লোটাস নাইট ক্রিম এর অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনারা সকলে ভাল আছেন আজকের এই আর্টিকেলে লোটাস নাইট ক্রিম এর অপকারিতা ও লোটাস নাইট ক্রিম এর উপকারিতা, লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম এবং লোটাস নাইট ক্রিম এর দাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। লোটাস ক্রিমের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের জন্য ক্ষতি করে চুলকানি দানা দানা ভাব ব্রণ হোয়াইটহেডস এবং ব্ল্যাকহেড দূর করে পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি করে। এই আর্টিকেলে লোটাস নাইট ক্রিমের ১৮ টি অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

লোটাস নাইট ক্রিম সম্পর্কে সত্য তথ্য আহরণ করতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ দেখতে থাকুন। চলুন ঝটপট দেখে আসা যাক লোটাস নাইট ক্রিম এর অপকারিতা, লোটাস নাইট ক্রিম এর উপকারিতা, লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম এবং লোটাস নাইট ক্রিম এর দাম।
লোটাস নাইট ক্রিম
লোটাস একটি জনপ্রিয় ব্যান্ড। বাংলাদেশের নামিদামে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি হল লোটাস। লোটাস ব্রান্ড থেকে বিভিন্ন প্রডাক্ট পাওয়া যায় যেগুলো স্কিনের জন্য উপকারী এছাড়াও লোটাস ব্র্যান্ড থেকে বেশ কিছু মেকআপ সামগ্রী পাওয়া যায় যেমন লোটাস পাউডার, লোটাস মেকআপ পাউডার, লোটাস লিপস্টিক, লোটাস মাস্কারা।
অনেকের প্রিয় ব্রান্ড হলো লোটাস আজকের এই আর্টিকেল আমরা লোটাস নাইট ক্রিম সম্পর্কে আলোচনা করব এটি কতটুকু উপকারী এবং কতটুকু অপকারি। যেকোনো নাইট ক্রিম ত্বকের জন্য ক্ষতি করা হয় বিশেষ করে বর্তমান সময়ে বাজারে যে সমস্ত পাকিস্তানি নাইট ক্রিম কিনতে পাওয়া যায় এইগুলো ত্বককে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফর্সা করলেও ধীরে ধীরে ত্বক আবারো আগের মতো কালো হয়ে যায় এবং সাথে আরও বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয় যেমন ব্রণ মেস্তা।
লোটাস নাইট ক্রিম এর অপকারিতা
আপনি কি জানেন লোটাস নাইট ক্রিম এর অপকারিতা গুলো কি কি? স্কিন ডাক্তাররা বলেন যে ক্রিমগুলো ত্বকের দ্রুত ফর্সা করে যেমন ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে ত্বককে ফর্সা করতে শুরু করে এবং ত্বকের রং উজ্জ্বল করে এই ক্রিমগুলো ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়। বর্তমান বাজারে বেশ কিছু নাইট ক্রিম কিনতে পাওয়া যায় যেগুলো ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যেই ত্বককে অস্বাভাবিকভাবে ফর্সা করে কিন্তু এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করার ফলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাও ফর্সা থাকবে আবারো কিছুদিন পর ত্বক আগের মত কালচে হয়ে যাবে এবং তাকে আরো বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হবে।
যেমন চামড়া পুড়ে যাওয়া , চামড়া কালো হয়ে যাওয়া, ব্রণ, মেস্তা ,ডার্ক স্পট, চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল, ব্ল্যাকহেডস হোয়াইটহেডস সহ ত্বকের নানান ধরনের সমস্যা তৈরি হবে।এইজন্য প্রতিটি স্কিন ডক্টর ত্বকে নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে মানা করেন কারণ এই ক্রিমগুলো ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর আপনি যদি লক্ষ করে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন যারা দীর্ঘদিন থেকে নাইট ক্রিম ব্যবহার করে তাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। তাকে অতিরিক্ত ব্রণ বিভিন্ন জায়গায় কালো দাগ, ত্বকের চামড়া পাতলা হয়ে যাওয়া, ত্বকের ভেতরের রোগ দেখা যাওয়া ইত্যাদি। চিকিৎসকরা বলেন ত্বকে নাইট ক্রিম ব্যবহার করার ফলে ত্বকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
লোটাস নাইট ক্রিম অন্যান্য নাইট ক্রিম এর মতই কাজ করে লোটাস নাইট ক্রিম ত্বকে ব্যবহার করলে ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যেই ত্বক অস্বাভাবিকভাবে ফর্সা হতে শুরু করে এবং এটি ত্বকের ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে উপর থেকে ত্বক উজ্জ্বল মনে হলেও এটি ত্বকের চামড়া পাতলা করতে শুরু করে যার ফলে ত্বক ফর্সা মনে হয়। কিন্তু এটি শুধুমাত্র এটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই ত্বককে ফর্সা দেখাবে।
আরো পড়ুন : গ্যাকোজিমা মলম এর উপকারিতা জানুন মাত্র ২ দিনেই দাদ হবে দূর
আবারো কিছু সময় পর ত্বক আগের তুলনায় আরো বেশি কালকে হয়ে যাবে। লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহারের ফলে ত্বক ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমার মতে যেকোনো ধরনের নাইট ক্রিম ত্বকে এপ্লাই না করাই উত্তম। লোটাস ব্রান্ড অনেক জনপ্রিয় হলেও লোটাস ব্র্যান্ড থেকে তৈরি এই নাইট ক্রিমটি ত্বকে ব্যবহার করলে যে সম্ভাব্য সমস্যাগুলো দেখা দিবে,
লোটাস নাইট ক্রিম এর অপকারিতা
- ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী পিগমেন্টেশন তৈরি হয়
- ত্বকের উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে নষ্ট হতে শুরু করবে
- চোখের নিচে কালো দাগ তৈরি হবে
- ত্বকের চামড়া দ্রুত ঝুলে যাবে
- এছাড়াও লোটাস নাইট ক্রিমের রয়েছে হাইড্রোকুইনন। এটি প্রেগনেন্সিতে ব্যবহার করা অনেক বিপজ্জনক।
- স্কিনে ইনফেকশন হতে পারে।
- স্কিন অনেক বেশি ড্রাই হয়ে যাবে
- ত্বকের চামড়া পাতলা হয়ে যাবে
- ত্বকের উপরিভাগের চামড়া পুড়ে যাবে।
- ব্রণ এবং ব্রণের থেকে সৃষ্ট ছোট ছোট কালচে দাগ তৈরি হবে।
- মেছতা
- ত্বকের চামড়া নষ্ট হয়ে যায়
- তাকে দীর্ঘস্থায়ী প্রেগমেন্টেশন তৈরি হয়
- চোখের নিচে কালো ডার্ক স্পট।
- ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট খুদি খুদি দাগ তৈরি হবে।
- ব্রণ থেকে তৈরি ত্বকে অস্বাভাবিক জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা হবে।
- বড় বড় ফোড়া এবং ফুসকুড়ি।
- স্কিন ক্যান্সার
লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহার করার ফলে উপরের এই অপকারিতা গুলো দেখা দিবে। যেকোনো ব্রান্ডের নাইট ক্রিম ব্যবহার করলে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। আমরা প্রত্যেকেই মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি জীব হলেও এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র ফর্সা রঙের অধিকারী মানুষদের বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয় এই জন্য এই সমাজে আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে ফর্সা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা এবং চাহিদা থেকে যায়।
এই সমাজে গায়ের রঙের উপর মানুষকে বিচার করা হয়, গায়ের রং ফর্সা হলে তাকে কোন ঝামেলা অশান্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না এবং গায়ের রং শ্যামলা এবং কালো হলেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তাকে বিভিন্ন নির্যাতন ও অশান্তির শিকার হতে হয়। এজন্য প্রত্যেকে ফর্সা হওয়ার জন্য বাজারে বিভিন্ন ক্ষতিকারক নাইট ক্রিম ত্বকে ব্যবহার করেন এবং ত্বককে দীর্ঘকালীন ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেন।
আমার মতে ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করার জন্য ঘরোয়া অবলম্বন করতে পারেন যেমন দুধের সর,মাখন, দুধ, কফি ,অ্যালোভেরা, পেঁপে, ত্বকে ব্যবহার করলে ভেতর থেকে ধীরে ধীরে ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে শুরু করবে। প্রাকৃতিক জিনিসের তুলনায় কখনোই কৃত্রিম জিনিস বেশি উপকারী হতে পারেনা মূলত প্রাকৃতিক জিনিসকে ব্যবহার করে কৃত্রিম উপাদান তৈরি করা হয়।
যদি বাসায় হোমমেড ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে ত্বক ধীরে ধীরে ফর্সা হতে শুরু করবে। আর প্রাকৃতিক উপায়ে বাসায় ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করলে ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন লোটাস নাইট ক্রিম এর অপকারিতা সম্পর্কে এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক লোটাস নাইট ক্রিম এর উপকারিতা।
লোটাস লাইট ক্রিম এর উপকারিতা
আপনি কি জানেন লোটাস নাইট ক্রিম এর উপকারিতা কি? আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন নাইট ক্রিম কোনটা ভালো? কোন নাইট ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না এবং স্থায়ীভাবে ফর্সা ভাব পাওয়া যাবে? যেকোনো নাইট ক্রিম ব্যবহার করার ফলে ত্বক একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফর্সা হয়।
কিন্তু কিছু সময় পর ত্বক আবারো আগের মত কালো হয়ে যায়। আবার এমন কিছু নাইট ক্রিম রয়েছে। যা ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা মনে হয় আবার দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার না করলে ত্বক আবার কাল হয়ে যায়। অর্থাৎ কখনো কোন নাইট ক্রিম ত্বককে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে পারে না।
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে হবে। যেমন হোমমেড ফেসপ্যাক, ফলমূলের রস। ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে ত্বককে ভেতর থেকে ধীরে ধীরে স্থায়ীভাবে ফর্সা রূপ দেওয়া যায়। তবে লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহার করার ফলে কিছু সম্ভাব্য উপকারিতা নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।
লোটাস লাইট ক্রিম এর উপকারিতা
- লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহার করার ফলে ত্বক ধীরে ধীরে ভেতর থেকে উজ্জ্বল হতে শুরু করে।
- ত্বক থেকে ডেড স্ক্রিন ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস দূর করতে সাহায্য করে।
- ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বক থেকে সানবার্ন দূর করতে সাহায্য করে।
- ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে।
- ত্বকের বলি দেখা দূর করে এবং ত্বককে আরো টানটান করতে সাহায্য করে, ত্বক থেকে বয়সের ছাপকে দূর করে।
- ত্বকের ডেড স্কিন গুলো দূর করে।
- ত্বকের বিভিন্ন অংশকে রিপেয়ার করতে সাহায্য করে।
- ত্বক থেকে ব্রণ ও ব্রণ থেকে তৈরি কালো দাগগুলো দূর করে।
- ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা দেখায়।
- ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমূহ সরবরাহ করে।
- ত্বকে পিএইচের মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহার করার ফলে ত্বক থেকে তৈলাক্ত ভাব দূর হয় এবং ত্বকের ph এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এই ক্রিমটি ব্যবহার করার প্রথম দিন থেকে ত্বক মসৃণ ও কোমল মনে হয়। লোটাস নাইট ক্রিম ত্বকের জন্য উপকারী হলেও দীর্ঘদিন এই ক্রিমটি ব্যবহার করার ফলে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি হয় যেমন ত্বকে ব্রণ তৈরি হয়, কালো দাগ তৈরি হয়।
লোটাস নাইট ক্রিম থেকে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায় যা ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমূহকে পূরণ করে এবং ত্বক থেকে বলিরেখা দূর করে টক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে যারা অল্প বয়সে ত্বকের বলি রেখা নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন তারা লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। এটি তার থেকে বয়সের ছাপ দূর করবে এবং ত্বককে আরো সুন্দর করতে সাহায্য করবে।
লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম কি? যে কোন ক্রিম ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম দেওয়া রয়েছে সেই নিয়ম অনুসারে ক্রিম ব্যবহার করতে হবে অন্যথায় ক্রিমের কোন উপকারিতা পাওয়া যাবে না। ঔষধ খাওয়ার যেমন নিয়ম দেওয়া থাকে এই সময়ে এত পরিমান ঔষধ সেবন করতে হবে ঠিক একইভাবে নাইট ক্রিম ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম দেওয়া থাকে এই সময় এত পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।
নাইট ক্রিম মানেই ক্রিম গুলো রাতে ব্যবহার উপযোগী। দিনে ক্রিম ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধূলাবালি লাগতে পারে। কাজ করার সময় ক্রিম উঠে যেতে পারে এই জন্য এই ক্রিমগুলো রাতে ব্যবহার করা বেশি নিরাপদ। রাতে ঘুমানোর আগে দুই আঙ্গুলের সাহায্যে আলতো করে নাইট ক্রিম নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। লোটাস নাইট ক্রিম ত্বকে ডলাডলি কিংবা ঘষাঘষি করা যাবে না।
দুই আঙ্গুলের সাহায্যে নাইট ক্রিম হাতে নিয়ে ত্বকে দুই আঙ্গুলের সাহায্যে ব্যবহার করতে হবে অনেকেই নাইট ক্রিম পাঁচ আঙুলের সাহায্যে ব্যবহার করেন। কিন্তু নাইট ক্রিম সর্বদা এক আঙ্গুল অথবা 2 আঙ্গুলের সাহায্যে ব্যবহার করতে হয়। নাইট ক্রিম ব্যবহার করে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকবেন তখন এই ক্রিমটি আপনার ত্বকের মেরামত শুরু করবে।
নাইট ক্রিম কখনো নিয়মিত ব্যবহার করবেন না। নিয়মিত নাইট ক্রিম ব্যবহার করলে এটি অভ্যাসে পরিণত হবে যার ফলে একদিন অথবা দুই দিন ব্যবহার না করলে আবার ত্বক পুনরায় কালো মনে হয়। অনেকেই নিয়মিত নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন এই জন্য একদিন অথবা দুই দিন নাইট ক্রিম না দিলে তবে আবারো কালো হয়ে যায়। নাইট ক্রিম সর্বদা ৪ থেকে ৫ দিন পর পর ব্যবহার করতে হবে এতে ক্রিমের কোন ইফেক্ট ত্বকের পড়বে না।
আরো দেখুন: দাউদ এর সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি? বিস্তারিত জানুন
লোটাস লাইট ক্রিম এর দাম
আপনি কি জানেন লোটাস নাইট ক্রিম এর দাম কত? যারা এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে চান তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে গ্লোটাস নাইট ক্রিম এর দাম কত। লোটাস নাইট ক্রিম তিনটি প্যাকেজে পাওয়া যায় একটি ৪০ মিলিগ্রাম, অপরটি ৫০ মিলিগ্রাম এবং ৬০ মিলিগ্রাম। লোটাস ৪০ মিলিগ্রাম হোয়াইটনিং ক্রিম এর দাম হল ৫৫০ টাকা।
লোটাস নাইট ক্রিম ৫০ মিলিগ্রাম প্যাকেজ এর দাম হলো ৬৯০ টাকা এবং লোটাস ৬০ মিলিগ্রাম হোয়াইটিনিং নাইট ক্রিম এর দাম হলো ৮০০ টাকা। বাজারে এই তিনটি প্যাকেজে লোটাস নাইট ক্রিম পাওয়া যায় নাইট ক্রিম গুলোর দাম হল ৫৫০, ৬৯০ এবং ৮০০। প্রথমে একবার ট্রাই করার জন্য লোটাস ৪০ মিলিগ্রাম নাইট ক্রিম ক্রয় করতে পারেন। ৪০ মিলিগ্রাম এর দাম হল ৫৫০ টাকা।
স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের যেকোনো দোকানে লোটাস নাইট ক্রিম কিনতে পাওয়া যাবে লোটাস খুবই জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড তাই প্রতিটি দোকানেই লোটাস ব্র্যান্ড এর পণ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও যদি লোকাল বাজারে না পাওয়া যায় তাহলে অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটি অনলাইন শপিং সাইট হল Daraz। এইখানে সব ধরনের পণ্য পাওয়া যায় অনলাইনে ঝটপট অর্ডার করে ব্যবহার করতে পারবেন এছাড়াও অনলাইনে অর্ডার করলে, ভাউচার কার্ড ব্যবহার করে অল্প মূল্যে প্রোডাক্ট ক্রয় করা যায়।
লোটাস নাইট ক্রিম রিভিউ
