| | | | | | | |

দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ এবং দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম

Table of Contents

দাদ হলো ত্বকের সংক্রমণ। ত্বক ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হলে দাদ হয়। দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ এবং দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন দেখতে থাকুন। দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়, দাদ রোগের প্রতিকার, দাদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায় এবং দাউদের সবচেয়ে ভালো মানব সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব।

দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ এবং দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম

ফাংগাল ইনফেকশন থেকে দাউদ ছড়ায় দাউদ একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই দাউদ হলে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করতে হবে। নিচে দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ এবং দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম, দাদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায় এবং দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে দেওয়া রয়েছে।

দাদ কাকে বলে

দাদ এর ইংরেজি হল dermatophytosis। এটি এক ধরনের চর্মরোগ। ত্বকের ওপরে যখন ছত্রাক সংক্রমণ করে তখন থেকে দাদ বলে। দাদ গোলাকার আকৃতির হয়। ছত্রাক বেশিরভাগ সময় পায়ের চিপায় মাথার পিছনে শরীরে হাতে পায়ে কিংবা পায়ের পাতায় অথবা আঙ্গুলের নখে সংক্রমণ করে।

মাথায় পুরনো ছিল রেটিং বা পায়ে পুরনো ময়লা মোজা পরার ফলে দাদ হতে পারে দাদ এড়িয়ে চলার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হবে। যারা অপরিষ্কার থাকে পুরস্কার পরিচালক জীবন যাপন করে না তাদের দাঁত হয়। তবে ব্যাপারটি এমন নয় যে শুধুমাত্র অপরিষ্কার মানুষেরই দাদ হয় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন থেকে আরেকজনের কাছে এই রোগটি ছড়িয়ে যায়।

দাউদ হল এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে চলাফেরা করা মেলামেশা করার ফলে দাউদ ছড়িয়ে পড়তে পারে। অন্যান্য চুলকানি কিংবা ত্বক ইনফেকশনের তুলনায় দাউদ অনেক মারাত্মক এটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত ত্বকে থাকে । এবং যতদিন বাড়তে থাকে ততই ছত্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং এরা এদের কোষ ঝিল্লিকে আরো মজবুত করে যার ফলে দাউদের সংখ্যা আরো বেড়ে যায়। ওপরে আমরা দেখলাম দাদ কাকে বলে এবার নিচে দেখে নিন দাদের ছত্রাক কয় ধরনের হয়।

দাদের ছত্রাক কয় ধরনের হয়

ছত্রাক সংক্রমণের ফলে দাদ হয়। কোন ছত্রাক আক্রমণ করলে দাদ হয়? ট্রাইকোফাইটন, এপিডার্মপাইটোন এবং মাইক্রোমপাড়াম ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হলে দাদ হয়। এই ছত্রাকগুলো অনেক মারাত্মক হয় এরা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ করে অর্থাৎ ত্বকের সংক্রমণ করলে এক দুই দিনের ভালো হয়ে যায় না এটি দীর্ঘস্থায়ী হয় দীর্ঘদিন এরা ত্বকের সংক্রমণ করতে থাকে যার ফলে ত্বকে সবসময় চুলকানি অনুভূত হয় এবং লাল লাল পুসকুড়ি তৈরি হয়।

কোথায় দাদ হয়

যে অংশগুলো সব সময় ভেজা থাকে সে অংশগুলোতে দাদ সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যেমন মাথার চুল গোসল করার পর ভিজা থাকে যদি চুল ভালোভাবে শুকানো না হয় এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভেজা থাকে তাহলে মাথায় দাদ হতে পারে। আবার পায়ের চিপায় বেশিরভাগ মানুষেরই দাদ হয়।

আরো দেখুনঃ জল দূষণের কারন অ প্রতিকার

আঙ্গুলের মাঝে দাদ হয় আঙ্গুলের মাঝের এই অংশটিতে পানি জমে থাকে এবং সেখানে আক্রমণ করে যার ফলে দাদ হয়। এইজন্য সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়াও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে শরীর সুস্থ থাকে এবং দাউদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

দাদ এমন একটি ছোঁয়াচে রোগ যা একজন থেকে অন্য আরেকজনের কাছে ছড়াতে পারে। এটি ত্বকের উপরে লাল লাল ফোস করে তৈরি করে। প্রথম অবস্থায় চুলকানি অল্প থাকলেও ধীরে ধীরে এটি ছড়িয়ে পড়ে এবং এর আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরবর্তী সময়ে এর চুলকানির পরিমাণ এত বেশি তীব্র হয়ে ওঠে যে কোনোভাবে এটি সহ্য করা সম্ভব হয় না।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন না করার ফলে এবং কোন একটি জায়গা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভেজা থাকার ফলে দাদ হতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন ভেজা চুল রেখে দিলে কিংবা শরীরে কোন জায়গা ভেজা থাকলে সেখানে দাদ হতে পারে। যারা দীর্ঘদিন থেকে দাঁত নিয়ে ভুগছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি আজকে এমন কয়েকটি উপায় শেয়ার করা হবে এই উপায় গুলো অবলম্বন করে খুব সহজে দাগ থেকে রেহাই পাবেন।

নারকেল তেল

নারকেল তেল তোকে শুষ্কতা দূর করে এবং তাকে গভীরভাবে নরম ও ময়শ্চেরাইজ রাখে। অনেক সময় ত্বক খসখসে থাকার ফলেও দাদ হতে পারে এইজন্য দাদ দূর করতে তোকে নারকেলের ব্যবহার করতে হবে যে অংশটুকুতে বেশি চুলকানি অনুভূতি হচ্ছে সেখানে ভালো করে নারকেল তেল ম্যাসাজ করতে হবে। নারকেল তেল হালকা গরম করে মাসাজ করলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। সাধারণ চুলকানি দূর করতে নারকেল তেল কার্যকরী হলেও তাদের ক্ষেত্রে নারকেল তেল কোন ভূমিকা পালন করে না।

নিমের পাতা

নিমের পাতা দাদ প্রতিরোধ করতে খুব কার্যকরী নিমের পাতা থেকে শক্তিশালী এন্টিফাঙ্গা উপাদান পাওয়া যায় যা ফাঙ্গাল ইনফেকশন দিয়ে দূর করে। ফাংগল অথবা ছত্রাকের আক্রমণে দাদ হয়। ফাংগাল ইনফেকশনের একটি ধরনের নাম হল দাদ

এই দাদ থেকে বাঁচতে নিমের পাতা পাটায় পিষে তার রস আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে তিন থেকে চার বার হিমেল পাতার রস আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করার ফলে চুলকানি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

ঠান্ডা পানি ব্যবহার

আক্রান্ত স্থানে বেশি পানি ব্যবহার করতে হবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। অনেকে চুলকানি দূর করতে গরম পানি ব্যবহার করেন কিন্তু এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ ভুল। আক্রান্ত স্থানে গরম পানি ব্যবহার করলে এতে কত আরো বেড়ে যাবে এইজন্য ঠান্ডা পানি ধীরে ধীরে ব্যবহার করুন এবং স্থানটিকে সবসময় পরিস্কার ও শুকনা রাখতে হবে।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা থেকে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাওয়া যায় ছত্রাক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ছত্রাক দমন করতে এলোভেরা ব্যবহার করতে হবে সরাসরি অ্যালোভেরা গাছ থেকে নিয়ে তার রস বের করে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ বার আক্রান্ত স্থানে এলোভেরা ব্যবহার করলে দমন হবে এবং দাউদ দূর হবে।


হলুদ


হলুদ থেকে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান পাওয়া যায় এটি দাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করে। যে খাবারগুলোতে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে সে খাবার গুলো খেতে হবে এতে দাঁত দূর হবে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাইলে উপরের এই উপায় গুলো খুব কার্যকারি।

কাঁচা পেঁপে


কাঁচা পেঁপে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী, কাঁচা পেঁপে থেকে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন পাওয়া যায় কাঁচা পেঁপে বেটে কাঁচা পেঁপের সাথে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে মাসাজ করতে হবে এতে অনেকটা আরাম পাওয়া যাবে।


ভিনেগার


লেবুতে এমন সব উপাদান রয়েছে যা ত্বকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে আর ভিনেগারে শত শত লেবুর শক্তি রয়েছে আক্রান্ত স্থানে ভিনেগার ব্যবহার করার ফলেও দাঁত দূর হতে পারে। ভিনেগার বাসায় না থাকলে সরাসরি লেবুর পানি নিয়ে আক্রান্ত স্থানে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট মাস কাজ করবেন লেবুর সাথে হলুদ গুঁড়ো এবং নিমপাতা মিশিয়ে নিলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।


ঘৃতকুমারীর রস


ঘৃতকুমারী রস থেকে উচ্চমানের এন্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান পাওয়া যায় যা নিমিষেই দাদের সমস্যাটি দূর করতে পারে। ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে দাঁত থেকে বাঁচতে ঘৃতকুমারীর রস আক্রান্ত স্থানে ছয় থেকে সাত মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে এতে পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যেই দাদ এর সমস্যা চিরতরে সেরে যাবে।

বেসন


বেসনের সাথে হলুদ এবং নিমপাতা মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে দাদ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। বেসন থেকে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাওয়া যায় এটি দাদের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং তার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।


কর্পূর


করব দাঁতের চিকিৎসায় বেশি উপকারী একটি উপাদান। কর্পূরের সাথে সরিষার তেল মিশিয়ে কয়েকদিন স্থানে ব্যবহার করার ফলে দাদের দাগ সহ দাদ দূর হয়ে যাবে। বেশ কয়েক মানুষ দাদ দূর করতে তোকে কর্পূর ব্যবহার করেছেন এবং ভালো ফলাফল লাভ করেছেন।


রসুন বাটা


রসুন থেকে প্রচুর এন্টি ফাঙ্গাল উপাদান পাওয়া যায় যা ফাংগাল ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। তাই দাদের বিরুদ্ধে এটি খুব কার্যকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করতে পারে। তাই নিয়মিত রসুন বাটা আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। এতে দাদ পাঁচ থেকে ছয় দিনেই প্রতিরোধ হবে এবং দাদ থেকে সৃষ্ট দাগগুলো মিশে যাবে।


উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে দাগ থেকে বাঁচা যাবে আশা করছি ও দাঁত চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন ঝটপট দেখে আসা যাক দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ।

দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ


দাদ হলে যে খাবারগুলো খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে আজকে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। দাদ অবশ্যই এটি মারাত্মক রোগ আমরা অনেকেই দাগকে সাধারণ চুলকানি মনে করি কিন্তু এটি একটি ক্ষতিকর ফাঙ্গাল ইনফেকশন যা ত্বককে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বসবাস করে এবং চুলকানি প্রদাহ সৃষ্টি করে এটি খুবই অস্বস্তিকর। ছত্রাক তাকে আক্রমণ করার পরে দাদ সৃষ্টি হয় এটি শরীরে যে কোন অংশ হতে পারে বিশেষ করে যে অংশগুলো সব সময় ভেজে থাকে যেমন মাথা মাথার চুল পায়ের আঙ্গুলের ভেতরের অংশ। এই সমস্ত জায়গায় বেশি ছত্রাক আক্রমণ করে।

দাদ হলে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খাওয়ার পরে তাদের পরিমাণ আরো বেড়ে যায় এবং অস্বস্তি কেউ চুলকানি সৃষ্টি হয়। তাই দাঁত থেকে বাঁচতে নিম্ন তো খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে এবং বেশি বেশি পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে সাথে উপরের ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে। নিচে দেখে নিন দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ।

চিকিৎসকের ভাষায় দাদ হলে নির্দিষ্ট কোন খাবার খাওয়া যাবেনা এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যেমন বেগুন কিংবা আলুর পটল খেলে তদের পরিমাণ বেড়ে যাবে এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি দাদ হলে যে কোন খাবার খাওয়া যাবে। দাদ এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন যা প্রতিরোধ করার জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

দাদ ধরে খাবার তালিকা পরিবর্তন করার কোন প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হবে এবং যে জায়গায় ছত্রাকের আক্রমণ রয়েছে সেই জায়গা সব সময় শুকনা রাখতে হবে। অনেকে মনে করেন এলার্জির মতো ফাঙ্গাল ইনফেকশন। দাদ হলে বেগুন প্রচুর ইলিশ মাছ গরুর মাংস এই খাবারগুলো নিষেধ রয়েছে কিংবা বাদ দিয়ে খেতে হবে। কিন্তু এই ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল তা ধরে নিঃসন্দেহে গরুর মাংস চিংড়ি মাছ এবং বেগুন খেতে পারেন এতে কোন সমস্যা হবে না।


দাদ হওয়ার সাথে এলার্জির কোন সম্পর্ক নেই। তবে দাঁত থেকে রেহাই পেতে উপরের ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দাঁত থেকে বাঁচতে চিকিৎসক এন্টিফাঙ্গাল ট্যাবলেট সাজেস্ট করেন। বিভিন্ন ধরনের এন্টিফাঙ্গাল ট্যাবলেট রয়েছে যেমন ইট্রাকন ২০০, ইট্রাকন ১০০, nocondia 100।

প্রতিদিন দুইটি ট্যাবলেট সেবন করলে ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে দাদ দূর হবে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ। দাদ ধরে যে কোন খাবার খেতে পারবেন কিন্তু শুধুমাত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হবে এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে তাহলে দাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি দাদ রোগের প্রতিকার।


দাদ রোগের প্রতিকার


দাদ রোগের প্রতিকার করার জন্য প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে এন্টিফাঙ্গাল ঔষধ সেবন করতে হবে দাদ রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা হলো antifungal medicine সেবন করা। ফাংগাল ইনফেকশন এর ফলে দাদ হয় দাদ বলতে বোঝায় তাদের উপরে ছত্রাকের আক্রমন। ত্বকের উপরিভাগের অংশে ছত্রাক আক্রমণ করলে দাদ হয়।

প্রথমে দাগ থেকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি তৈরি হয়।। প্রথম অবস্থায় চুলকানির পরিমাণ কম থাকলেও যতদিন বাড়তে থাকে দাদের পরিমাণ তবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। দাদ রোগের প্রতিকার করতে উপায় গুলো অবলম্বন করতে হবে।

  • নিয়মিত গোসল করতে হবে
  • সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে
  • শরীরের কোন অংশ ভেজা রাখা যাবে না
  • চুল ভেজা থাকলে, চুল শুকিয়ে নিতে হবে
  • এন্টিফাঙ্গাল ঔষধ সেবন করতে হবে
  • আক্রান্ত স্থানে সাবান ব্যবহার করা যাবে না
  • আক্রান্ত স্থানের শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না
  • আক্রান্ত স্থানে সময়মত মলম ব্যবহার করতে হবে
  • চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে


সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে দাদ রোগের প্রতিকার হবে। দাদ রোগের ফলে ত্বকে ওটাতো চুলকানি অনুভূত হয়। দাদ থেকে বাঁচতে উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি।


দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি


দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম হলো লুলি জল ক্রিম, ক্রোটি মাজল, ফ্যানডিটেল ক্রিম, ফাঙ্গি ডাল ক্রিম। এই ক্রিম গুলো ব্যবহার করার পরে দাউদ দূর হয়। দাউদ অনেক মারাত্মক রোগ। ত্বকের উপরিভাগ ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হলে দাউদ হয়। দাউদ দূর করার জন্য উপরের এই মলমগুলো ব্যবহার করতে হবে।

প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে আক্রান্ত স্থান শুকনো থাকলে হাতে দুই আঙ্গুলের সাহায্যে মলম নিয়ে আক্রান্ত স্থানে মাসাজ করতে হবে। মলম ৫ থেকে ছয় মিনিট পর মুছে ফেলা যাবে না। দীর্ঘক্ষণ সময় পর্যন্ত মলমটি ত্বকে মাসাজ করতে হবে এতে ছত্রাক দূর হবে। নিচে দেখে নিন দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম গুলোর লিস্ট দেওয়া রয়েছে।

  • Fungidal cream
  • Lulizol cream
  • Eberconazole cream
  • Crotinezole cream
  • Anti Fungidal cream


ফাংগাল ইনফেকশন দূর করতে ওপরের এই মলমগুলো ব্যবহার করতে হবে দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম হলো উপরের এই কয়েকটি মলম। দাউদ থেকে রেহাই পেতে এবং দাউদের দাগ দূর করতে ওপরের এই কয়েকটি মলম ব্যবহার করতে পারেন। টাঙ্গাইল ইনফেকশন এর পরিমাণ অনেক তীব্র হয়ে চিকিৎসা করে পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরী। এবার চলুন আমরা দেখে আসি দাদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায়?

দাদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায়


দাঁতের প্রথম চিকিৎসা হলো এন্টিফাঙ্গাল ঔষধ সেবন করা এবং মলম ব্যবহার করা। প্রথম চিকিৎসায় চিকিৎসক আক্রান্ত ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। আক্রান্ত স্থানে সাবান ব্যবহার করার ফলে আপনার তো স্থানটি আরো বেশি শেতশেতে হয়ে যেতে পারে। এই জন্য আক্রান্ত স্থানে কোন প্রকার সাবান ব্যবহার করা যাবে না। সাবান কিংবা শ্যাম্পু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।


ঠান্ডা পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে ফেলতে হবে এবং পাতলা কাপড়ের সাহায্যে পানি শুষে নিতে হবে। আক্রান্ত স্থান শেতশেতে থাকলে ফাংগাল ইনফেকশন এর পরিমান আরো বেড়ে যাবে। ফাদার ইনফেকশন চিকিৎসায় দ্বিতীয় পর্যায়ে চিকিৎসক সাবান ব্যবহার করতে বললে কিটোকোনাজল এবং লুলিকোনাজল সাবান ব্যবহার করতে হবে এই সাবান গোসল করার ৫ মিনিট আগে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে।


এই সাবানটি তাকে ব্যবহার করার ফলে দাদ দূর হয়। দাদ এর পরিমাণ অনেক ছড়িয়ে গেলে এবং ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় দাদ হলে এই সাবান অথবা শ্যাম্পু টি ব্যবহার করতে হবে সাবান টির নাম হলো কিটোকোনাজল এবং লুলিকোনাজল। এবার চলুন আমরা দেখে আসি দাদ হলে কি ওষুধ খেতে হবে।


দাদ হলে কি ওষুধ খেতে হবে


দাদ নিয়ে চিন্তিত? দাঁতের চুলকানি অনেক অস্বস্তিকর মুহূর্ত তৈরি করছে? দাদ অনেক মারাত্মক রোগ এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের মধ্যে একটি। অন্যান্য চুলকানি রোগের মতো দাঁত সাধারণ নয় দাদ হলে দীর্ঘদিন ত্বক চুলকাতেই থাকে এবং দাঁত বলতে বোঝায় ত্বকের উপরিভাগ ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হলে দাদ হয়। দাদ এটি একপ্রকার ছোঁয়াচে রোগ যা একজন থেকে আরো ৩-৪ জনের মাঝে স্থানান্তরিত হয়।। নিচে দেখে নিন দাদ হলে কি ওষুধ খেতে হবে।

  • ইট্রাকোন ১০০
  • ইট্রাকোন ২০০
  • নকান্ডিয়া ১০০
  • ভোরি 200


ওপরের এই ঔষধ গুলো দাদ এর জন্য খুব জনপ্রিয়। এটা কোন ১০০ এবং ইট্রাকন ২০০ হলো ইট্রাকোনাজল ট্যাবলেট উপাদানে ভরপুর এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। সাত থেকে আট দিন দিনে দুইবার ইট্রাকোন ২০০ এই ট্যাবলেট সেবন করলে চিরতরে দাদের সমস্যা দূর হবে। পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন দাদ হলে কি ওষুধ খেতে হবে।


লেখকের শেষ মন্তব্য


আজকের এই আর্টিকেলে দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ এবং দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম সম্পর্কে আলোচনা করলাম অনেকে জিজ্ঞাসা করেন দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ? আমার মতে দাদ হলে কোন খাবারের প্রতি বাধ্যবাধকতা নেই যে এই খাবার খেতে হবে কিংবা এই খাবার খাওয়া যাবে না।

দাদের ইচ্ছা অনুসারে যে কোন খাবার খেতে পারেন ডেইলি রুটিন অনুসারে খাবার গ্রহণ করতে পারবেন কিন্তু দাদ হলে দাদ হলে দাঁত প্রতিরোধ করতে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং ওষুধ সেবন করতে হবে এন্টি ফাংগাল ট্যাবলেট গ্রহণ করতে হবে। ফাংগাল ইনফেকশন কে বলা হয় দাদ দাদ বলতে বোঝায় ত্বকের উপরিভাগে অথবা ছত্রাক এর আক্রমণ।


ত্বকে ছত্রাকের আক্রমণ ঘটলে গোল ফুসকুড়ি হয় এবং লাল হয়ে ওঠে পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে এই ফুসকুড়ি গুলো একা ধারণ করে এবং অতিরিক্ত চুলকানি অনুভূত হয় যা জীবনকে অস্বস্তিকর করে তোলে। তাই দাদ দূর করতে অথবা পাগল ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন আজকের এই আর্টিকেলে ফাঙ্গাল ইনফেকশন সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করলাম এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো কমেন্ট সেকশনে অবশ্যই জানাবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *