বঙ্গভঙ্গ কি এবং বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে? কারণ সমূহ সবকিছু বিস্তারিত
আপনি কি জানেন বঙ্গভঙ্গ কি এবং বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে? যারা বঙ্গভঙ্গ কি এবং বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে বঙ্গভঙ্গ হয় কত সালে বঙ্গভঙ্গের কারণ ও ফলাফল কি সেই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তারা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ দেখে নিন বঙ্গভঙ্গ কি এবং বঙ্গভঙ্গ রদের কারণসমূহ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

যারা ইতিহাস বিভাগের শিখাচ্ছি রয়েছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি উপকারী চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি বঙ্গভঙ্গ কি? বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে বঙ্গভঙ্গের কারণ ও ফলাফল বঙ্গভঙ্গ হয় কত সালে এবং বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ।
বঙ্গভঙ্গ কি – বঙ্গভঙ্গ বলতে কি বোঝায়
বঙ্গভঙ্গ কি? ব্রিটিশ ভারত শাসন আমলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো এই বঙ্গভঙ্গ বাংলা বিভক্তি এবং বাংলা সঙ্গে আরো নতুন একটি অংশ যুক্ত করে প্রদেশ তৈরি করা হয় এবং এই আইনটি শুধুমাত্র ছয় বছরের জন্যই কার্যকর থাকে।
এটি বিট্রিশ কর্তৃক বাতিল ঘোষণা করা হয় যদিও বিক্রির শাসক রা এই বঙ্গভঙ্গ কে স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন তবুও তারা পরবর্তী সময়ে বাতিল করে দেন।ভারতের লর্ড গার্ডের 1905 সালে এই বঙ্গভঙ্গের প্রথম ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন: পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় জানুন ১০০% A+ আসবে
এই বঙ্গভঙ্গের ঘটনা ছিল উপমহাদেশের রাজনৈতিক শ্রদ্ধার আর এক গুরুত্বপূর্ণ মাইল স্টোন। ১৯০৫ সালের ২০ শে জুলাই প্রথম বঙ্গভঙ্গ এর কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, পরবর্তী সময়ে ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর এই কর্মসূচিকে বাস্তবায়নে রূপান্তরিত করা হয়।
এবং কার্যকর করা হয় এর ফলে ভারতবর্ষের বৃহত্তম একটি প্রদেশ বাংলা ভাগ বিভক্ত হয়ে দুইটি প্রদেশের সৃষ্টি হয়, সে প্রদেশ দুইটির নাম হল পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ববঙ্গ আসাম প্রদেশ। নতুন প্রদেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকা কে ঘোষণা দেওয়া হয় ।
সেই নতুন প্রদেশের আয়তন ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৪০ বর্গমাইল এবং এই প্রদেশ সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১০ লক্ষ এর মধ্যে মুসলিমের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ এবং হিন্দুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২০ লক্ষ।
১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন তিনি ভারতীয় দুটি ভাগে বিভক্ত করেছিলেন এবং শাসনকারী সুবিধার্থে ব্রিটিশ সরকার বাংলাকে বিভক্তি করে চিন্তা করেন এই ক্ষেত্রে এই উদ্যোগে অপরিসীম ভূমিকা পালন করেন স্যার রাডক্লিফ ফুলার এবং আন্ডু ফ্রেজার। ১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গভঙ্গ সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন করা হয় এবং দুইটি নতুন প্রদেশে বিভক্ত করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ কি – বঙ্গভঙ্গ বলতে কি বোঝায়
- বাংলা প্রদেশ: বাংলা প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল পশ্চিমবাংলা বিহার উড়িষা। এই বাংলা প্রদেশের রাজধানী ছিল কলকাতা।
- পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ: তখন দুইটি প্রদেশ তৈরি হয় বাংলা প্রদেশ এবং পূর্ববঙ্গ ও আসন প্রদেশ পূর্ববঙ্গ আসাম প্রদেশ এর অন্তর্ভুক্ত ছিল চট্টগ্রাম ঢাকার রাজশাহী ও আসামকে নিয়ে আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ এর রাজধানী নির্বাচিত হয়েছিল ঢাকা। এই নতুন প্রদেশের আয়তন ছিল মোট ১ লক্ষ ৬ হাজার ৫০৪ বর্গমাইল। এই প্রদেশের লোক সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ কোটি ১০ লক্ষ আর এ সংখ্যাগরিষ্ঠই ছিল মুসলিম।
প্রিয় পাঠক আশা করছি সকলেই বুঝতে পেরেছেন বঙ্গভঙ্গ কি বঙ্গভঙ্গ হল ব্রিটিশ ভারত শাসন আমলের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন কিংবা ঘটনা যার নাম দেওয়া হয় বঙ্গভঙ্গ এই বঙ্গভঙ্গের কারণে বাংলার দুটি প্রদেশ সৃষ্টি হয়। সেই দুইটি প্রদেশের নাম হলো পশ্চিমবাংলা এবং পূর্ব বাংলা ও আসাম। এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে?
বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে
অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন যে বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে এই প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যারা ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছে তাদেরকে জানতে হবে বঙ্গভঙ্গ কি এবং বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে এবং বঙ্গভঙ্গ রদ কাকে বলে? বঙ্গভঙ্গ রদ হয় 1911 সালে।
এই বঙ্গভঙ্গ রোদে ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসের ১০০স্পষ্ট নিদর্শন এবং বঙ্গভঙ্গের ফলে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা হবে।এবং মুসলমানদের আলাদা একটি প্রদেশ পাবে যেখানে তারা স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সারা বাংলার মধ্যে
এক প্রতিবাদের ঝড় উঠে। সেখানে মধ্যবিত্ত হিন্দু এবং বুদ্ধিজীবী মহলে পরিকল্পনার বিরোধিতা শুরু হয়। এ নেতৃত্ব ছিল মূল কংগ্রেস বঙ্গভঙ্গের কারণে ঢাকাতে প্রশাসনিক ইউনিট গড়ে তোলা হয় তারা মনে করেছিলেন এতে তাদের দীর্ঘদিনের স্থায়ী কাঠামোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এতে মুসলিমরা এর পক্ষে আন্দোলন করতে শুরু করে মুসলিম লীগের নেতৃত্ব প্রদান করে।। এই সময় হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এই অবস্থাতে যুগান্তর অনুশীলনী সমিতির মতো এক গুপ্ত সমিতি গঠন করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে
এই সময় পরিস্থিতি দেখে ব্রিটিশ সরকার ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে পঞ্চম চর্বের অনুষ্ঠানে এই বঙ্গভঙ্গ কে রদ ঘোষণা করেন।এতে দেখা যায় যে বঙ্গভঙ্গ কেন্দ্র করে মুসলমানদের মধ্যে গড়ে ওঠার সেই আত্ম সচেতনাবোধ ধীরে ধীরে আরও শক্ত হতে থাকে
এবং তারা বুঝতে পারে যে কংগ্রেসের সাম্প্রদায়িক চিন্তা থেকে তারা আর মুক্ত হতে পারবে না সুতরাং এই অবস্থায় তারা নিজেদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের প্রশ্নে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে।।
আরো দেখুন: melatrin cream কি কাজ করে জানলে অবাক হবেন
অতএব যখন বঙ্গভঙ্গ করে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয় তখন ১৯০৫ সালের তুমুল প্রতিবাদের ঝড় তৈরি হয় এই সময় হিন্দু ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এই সময় আর অন্য কোন উপায় না দেখে ব্রিটিশ সরকার ১৯১১ সালেই বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণা করেন।।
অতএব বঙ্গভঙ্গ রদ হয় 1911 খ্রিস্টাব্দে। বঙ্গভঙ্গ রদ কে ইংরেজিতে বলা হয় cancellation of partition of Bengal। অর্থাৎ ১৯০৫ সালে বাস্তবায়িত হওয়ার সেই বঙ্গভঙ্গ রদ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বাতিল হয়ে যায়।
বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়া মানে বঙ্গভঙ্গ বাতিল হয়ে যাওয়া। আশা করছি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন বঙ্গভঙ্গ রদ কাকে বলে এবং বঙ্গভঙ্গ রদ কত সালে হয়। এবার চলো দেখে নেওয়া যাক বঙ্গভঙ্গের কারণ ও ফলাফল
বঙ্গভঙ্গের কারণ ও ফলাফল A+ এর নিশ্চয়তা
বঙ্গভঙ্গের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একজন সঠিক জায়গা দেখতে চান আজকের এই আর্টিকেল এ শুধুমাত্র বঙ্গভঙ্গ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে বঙ্গভঙ্গ বলতে কী বোঝো এবং বঙ্গভঙ্গের কারণ ও ফলাফল।
বঙ্গভঙ্গের কারণ যদি বিস্কুট করা হয় তাহলে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মনে জাগতিক ঈশ্বরের কাছে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।মূলত পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু নেতৃবৃন্দ এবং পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের মধ্যে কিছুটা দৃষ্টিভঙ্গির নতুন করে পরিস্ফুটিত হয়।।
বঙ্গভঙ্গের কারণ ও ফলাফল
বঙ্গভঙ্গের কারণ এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো প্রশাসনিক কারণ রাজনৈতিক কারণ অর্থনৈতিক কারণ এবং ধর্মীয় কারণ মূলত এই চারটি কারণেই বঙ্গভঙ্গ করা হয়।প্রশাসনিক কারণ: ১৯০৫ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির টোটাল আয়তন ছিল ১ লক্ষ ৮৯ হাজার বর্গমাইল
এবং এখানে লোক সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৮০ লক্ষ্য।। শুধুমাত্র একজন গভর্নরের পক্ষে এই বিশাল আয়তনের প্রদেশ সঠিকভাবে শাসন করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না আবার এটি কষ্ট করে উঠেছিল এই জন্য এই বিশাল আয়তনের প্রশাসনিক কাঠামো শাসন করার সুবিধা হাতে বঙ্গভঙ্গের প্রচেষ্টা করা হয়।
১৮৫৪ সালের থেকে প্রদেশ বিভক্তি করনের প্রচেষ্টা শুরু করা হয়।। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে উড়িষ্যাতে এক বিশাল দুর্ভিক্ষ হয় এই দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী করা হয় প্রশাসনিক ব্যর্থ থাকে। মানা হয় যে প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে উড়িষ্যার দুর্ভিক্ষ এত বেশি তীব্রতার হয়ে উঠেছিল।
এই জন্য সুষ্ঠুভাবে শাসনকর্তা পরিচালনা করার জন্য বঙ্গভঙ্গ করা হয়।রাজনৈতিক কারণ: ধারণা করা হয় রাজনৈতিক কারণ ও বঙ্গভঙ্গ করা হয় বঙ্গভঙ্গের একক কোন রাজনৈতিক কারণ ছিল না। কয়েকটি রাজনৈতিক কারণ ছিল যার কারণে বঙ্গ বঙ্গ করা হয়।
প্রথমত 1885 খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে ভারতবর্ষের রাজনৈতিক চেতনা আরো বৃদ্ধি পায় এবং কলকাতাকে কেন্দ্র করে তাদের জাতীয়তাবাদ জাগ্রত হয়।দ্বিতীয়তঃ মুসলিম নেতৃত্ববৃন্দের নতুন প্রদেশের শাসন কাঠামোকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতির বৃদ্ধি করা হয়।
এবং রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়। তৃতীয়তঃ যুক্ত বাংলার ব্রিটিশ বিরোধী কিছু রাজনৈতিক আন্দোলন ক্রমেই আরও তীব্রতার হতে থাকে এবং হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয় তারা একে অপরের সাথে বিভিন্ন সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে।
চতুর্থত আলীগড় আন্দোলনের প্রভাবে মুসলিম এর পূর্ণ জাগরণের ফলে সেই পূর্ব বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এই বঙ্গভঙ্গের প্রতি দ্বারা আরো বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। মূলত এই চারটি কারণেই রাজনৈতিক ভাবে চিন্তাভাবনা করা হয় যে বঙ্গভঙ্গ করাটাই শ্রেয়।
অর্থনৈতিক কারন: সে আমারে বাংলা প্রদেশের রাজধানী হিসেবে ছিল কলকাতা এবং কলকাতা ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের প্রধান একটি কেন্দ্র পূর্ব বাংলার সকল সুবিধা বঞ্চিত মানুষরা এই কলকাতার আওতায় বাইরে ছিল।
সেই সময় অধিকাংশই যারা হিন্দু জমিদারগণ ছিলেন তারা পূর্ববাংলা হতে অর্জিত কলকাতা ব্যয় করতেন সেই সময়ে সরকারি চাকরি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে হিন্দুদের প্রাধান্য থাকার কারণে পূর্ববাংলার মুসলমানদের বেশ বৈষম্যের শিকার হতে হতো এবং তাদের।
এই অবস্থায় তাদের মধ্যে একটি আশা সৃষ্টি হয় যদি বঙ্গভঙ্গ করা হয় তাহলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো উন্নত হতে পারে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা হতে পারে এজন্য তারা এই বঙ্গভঙ্গের প্রতি আরো বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
কংগ্রেসের শক্তি দুর্বল: বঙ্গভঙ্গ করার পিছে অন্যতম একটি কারণ হলো কংগ্রেসের দুর্বল শক্তি ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতীয় জনগণের সচেতনা আরো বৃদ্ধি পায় বঙ্গভঙ্গ যখন প্রস্তাব করা হয় তখন কংগ্রেস থেকে
এর বিরোধিতা প্রথম শুরু করা হয় কার্জন বিশ্বাস করতে যে কলকাতার কিছু লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারী তারা বক্তব্য কংগ্রেস চালাতো এবং কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের বিকল্প কোন কেন্দ্র উৎসাহ দিলে দুর্বল হয়ে পড়বে।
আরো দেখুন: ছুটির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম ১ মিনিটে লিখুন
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা: ব্রিটিশ আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত থাকলেও পূর্ব বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ জায়গার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত ছিল কলকাতায় উন্নয়নের কার্যক্রম চালানো হলেও পূর্ববাংলা অবহেলিত ছিল পূর্ব বাংলায় কোন ধরনের ব্যবস্থা ছিল না এজন্য বঙ্গভঙ্গের পদক্ষে গ্রহণ করা হয়েছিল।
ব্রিটিশ আমলে পূর্ব বাংলার সব দিক থেকে সুবিধা বঞ্চিত হতো তারা বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হতো এজন্য তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এবং নিজেদের বৈষম্যের প্রতি প্রতিবাদ করার জন্য এ বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।
পাটের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্য: সে আমলে পুরো বাংলা থেকে প্রচুর পাট উৎপাদন করা হতো কিন্তু কোন পাটকল ছিল না পাটকল ছিল শুধুমাত্র কলকাতাতে এবং চাষিরা পাটের কোন ন্যায্য মূল্য পেত না যার ফলে মুসলমান জনগোষ্ঠীরা বঙ্গভঙ্গের প্রতি আরো বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েন।
কারণ পূর্ব বাংলার মুসলমানরা সর্ব দিক থেকে বৈষম্যের শিকার হচ্ছিল প্রথমত তাদের এলাকায় কোন ধরনের পাঠ করছিল না পাটকল ছিল শুধুমাত্র কলকাতাতে কলকাতাতে সব ধরনের থাকার পরেও আরো বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার জন্য দেশকে উন্নত করা হচ্ছিল।
কিন্তু অপরদিকে পূর্ব বাংলা এত বেশি সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার পরেও তারা কোন পাটকল সৃষ্টি করেনি কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করেনি এবং পাটের ন্যায্য মূল্যও তারা পূর্ববাংলা মানুষকে দিত না এজন্য পূর্ব বাংলার মুসলমানরা এই বঙ্গভঙ্গের প্রতি আরো বেশি হয়ে ওঠেন
এবং নিজেদেরকে এই বৈষম্য থেকে মুক্তি দিতে চান।ধর্মীয় কারণ: সেই আমলের পূর্ব বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ছিল এবং পশ্চিমবাংলায় সংঘরিষ্ঠ হিন্দু ছিল হিন্দু এবং মুসলমান এদের সংস্কৃতি, আচার আচরণ সবকিছুই ভিন্ন।
এজন্য হিন্দু মুসলমানদের দুইটি আলাদা অংশে বিভক্ত করার জন্য বঙ্গভঙ্গ করার পরিকল্পনা করা হয় এবং সর্বশেষে বলা যায় যে 1905 সালে বঙ্গভঙ্গের ঘটনাটি ছিল ভারতবর্ষের ইতিহাসের এক সুদের প্রসারী ঘটনা।এই বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন ভারত উপমহাদেশে মুসলমানদের মধ্যে প্রকট বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
এবং মুসলিমরা বুঝতে পারে যে কংগ্রেসের মাধ্যমে তাদের স্বার্থ রক্ষা হবে না এই জন্য তারা স্বতন্ত্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন এবং মুসলিম লীগের দিকে ঝুকে পড়েন এতে মুসলিমদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে এবং তারা ভারত বিভাগ ক্রমশই অনিবার্য করে তোলে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন বঙ্গভঙ্গ এর কারণ সম্পর্কে বঙ্গভঙ্গ কেন হয়েছিল এবং বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পিছে মূল কি কি কারন রয়েছে মূল এই কয়েকটি কারণ ছিল ধর্মীয় কারণ অর্থনৈতিক কারণ রাজনৈতিক কারণ এবং প্রশাসনিক কারণ। সব দিক বিবেচনা করার পরেই বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।। এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক বঙ্গভঙ্গ হয় কত সালে?
বঙ্গভঙ্গ হয় কত সালে?
অনেকেই নিশ্চয়ই জানতে চান যে বঙ্গভঙ্গ হয় কত সালে? যারা এই পোস্টটি সম্পন্ন করেছেন তারা ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন যে বঙ্গভঙ্গ কাকে বলে এবং বঙ্গভঙ্গ কত সালে হয়? ১৯০৫ সালের ২০ জুলাই প্রথম বঙ্গভঙ্গের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় এবং ১৬ই অক্টোবর এই কর্মসূচিকে কার্যকর করা হয় অর্থাৎ ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করা হয়। এবং বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয় 1911 সালে।
বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ | বঙ্গভঙ্গ কেন রদ করা হয়েছিল?
আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন যে বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ কি এবং বঙ্গভঙ্গ কেন রদ করা হয়েছিল প্রথমে 1905 সালে বঙ্গভঙ্গের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় পরবর্তী সময়ে ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা হয় তবে পরবর্তী সময়ে ১৯১১ সালে কেন বঙ্গবন্ধুর রদ করা হয়।
এর পিছে মূল কারণ কি? এর পিছে কোন একক কারণ নয় বরং কয়েকটি কারণ রয়েছে। নিচে দেখুন বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ অথবা বঙ্গভঙ্গ কেন রদ করা হয়েছিল সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হল।
বঙ্গভঙ্গ রদ করার বিছে তখন বিভিন্ন কারণ ছিল ব্রিটিশ সরকার অনেক রাজনৈতিক স্বার্থ এবং দীর্ঘস্থায়ী দরিদ্র ও নির্ধারিত কৃষকদের শ্রেণির আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বঙ্গভঙ্গ করেছিলেন কিন্তু পরে উপগ্রন্থি হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতাদের স্বার্থে তিনি বঙ্গভঙ্গ কে রদ করতে বাধ্য হন।
কংগ্রেস এবং হিন্দুদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন: ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পরেই হিন্দুদের মধ্যে প্রতিবাদের তুমুল ঝড় ওঠে। বঙ্গভঙ্গের কারণে বাংলা সাধারণ কোনো লোকের মাথা ব্যথা ছিল না সাধারণ কৃষকরা খেটে খাওয়া মানুষদের স্বার্থ এর কোন ক্ষতি হয়নি।
শুধুমাত্র একজনের উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং কিছু নিম্ন মধ্যবিত্ত হিন্দুরাই এর প্রতিবাদে সামিল হয়ে পড়েন কারণ তারা ভেবেছিলেন বঙ্গে ভঙ্গের ফলে বিক্রমপুরের নবগঠিত বাংলা প্রদেশে তাদের আর চাকরি সুযোগ থাকবে না এজন্য জমিদাররা ২ বাংলা জমিদারি করার মত সময় হয়তো আর পাবে না।
বলে জমিদাররা এটাকে আর কোন ভাবে মেনে নিতে পারেনি এবং তারা ভয় পেয়েছিলেন। তাই ভাগ্য কুলের রায় পরিবার যারা চাল এবং পাটের একচেটিয়া পাইকারি ব্যবসা করছিলেন তারা ভেবেছিলেন হয়তো আগের মত আর ব্যবসা চলতে পারবে না।
কলকাতার রাজনীতিবিদরা মনে করেছিলেন যে রাজনীতির ক্ষেত্রে হয়তো কলকাতা আর কেন্দ্রিকতায় আর থাকবে না তারা এই ভেবেই বঙ্গভঙ্গ রদের জন্য প্রতিবাদে ফেটে পড়েন এবং তারা তীব্র আন্দোলন শুরু করেন।
মূলত বঙ্গভঙ্গ হ্রদে পেয়েছে প্রধান একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেস এবং হিন্দুদের এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। কলকাতা বাসিরা ভেবেছিল তারা সব দিক থেকে বঞ্চিত হতে শুরু করবে এবং তারা তার আগের মত সচ্ছল ভাবে বসবাস করতে পারবে না। তারা চাকরির দিক থেকে রাজনৈতিক দিক থেকে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়বে। তাদের এই ভাবনাই ছিল বঙ্গভঙ্গ রদের মূল কারণ।
বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ | বঙ্গভঙ্গ কেন রদ করা হয়েছিল?
বিলাতি দ্রব্য বর্জন: বঙ্গভঙ্গ রোগের আরও একটি অন্যতম কারণ হলো এই বিলাতি দ্রব্য বর্জন 1905 সালে বঙ্গভঙ্গই আইন পাশ হওয়ার পর থেকে উপমহাদেশের নেতৃত্ববন্দর হিন্দু নেত্রীবৃন্দ বিলাতি যজ্ঞ বর্জনের নির্দেশ দিয়ে দেন তারা জনগণকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন।
যে বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে হিন্দু এবং মুসলিম দের ঐক্য হবে এবং ভারত কখনোই আর স্বাধীন হতে পারবে না তাই বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামের পাশাপাশি বিলাতি দ্রব্য বর্জনের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এইসব কারণে 1911 খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রোদ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ব্রিটিশ পুঁজিপত্তির চাপ: বঙ্গভঙ্গ হবার ফলে ব্রিটিশ পুঁজিবাদী কিছু মালিকগণ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাই তারা বঙ্গভঙ্গ রদ করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের ওপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি করে যার ফলে ব্রিটিশ সরকার ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয়।
আরো পড়ুন: আমন্ত্রণ পত্র লেখার নিয়ম ১ মিনিটেই লিখে ফেলুন আমন্ত্রণ পত্র
স্বদেশী আন্দোলন: বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের পরবর্তীতে স্বদেশী আন্দোলনের রূপ নেয় এবং এই সমগ্র দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় শত শত সভা মঞ্চ বঙ্গভঙ্গ রদ করার দাবিতে প্রতিবাদের ফেটে পড়ে এবং এই সমগ্র দেশের উপর যেন বিক্ষোভের খুব ফেটে পড়ছিল।
বিভিন্ন পত্রিকা নিউজ চ্যানেলে উত্তেজনা পূর্বক বক্তব্য দেখা যাচ্ছিল। সব জায়গায় আন্দোলন নিউজ চ্যানেলে একই নিউজ, কংগ্রেস ও হিন্দুদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন পুঁজিপতির অতিরিক্ত চাপ এই সব দিক বিবেচনা করে সেই সময় ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করে।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড: বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পরে স্বদেশী আন্দোলন সৃষ্টি হয় এবং এই আন্দোলনের তীব্রতার কারণে বিভিন্ন স্থানে প্রচুর হত্যাকাণ্ড শুরু হয়। হিন্দু ও মুসলিম একে অপরের সাথে বিভিন্ন ঝামেলার মধ্যে জড়িয়ে পড়েন তাদের ঐক্য নষ্ট হয় । এই সময় বাংলার গভর্নর এই বঙ্গভঙ্গ এর পিছে অসীম অবদান রাখার
কারণে বাংলার গভর্নর কে বারবার ভোট দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই সময় লর্ড মিল তো শুধুমাত্র অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যান। ভারত সচিব লর্ড মার্লির রাজনৈতিক সচিব গুলিবদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার বাধ্য হয়েছিলেন বঙ্গভঙ্গ রদ করতে।
ব্রিটিশ খোদাও আন্দোলন: বঙ্গভঙ্গ রদ করার পিছে অন্যতম একটি কারণ হলো ব্রিটিশ খোদাও আন্দোলন বঙ্গভঙ্গ রোহিতকরণের আর উল্লেখযোগ্য হিসেবে এটিকেই মানা হয়। বঙ্গভঙ্গ রদনা করার জন্য বিদেশ দের ওপর হিন্দু নেতৃবৃন্দ চড়াও হয়ে ওঠে এবং ব্রিটিশ খোদাও আন্দোলন শুরু করে। এতে ব্রিটিশ সরকার ভয় পেয়ে যায় এবং সে শেষ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয়।
মুসলমানদের দুর্বল নেতৃত্ব: ধারণা করা হয়েছে মুসলমানদের এই দুর্বল নেতৃত্ব ছিল বঙ্গভঙ্গ রদের পিছে অন্যতম একটি কারণ। কারণ সেই সময় হিন্দুদের মধ্যে ঐক্য তৈরি হয়ে ওঠে কিন্তু মুসলমানদের নেতৃত্ব ছিল দুর্বল। মুসলমানদের তেমন দল কোন ভূমিকা দেখা যায়নি তাই মুসলমানদের দুর্বল নেতৃত্বের কারণে হিন্দু নেতৃবৃন্দ বঙ্গভঙ্গ রদ এর আন্দোলনের সফলতা অর্জন করে এবং বঙ্গভঙ্গ সর্বশেষের রদ করা হয়।
হিন্দুদের বিরোধিতা: বঙ্গভঙ্গ কর্মসূচি গৃহীত হওয়ার পর থেকেই হিন্দুদের প্রচুর বিরোধিতা দেখতে পাওয়া যায় তারা বিভিন্ন কারণে বিরোধিতা শুরু করে তারা আন্দোলন শুরু করে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল এই আইনের ফলে হিন্দুদের চেয়ে মুসলমানদের বেশি উপকার হবে এবং হিন্দুরা কখনোই চাইনি যে তাদের চেয়ে মুসলিমরা কোনভাবেই এগিয়ে যাক। এই কারণেই সে সময় হিন্দুরা বিরোধীতা শুরু করে।
সর্বশেষে বলা যায় যে, বঙ্গভঙ্গ রদের বেঁচে অন্যতম একটি কারণ হলো কংগ্রেস ও হিন্দুদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন হিন্দুদের বিরোধিতা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড স্বদেশী তাদের আন্দোলন এবং মুসলমানদের দুর্বল নেতৃত্ব মূলত এই কয়েকটি কারণেই বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়েছিল।
এর মধ্যে যদি মুসলমানদের দুর্বল নেতৃত্ব না থাকে এবং তারা আরো বেশি কঠোর হয়ে উঠতো তাহলে হিন্দুরা এত বেশি বিরোধিতা করতে সাহস পেত না এবং তারা আন্দোলনে সফলতা অর্জন করতে পারত না। আশা করছি সকলেই বুঝতে পেরেছেন বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ কি সে সম্পর্কে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো বঙ্গভঙ্গ কি বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে বঙ্গভঙ্গ হয় কত সালে বঙ্গভঙ্গের কারণ ও ফলাফল বঙ্গভঙ্গ বলতে কি বুঝ এবং বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ ও ফলাফল। আজকের এই আর্টিকেলটি ছিল শুধুমাত্র বঙ্গভঙ্গ সম্পর্কে
এই আর্টিকেলে আমরা বঙ্গভঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম আশা করছি সকলে বুঝতে পেরেছেন বঙ্গভঙ্গের কারণ কি বঙ্গ ভঙ্গ কত সরি হয় এবং বঙ্গভঙ্গ রদ কত সালে হয় পাশাপাশি বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ কি বঙ্গভঙ্গ রদের পিছে অন্যতম একটি কারণ ছিল হিন্দুদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন।
তাদের বিরোধিতা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং তাদের স্বদেশী আন্দোলন। দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু করে এবং প্রতিটি পত্র পত্রিকাতে তারা এই বক্তব্যই ছাপা শুরু করে, শুধু এই পর্যন্তই নয় বরং বঙ্গভঙ্গ রড করার জন্য তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন তারা গভর্নরকে গ্রেটার চেষ্টা করেন
তারা সচিবকে গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করেন তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে সেই সময় ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এছাড়াও সেই সময় মুসলমানদের নেতৃত্ব ছিল দুর্বল এইজন্য হিন্দুরা বিরোধিতা করতে এত বেশি সাহস পেয়েছিলেন। সব দিক বিবেচনা করে সেই সময় ১৯১১ সালে ব্রিটিশ গভর্নর বঙ্গভঙ্গ রদ করে।