সৃষ্টি হয়েছে। কেন এই অর্থের মূল্য কমে গেছে অথবা মুদ্রাস্ফীতির কারণ কি নিচে দেওয়া হল।
মুদ্রাস্ফীতির কারণ কি
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ
- উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া
- চাহিদা বেড়ে যাওয়া
- আমদানির উপর নির্ভরতা বেড়ে যাওয়া
- টাকার সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়া
- ঋণের উপর অতিরিক্ত মানুষ নির্ভর হয়ে পড়া
- মুদ্রার অবমূল্যায়ন
- কাঁচামালের দামের অস্থিরতা
- পণ্যের সংকট
- অতিরিক্ত সরকারি ব্যয়
মূলত ওপরের এই কয়েকটি কারণের জন্যই বিগত পাঁচ বছর থেকে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে। ২০২৪ সালে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে বাংলাদেশের তুমুল ক্ষতি হয়। এছাড়াও বর্তমান সময়ে প্রতিটি দ্রব্যের উৎপাদন খরচ বেড়েছে যার কারণে বিক্রেতা তাদের পণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
আরো পড়ুন: ছুটির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম ১ মিনিটে লিখুন
এছাড়াও বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি চাহিদা আর এই চাহিদা নিবারণ করতে যোগান বৃদ্ধি করতে হচ্ছে। যখন কোন বোনের প্রতি ক্রেতা চাহিদা বৃদ্ধি পায় তখন সে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও এখন বাংলাদেশ আমদানির উপর অনেক বেশি নির্ভর করে আবার টাকা সরবরাহ বেড়ে গেছে এর জন্যই মূলত বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে। আশা করছি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন মুদ্রাস্ফীতির কারণ কি।
লেখক এর শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করলাম মুদ্রাস্ফীতি কি?, মুদ্রাস্ফীতির কারণ কি? মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে, মুদ্রাস্ফীতির বৈশিষ্ট্য, মুদ্রাস্ফীতির প্রকারভেদ সমূহ, মুদ্রা স্ফীতির হার নির্ণয় করার পদ্ধতি এবং মুদ্রাস্ফীতির সূত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা প্রত্যেকেই বুঝতে পেরেছেন মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে। যখন একটি দেশের ক্রমাগত বেড়েই যাবে তখন তাকে বলা হবে মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে মুদ্রাস্ফীতি। যেমন বিগত পাঁচ বছর থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি দ্রব্য সামগ্রী দান ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে।
এই দাম আর কমছে না এই অবস্থাকে বলা যাবে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি। আপনারা অনেকে মুদ্রাস্ফীতি এবং দামস্তর এই দুইটি বিষয়কে একই মনে করেন কিন্তু দাম স্তর বলতে বোঝায় কোন দেশের দ্রব্যের দাম আর মুদ্রাস্ফীতি বলতে বোঝায়
ক্রমাগতভাবে পূর্ণ সামগ্রী অথবা সেবার দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং অর্থের মান কমে যাওয়া। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছেন মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে এবং মুদ্রা স্ফীতির হার নির্ণয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে।