দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ২০২৪
২০২৪ সালে দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে এমন মেডিসিন সম্পর্কে আলোচনা করব যা ব্যবহার করলে মাত্র ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে চিরতরে দাউদ দূর হবে। আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ২০২৪, দাউদ এর ঔষধ এর নাম, দাউদের মলমের নাম এবং দাউদ কেন হয়।

আপনি যদি দাউদ থেকে চিরতরে রেহাই পেতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। ত্বকে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ফলে দাউদ তৈরি হয়। ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে এবং দাউদ প্রতিরোধ করতে আজকের এই পোস্টে দাউদের সবচেয়ে ভাল মলম ২০২৪, দাউদ কেন হয়, দাউদের মলমের নাম এবং দাউদ এর ঔষধ এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
দাউদ কাকে বলে?
দাউদ এক ধরনের সংক্রমক চর্মরোগ। এটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন এর ফলে ঘটে ফাংগাল ইনফেকশন বলতে বোঝায় ফাঙ্গাস ভাইরাস দ্বারা ত্বক সংক্রমিত হওয়া। ফাঙ্গাল ইনফেকশনের বিভিন্ন ধরনের রয়েছে তার মধ্যে একটি অন্যতম হলো দাউদ। দাউদের চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি।
দাউদ এক ধরনের মারাত্মক ফাঙ্গাল ইনফেকশন এবং দাউদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পায়ের কুচকি, মাথায় হয়। যে অংশগুলো সর্বদা ভিজে থাকে সে অংশগুলোতে দাউদ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি হয়। যেমন পায়ের কুঁচকে বেশিরভাগ সময় ভেজে থাকে এজন্য সেখানে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়।
আরো পড়ুন: দাউদ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ? বিস্তারিত জানুন
মাথায় ভেজা চুলের কারণে ত্বক ভেজা হয়ে থাকে এজন্য সেখানে ফাঙ্গাল ইনফেকশন ঘটে। মাথায় দাউদ হলে চুল উঠে যায়। এক কথায় দাউদ একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগ। আজকের এই আর্টিকেলে মূল আলোচ্য বিষয় হলো দাউদ প্রতিরোধ করা কিভাবে কোন মলম ব্যবহার করলে দাউদ দূর হবে নিচে দেখে নিন দাউদের মলমের নাম।
দাউদের মলমের নাম
আপনি কি দাউদের মলমের নাম খুঁজছেন? দাউদের বিভিন্ন মলম রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে দাউদ প্রতিরোধ করার জন্য মলম তৈরি করা হয়েছে। দাউদ এক ধরনের চর্মরোগ এটি কখনো একা একা সেরে যায় না দাউদ প্রতিরোধ করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হয়।
আপনারা অনেকে মনে করেন হতে পারে দাউদ এটি আপনা আপনি সেরে যাবে কিন্তু ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। দাউদ সময়ের সাথে বংশবিস্তার করে এবং ছত্রাকের পরিমাণ বাড়তে থাকে যার ফলে ত্বকে চুলকানির পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে এবং ধীরে ধীরে এটি সম্পূর্ণ শরীরে ছড়িয়ে যাবে।
দাউদ একটি ছোঁয়াচে রোগ এটি একজন থেকে অপরজনের কাছে স্থানান্তরিত হয় এই জন্য বাসায় কেউ দাউদ দ্বারা আক্রান্ত থাকলে তার থালাবাসন এবং জামাকাপড় আলাদা রাখতে হবে। দাউদে আক্রান্ত রোগীর মাথায় ব্যবহার করা চিরুনি এবং জন্য কাপড় ব্যবহার করলে অপর ব্যক্তি ও দাউদ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে। দাউদ প্রতিরোধের জন্য নিচে মলমের নাম গুলো দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।
- amorolfin
- Lotrimazole
- Sufenazole
- Nystatin
- itraconazol
- Econazole
- Ketoconazole
- Decamethoxine
- Bifonazole
- Bromoconazole
- Pentamidine
ওপরের এই মলম গুলো দাউদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়। দাউদের তিনটি অবস্থা রয়েছে। প্রথম অবস্থা ,দ্বিতীয় অবস্থা এবং তৃতীয় অবস্থা। প্রথম অবস্থায় দাউদ যেকোনো এক জায়গায় থাকে। সময়ের সাথে এটি বংশবিস্তার করে এবং ধীরে ধীরে শরীরের আরো অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থাকে বলা হয় দ্বিতীয় অবস্থা এবং যখন সম্পূর্ণ শরীরের দাউদ তৈরি হয়। সম্পূর্ণ শরীরে জ্বালাপোড়া তৈরি হয় তখন এই অবস্থাকে বলা হবে তৃতীয় অবস্থা।
প্রথম অবস্থায় দাউদের চিকিৎসা
প্রথম অবস্থায় দাউদের চিকিৎসা: প্রথম অবস্থায় শুধুমাত্র মলম ব্যবহার করলে দাউদ প্রতিরোধ হবে। প্রথম অবস্থা বলতে বোঝায় যখন দাউদ ধীরে ধীরে তৈরি হবে আপনার শরীরের যেকোনো একটি অংশে প্রচুর চুলকানি অনুভূত হবে এবং ডিম্ব আকৃতির ফুসকুড়ি তৈরি হবে এই ফুসকুড়ি গুলো ধীরে ধীরে কালচে রং ধারণ করবে এবং অতিরিক্ত চুলকানি হবে।
প্রথম অবস্থায় দাউদ শরীরের অন্যান্য অংশের ছড়াতে পায় না। এদের একটি কোষ ঝিল্লি থাকে যা তাদেরকে বংশবিস্তার করতে সাহায্য প্রদান করে ধীরে ধীরে এই কোর্স ঝিল্লি আরো শক্তিশালী হতে থাকে এবং এরা শরীরের আরো অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
প্রথম অবস্থায় দাউদ প্রতিরোধ করতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে মলম ব্যবহার করতে হবে। দাউদের চিকিৎসায় Lulizol cream ব্যবহার করা হয়। এই মলমটি আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে এতে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে দাউদের চুলকানি কমতে শুরু করবে এবং দাউদ দূর হবে।
এই ক্রিমটি আক্রান্ত স্থানে প্রদাহ কমায় এবং তুলনামূলক চুলকানি কমিয়ে দেয়। দাউদ প্রথম অবস্থায় থাকলে অথবা ১ থেকে দুই মাস পর্যন্ত ত্বকে দাউদের চুলকানি থাকলে সেখানে ভেজা কাপড়ের সাহায্যে পরিষ্কার করে নিতে হবে তারপর দুই আঙ্গুলের সাহায্যে Lulizol cream নিয়ে আক্রান্ত স্থানে আলতো ভাবে ব্যবহার করতে হবে।
শরীরে যে অংশের দাউদ রয়েছে সেই জায়গাটি সবসময়ই শুষ্ক অবস্থায় রাখতে হবে। আক্রান্ত স্থান সবসময় ভেজা থাকলে সেই জায়গাটিতে দাউদের সংখ্যা আরো বাড়তে শুরু করে। এইজন্য আক্রান্ত স্থান সর্বদা শুষ্ক রাখার চেষ্টা করতে হবে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন প্রথম অবস্থায় দাউদের চিকিৎসা সম্পর্কে। এবার চলুন ঝটপট দেখে নেওয়া যাক দ্বিতীয় অবস্থায় দাউদের চিকিৎসা কি? দ্বিতীয় অবস্থায় দাউদ ছড়িয়ে গেলে করণীয় কি?
দ্বিতীয় অবস্থায় দাউদের চিকিৎসা
দ্বিতীয় অবস্থায় দাউদের চিকিৎসা: চার থেকে পাঁচ মাস কিংবা এক বছর পর্যন্ত ত্বক দাউদ দ্বারা আক্রান্ত থাকলে সে অবস্থাকে বলা হবে দাউদের দ্বিতীয় স্টেজ। দাউদ অত্যন্ত জটিল একটি রোগ প্রথম অবস্থায় কিংবা দ্বিতীয় অবস্থায় এর চিকিৎসা সঠিক সময় না করা হলে তৃতীয় অবস্থায় দাউদ অনেক ভয়াবহ আকার ধারণ করে এবং সম্পূর্ণ শরীর জুড়ে দাউদ ছড়িয়ে পড়ে।
এই অবস্থায় দাউদের চিকিৎসা করা মুশকিল হয়ে পড়ে এই জন্য চেষ্টা করবেন দাউদ প্রথম অবস্থায় কিংবা দ্বিতীয় অবস্থায় থাকার সময় চিকিৎসা করার। সাধারণত যে জায়গা গুলো আমাদের ভেজে থাকে সেই জায়গাতেই ফাঙ্গাল ইনফেকশন ঘটে এবং দাউদ তৈরি হয়।
দাউদ একটি ছত্রাকের আক্রমণের মাধ্যমে তৈরি হয়। ধীরে ধীরে ছত্রাকের বংশবিস্তার ঘটে এবং তাদের কোষঝিল্লি আরো স্ট্রং হতে থাকে। দাউদের দ্বিতীয় অবস্থায় নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে মলম ব্যবহার করতে হবে এবং ঔষধ সেবন করতে হবে। দাউদ দূর করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী।
অনেকে মনে করেন আপনা আপনি দাউদ সেরে যাবে কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ছত্রাকের কোষ ঝিল্লি না ভাঙ্গা পর্যন্ত দাউদ দূর হবে না। কোষ ঝিল্লি ভাঙার জন্য ঔষধ এবং মলম ব্যবহার করতে হবে। দাউদ দূর করতে দাউদের সবচেয়ে ভাল ঔষধ হলো Itracon ২০০। নিয়মিত সকালে এবং রাতে খাবারের পর এই অ্যান্টিবায়োটিক ক্যাপসুল টি সেবন করতে হবে।
আরো পড়ুন: পানি দূষণের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন এই পোস্টে
প্রতিদিন দিনে তিনবার আক্রান্ত স্থানে Oxizol cream ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত স্থান সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে এবং আক্রান্ত স্থানে সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না। এই ক্যাপসুলটি এবং ক্রিম ক্লিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে চিরতরে দাউদ দূর হবে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন দ্বিতীয় অবস্থায় দাউদের চিকিৎসা সম্পর্কে দ্বিতীয় অবস্থায় দাউদ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং নিয়মিত ঔষধ ও ক্রিম ব্যবহার করতে হবে তাহলে ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যেই চিরতরে দাউদ দূর হবে। এবার চলুন দেখে আসি তৃতীয় অবস্থায় দাউদের চিকিৎসা কি?
তৃতীয় অবস্থায় দাউদের চিকিৎসা কি
তৃতীয় অবস্থায় দাউদের চিকিৎসা কি? তৃতীয় অবস্থায় দাউদ অনেক মারাত্মক আকার ধারণ করে, এটি সম্পূর্ণ শরীরের ছড়িয়ে পড়ে এবং দাউদে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহারকৃত জামা কাপড় কিংবা চিরুনি ব্যবহার করার ফলে অপর ব্যক্তির মধ্যেও দাউদ স্থানান্তরিত হয়। দাউদ একটি মারাত্মক চর্মরোগ প্রথম অবস্থায় এর জ্বালাপোড়া এবং প্রদাহ এর পরিমাণ কম থাকলেও ধীরে ধীরে এটি অনেক মারাত্মক রোগের পরিবর্তিত হয়।
অবস্থায় সম্পূর্ণ শরীর জুড়ে দাউদ ছড়িয়ে পড়ে এবং সম্পূর্ণ শরীরে প্রচুর চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। এই অবস্থায় শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক দাউদের ইনজেকশন গ্রহণ করতে হবে। দাউদের তৃতীয় অবস্থায় অ্যামফোটেরিসিন বি ( amphotericin B ) ইনজেকশন গ্রহণ করতে হবে।
এটি এক ধরনের শক্তিশালী ফাঙ্গাল ইনফেকশন এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইনেজকসন। তিন দিনে তিনবার এই ইনজেকশন দিতে হবে। তাহলে চিরতরে দাউদের সমস্যা দূর হবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন দাউদের চিকিৎসা সম্পর্কে।
এবার চলুন আমরা দেখে আসি যারা দাউদ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন এবং শরীরে পায়ে হাতে কিংবা মাথায় দাউদের সমস্যা রয়েছে। তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি? কোন মলম ব্যবহার করলে মাত্র ছয় থেকে সাত দিন এই চিরতরে দাউদের সমস্যা দূর হবে?
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ২০২৪
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ২০২৪ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আপনারা যারা দাউদ নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন এবং কোন ভাবে দাউদ প্রতিরোধ করতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। কোন ঝামেলা ছাড়াই যদি নিজের এই ঔষধ গুলো এবং এই মহলমটি ব্যবহার করেন তাহলে আশা করছি মাত্র ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে এই চিরতরে দাউদ থেকে রেহাই পাবেন।
দাউদের অন্য কোন মেডিসিন কিংবা মলম নেই। দাউদের চিকিৎসায় কয়েকটি ইট্রাকোনাজল ট্যাবলেট এবং মলম রয়েছে। দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় কয়েকটি ঔষধের নাম নিচে দেওয়া হল:
- ওরাল রিং ওয়ার্ম
- ইট্রাকোন ১০০ এমজি
- ইট্রাকন ২০০ এমজি
- ওমাস্টিন ক্যাপসুল ৫০ এমজি
- ইট্রাকন ৪০০ এমজি
- আলাট্রোল ১০ এমজি
- ইট্রাকন
- ইট্রাকনাজল
- টপিকাল এন্টিফাঙ্গাল পাউডার
ওপরের এই ঔষধ গুলো দাউদের চিকিৎসা ব্যবহার করা হয়। এই ঔষধ গুলো নিয়মিত সেবন করলে চিরতরে দাউদের সমস্যা দূর হবে। যদি পাঁচ মাস কিংবা ৬ মাস থেকে দাউদের সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত সকালে খাবার গ্রহণের পর এবং রাতে খাবার গ্রহণের পর ইট্রাকন ২০০ ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। ইট্রাকন 200 ক্যাপসুলকে শক্তিশালী ইট্রাকোনাজল বলা হয়।
এটি অ্যান্টি ফাংগাল ঔষধ যা ফাঙ্গাস ছত্রাক কে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং কোষ ঝিল্লিকে ভেঙে ফেলে চিরতরে ফাঙ্গাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত দিনে দুইবার ৬ থেকে ৭ দিন সেবন কোলে চিরতরে ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর হবে। এই ক্যাপসুলটি সেবনের প্রথম দুইদিন থেকেই ফলাফল বুঝতে পারবেন।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি?
যদি ৭-৮ দিনে ত্বকে চুলকানি ভাব দেখা দেয় এবং দাউদ হয় তাহলে নিয়মিত মলম ব্যবহার করলে ফাংগাল ইনফেকশন দূর হবে কিন্তু যদি দীর্ঘদিন থেকে এই সমস্যা থাকে তাহলে মলমের পাশাপাশি ঔষধ সেবন করতে হবে। ওপরের ইট্রাকন ২০০ নিয়মিত দিনে দুইবার সেবন করতে হবে আর যদি চুলকানির পরিমাণ অনেক বেশি হয় তাহলে নিয়মিত ইট্রাকন ৪০০ সেবন করতে হবে।
দিনে দুইবার এই কাজটি সেবন করলে মাত্র চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে চিরতরে ফাংগাল ইনফেকশন( দাউদ) দূর হবে। ঔষধের পাশাপাশি মলম ব্যবহার করতে হবে এতে ফাংগাল ইনফেকশন ( দাউদ) থেকে সৃষ্ট দাগ দূর হবে। দাউদের সবচেয়ে ভালো কয়েকটি মলম এর নাম নিচে দেওয়া হল।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ২০২৪
- পেভিসন ক্রিম (pevison cream)
- ফ্যাঙ্গিসন ক্রিম (fungison cream)
- ডার্মমিক্স (Dermomix)
- ফ্যাঙ্গিডাল এইচসি ক্রিম (Fungidal HC cream)
- লুলিজোল ক্রিম ( Lulizol cream )
- ফ্যাঙ্গিট্যাক ক্রিম (fungitack cream)
- ইবারকোনাজল ক্রিম (eberconazole cream)
- ক্লোট্রিমেজোল ক্রিম (Clotrimazole cream)
- অক্সিজোল ক্রিম (Oxizol cream)
- লোবাট জিএম (Lobate GM)
দাউদের চিকিৎসায় ওপরের এই মলমগুলো ব্যবহার করা হয় এই মলমগুলো সবচেয়ে বেশি কার্যকারী এবং বহু ব্যবহৃত। দিনের তিনবার এই মলমগুলো ব্যবহার করলে চিরতরে দাউদের সমস্যা দূর হবে এবং দাউদ থেকে সৃষ্ট ত্বকে দাগ সমূহ দূর হবে। ত্বকে দাউদ হলে কালো কালো গোল দাগ তৈরি হয় এই দাগ গুলো দেখতে খুবই বিশ্রী লাগে।
যদি পায়ে কিংবা হাতে দাউদ হয় তাহলে পেভিসন ক্রিম অথবা ফ্যাঙ্গিসন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। যদি পায়ের কুচকিতে দাউদ হয় তাহলে অক্সিজেন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে এবং যদি মুখে দাউদ হয় গালে কিংবা কপালের দিকে হয় তাহলে Lobate GM ব্যবহার করতে হবে।
এই প্রতিটি ক্রিম চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জানা হয়েছে। এই ক্রিমগুলো দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। আপনার আশেপাশের নিকটবর্তী দোকানে যে ক্রিমগুলো পাওয়া যাবে সে ক্রিমগুলো দাউদের চিকিৎসার ব্যবহার করতে পারেন। দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম হলো অক্সিজেন ক্রিম এবং ফ্যাঙ্গিডাল এইচএসসি ক্রিম।
আরো পড়ুন: অসুস্থতার জন্য পরীক্ষায় অনুপস্থিতির আবেদন পত্র তৈরি করার নিয়ম
এই দুইটি ক্রিম ত্বকে ব্যবহার করার সাথে সাথে ত্বক থেকে প্রদাহ দূর হয় এবং ত্বক ঠান্ডা থাকে। নিয়মিত দিনে তিনবার এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করলে চিরতরে মাত্র ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে দাউদের সমস্যা দূর হবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ২০২৪ সালে দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি। এবার চলুন আমরা দেখে আসি দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি।
দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ
আপনি কি দাউদের সবচেয়ে ভাল ঔষধ খুঁজছেন? ইতিমধ্যেই আমরা দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ এবং মলম সম্পর্কে আলোচনা করেছি আপনারা যারা আরও বিস্তারিত তথ্য লাভ করতে চান তারা নিচে দেখে নিন তা ওদের সবচেয়ে ভালো ওষুধের তালিকা দেওয়া রয়েছে। এই ঔষধ গুলো সেবন করলে দাউদ থেকে রেহায় পাওয়া যাবে।
- ফ্লুকোনাজল ৫০ এমজি
- এন্টি হিস্টোমাইন
- রাইনিল ট্যাবলেট
- ইট্রাকোন ট্যাবলেট
- ফ্লুগাল ট্যাবলেট
- লুকান আর
- ক্যানাজল
- গ্রিসোভিন এফপি 500 এমজি
- ফেক্সিং 500 এমজি
- ডার্মা ২৫০ এমজি
- ভরী ২০০ এমজি
ওপরের এই ক্যাপসুল এবং ট্যাবলেট গুলো দাউদের জন্য সবচেয়ে ভালো ঔষধ এই ঔষধ গুলো নিয়মিত দিনে দুইবার সেবন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে চর্মরোগ প্রতিরোধে এই ক্যাপসুল গুলো অথবা ওষুধ গুলো সেবন করা হয়। চর্ম রোগের একটি ধাপ হল দাউদ। নিয়মিত দিনে দুইবার এই ক্যাপসুল গুলো অথবা ওষুধ গুলো সেবন করতে হবে। সকালে এবং রাতে খাবারের শেষে ক্যাপসুল সেবন করতে হবে তাহলে উপকার পাওয়া যাবে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি দাউদ কেন হয়? দাউদ হওয়ার পিছনে কারণ কি?
দাউদ কেন হয়
আপনি কি জানেন দাউদ কেন হয়? অনেকেই তো দাউদে আক্রান্ত হয় কিন্তু কোন কারণে দাউদ হয়? কখনো কারন ছাড়া কোন কিছু ঘটে না। ঠিক তেমন ভাবে দাউদ হওয়ার পিছনে নানান কারণ রয়েছে। দাউদ হওয়ার মূল কারণ হলো অতিরিক্ত ঘাম। যাদের অতিরিক্ত ঘাম হয় তাদের দাউদ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি এই জন্য সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে দাউদ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
শরীরের বিভিন্ন জায়গা গুলো সর্বদা যদি ভেজা ভেজা থাকে তাহলে সেই জায়গায় দাউদ হবে। ত্বকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন ঘটলে অথবা ত্বক ফাঙ্গাস ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হলে দাউদ হয় ছোট ছোট কালচে রঙের ডিম্বাকার ত্বকের চুলকানি। দাউদ হলে ত্বকে অতিরিক্ত চুলকানি অনুভূত হয় এবং আক্রান্ত স্থানে সাবান পানি স্পর্শ করলে অনেক জ্বালাপোড়া তৈরি হয়।
দাউদ এটি অনেক মারাত্মক রোগ দাওয়াত কখনোই আপনা আপনি সেরে যায় না দাউদ প্রতিরোধ করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জরুরী এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ঔষধ সেবন করতে হবে এবং মলম ব্যবহার করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দাউদ এর চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এবার চলুন আমরা দেখে আসি দাউদের ঔষধের দাম কত?
দাউদের ঔষধের দাম কত
যারা দাউদের ঔষধ ক্রয় করতে চান তাদেরকে প্রথমে নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি কোন ঔষধটি ব্যবহার করতে চান? তারপর সেই দাউদের ঔষধের দাম কত জানতে হবে। যদি আপনি দাউদের সবচেয়ে ভালো ওষুধ এবং ২০২৪ সালে দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ব্যবহার করতে চান তাহলে নিচে দেখে নিন সে সমস্ত ঔষধের দাম দেওয়া রয়েছে।
- দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধের নাম ইট্রাকোন ২০০
- দাউদের সবচেয়ে ভাল ঔষধের নাম ওমাস্টিন ক্যাপসুল ৫০ এমজি
- দাউদের সবচেয়ে ভালো মলমের নাম অক্সিজোল ক্রিম
- দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম এর নাম ফ্যাঙ্গিডাল এইচসি ক্রিম
ইট্রাকন ২০০ প্রতি পিচ ক্যাপসুল এর দাম ২৮ টাকা। 1 স্ট্রিপ অথবা ১ পাতা ইট্রাকোন ২০০ ক্যাপসুল এর দাম ২৮০ টাকা। দশ দিন নিয়মিত দুইটি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে অর্থাৎ দুইটি স্ট্রিপ ক্রয় করতে হবে। ইট্রাকন ২০০ ক্যাপসুলের দশ দিনের ঔষধের দাম ৫৬০ টাকা।
প্রতিদিন দুইটি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে অতএব ১০ দিনে ২০ টি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। এটা এখন ২০০ এর ২০ টি ক্যাপসুল এর দাম ৫৬০ টাকা। যদি চুলকানি ভালো হয়ে যায় তবুও এই ঔষধ টি সেবন করতে হবে এতে চিরতরে ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর হবে।
ওমাস্টিন ক্যাপসুল ৫০ এমজি এর প্রতি পিচ এর দাম ৮ টাকা। ১ স্ট্রিপ ওমাস্টিন ক্যাপসুল এর দাম ৮০ টাকা। প্রতিদিন দুইটি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে অর্থাৎ ১০ দিনে ২০ টি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। বৃষ্টি ক্যাপসুলের দাম ১৬০ টাকা। তবে ওমাস্টিন ক্যাপসুল ৫০ এমজি ট্যাবলেট এর তুলনায় ইট্রাকোন ২০০ ট্যাবলেট বেশি ভালো।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম অক্সিজেন ক্রিম এর দাম ৮০ টাকা। দিনে তিনবার ব্যবহার করতে হবে এবং ফ্যাঙ্গিডাল এইচসি ক্রিম এর দাম ৪০ টাকা। উভয় ক্রিম দাউদ দূর করতে সাহায্য করে তবে অক্সিজেন ক্রিম বেশি উপকারী।
আরো পড়ুন: জন্মদিনের কেক বানানোর রেসিপি খুঁজছেন? ক্লিক করুন
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন দাউদ দূর করতে কোন কোন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে এবং দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ২০২৪ কোনটি এবং দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধি হাজার ২৪ ঘণ্টি আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দাউদ সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ২০২৪ কোনটি? দাউদের সবচেয়ে ভাল ঔষধ , দাউদ কেন হয়, দাউদের ঔষধের নাম দাউদের মলমের নাম সহ দাউদ সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত জানলাম অতিরিক্ত ঘামের জন্য তৈরি হয় এবং যে জায়গা গুলো সবসময় ভিজে থাকে।
সে জায়গায় দাউদ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তাই সবসময় শরীরের প্রতিটি জায়গাকে বিশেষ করে যে অংশে দাউদ রয়েছে সেখানে সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে অপরিষ্কার জীবন-যাপন করলে দাউদ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
দাউদ অনেক জটিল রোগ ফাংগাস ছত্রাক দ্বারা ত্বক সংক্রমিত হলে দাউদ তৈরি হয়, একে ফাঙ্গাল ইনফেকশন বলা হয়।। ফাঙ্গাল ইনফেকশনে প্রতিটি পর্যায়ে আমরা উপরে আলোচনা করেছি আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ দেখেন তাহলে দাউদ সম্পর্কে বুঝতে পারবেন এবং দাউদ প্রতিরোধ করতে কি কি স্টেপ নেওয়া জরুরী সে বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।