যেকোনো ক্রিম ব্যবহার করার আগে এখন আমরা অনলাইনে রিভিউ দেখি সেই ক্রিম সম্পর্কে কেমন রিভিউ পাওয়া যাচ্ছে ?যদি ভালো রিভিউ পাওয়া যায় তাহলে সে ক্রিমটি ক্রয় করি। তাই আপনারা অনেকেই কমেন্ট বক্সে জিজ্ঞাসা করেন লোটাস নাইট ক্রিম রিভিউ সম্পর্কে। যেহেতু প্রত্যেকের স্কিন আলাদা তাই প্রত্যেকের স্কিনে একটি প্রোডাক্ট ভালোভাবে কাজ করবে ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়।
তবে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী থেকে জানা গেছে যে লোটাস নাইট ক্রিম কি বেশ ভালো এবং এই নাইট ক্রিমটি ব্যবহার করার ফলে ত্বক অনেক বেশি মসৃণ ও কোমল হয়ে যায়। বিশেষ করে শীতকালে এই টিমটি ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্ক ভাব কমে এবং ত্বক ময়শ্চেরাই ও হাইড্রেট থাকে। শীতকালে এই ক্রিমটি ব্যবহার উপযোগী। লোটাস নাইট ক্রিম ছাড়াও লোটাস ব্র্যান্ড থেকে আরও বিভিন্ন ক্রিম পাওয়া যায় যেগুলো ত্বকের জন্য খুব উপকারী। যেমন লোটাস মশ্চারাইজিং ক্রিম ,লোটাস হাইড্রেটিং ক্রিম।
লোটাস মশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক ভেতর থেকে মশ্চারাইজ থাকে এবং ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হয় ত্বক টানটান ও আরো গ্লোয়িং হয়। বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর মাধ্যম থেকে জানা গেছে যে লোটাস ব্যান্ডের যে কোন পণ্য খুবই ভালো এবং এই ব্র্যান্ডের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট গুলো খুব বেশি দুর্দান্ত স্কিনে ব্যবহার করার ফলে ভালো ফলাফল লাভ করা যায়। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন লোটাস নাইট ক্রিম রিভিউ সম্পর্কে।
লেখক এর শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম লোটাস নাইট ক্রিম এর অপকারিতা লোটাস নাইট ক্রিম এর উপকারিতা, লোটাস নাইট ক্রিম রিভিউ, লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম এবং লোটাস নাইট ক্রিম এর দাম সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে বাজারে বিভিন্ন ধরনের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট পাওয়া যায় তার মধ্যে একটি হলো লোটাস নাইট ক্রিম এটি ত্বকের জন্য ভালো নাকি খারাপ সেই বিষয়ে আপনারা অনেকেই জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা লোটাস নাইট ক্রিম সম্পর্কে আলোচনা করলাম।
নাইট ক্রিম এর মধ্যে এ লোটাস নাইট ক্রিমটি বেশ জনপ্রিয় এবং এটি ত্বকের জন্য ভালো। ত্বকের ভেতর থেকে মশ্চরাইজ করে এবং ত্বকে কোমল ও টানটান করতে সাহায্য করে ত্বক থেকে বলিরেখা দূর করে এবং তার থেকে বয়সের ছাপ দূর করে। তবে যে কোন নাইট ক্রিম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা মানা করেন কারণ নাইট ক্রিম ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হয়, এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ত্বকে ফর্সা করে কিন্তু আবারও ত্বক ধীরে ধীরে আগের মত কালচে হতে থাকে।
সাথে ত্বকে নানান প্রকার সমস্যা তৈরি হতে শুরু করে এর জন্য চিকিৎসকরা নাইট ক্রিম ব্যবহার করার জন্য মানা করেন। তবে যারা ত্বকের ভেতর থেকে ফর্সা করতে চান এবং ত্বকের সৌন্দর্যতা ফুটিয়ে তুলতে চায় নিজেকে সুন্দর হিসেবে দাবি করতে চান তারা ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন। যেকোনো প্রডাক্ট প্রাকৃতিক এবং রাসায়নিক পদার্থ ের সম্মেলনেই তৈরি করা হয় তাই আপনি যদি সরাসরি প্রাকৃতিক উপাদানগুলো তাকে ব্যবহার করেন তাহলে এদের পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করতে পারবেন। তাই বাসায় তৈরি ফেসপ্যাক ত্বকের ব্যবহার করুন এবং তাকে ভেতর থেকে ফর্সা করে তুলুন আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন lotus নাইট ক্রিম এর উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি