৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ
| | | | | |

৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ রোজা না রাখলে ভয়ংকর ক্ষতি হবে

Table of Contents

আপনি কি ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে শেয়ার করব ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ, সওমের এর গুরুত্ব ও ফজিলত এবং রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ

রমজান মাসের গুরুত্ব এবং রমজান মাসের রোজা না রাখলে যে ভয়ঙ্কর ক্ষতি গুলোর সম্মুখীন হতে হবে আপনাকে সে বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেলে জেনে নিন। রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি তাই রোজা রাখার গুরুত্ব অপরিসীম আসলে আমরা জেনে নেই ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ রমজানের ফজিলত এবং সাওমের গুরুত্ব ও ফজিলত।

৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ

আপনি কি ৩০ টি রোজার আলাদা আলাদাভাবে ফজিলত জানতে চান দলিল সহ? প্রতিটি রোজার আলাদা আলাদা ফজিলত রয়েছে যেমন প্রথম রোজা রাখলে রোজাদার ব্যক্তিকে ঠিক নবজাতক শিশুদের মতো নিষ্পাপ করে দেওয়া হবে এবং সমস্ত পাপ মুছে দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন: মানবিক বিভাগের সেরা সাবজেক্ট এর তালিকা/মানবিক নিয়ে পড়লে কি কি হতে পারবেন

এরকম প্রতিটি রোজার আলাদা আলাদা ফজিলত রয়েছে তাই আপনি যদি যে কোন একটি রোজা বাদ দেন তাহলে সেই রোজার ফজিলত আপনি মিস করে যাবেন। রোজা রাখা প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা

আমাদের পূর্বের করা পাপ গুলো মুছে ফেলতে পারব তাই আপনি যদি একজন মুসলিম ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি রোজা পালন করবেন চলুন আমরা দেখে আসি ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ।

৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ

১ম রোজার ফজিলত দলিলসহ

রমজান মাসে প্রথম রোজা রাখা খুবই জরুরী রমজান মাসে প্রথম রোজার ফজিলত হলো: যে ব্যাক্তি রমজান মাসের প্রথম রোজার রাখবে তাকে সৃষ্টিকর্তা নবজাতকের মত নিষ্পাপ করে দেবেন এবং তার পিছের সমস্ত পাপগুলো ধুয়ে দেবেন।

দ্বিতীয় রোজার ফজিলত দলিল সহ

দ্বিতীয় রোজার প্রতিরোধ সম্পর্কে কুরআনে রয়েছে: যে মুসলিম ব্যক্তির দ্বিতীয় রোজা রাখবে তার বাবা-মাকে সৃষ্টিকর্তা মাফ করে দিবেন এবং তাদের সমস্ত পিছের গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন।

৩য় রোজার ফজিলত দলিল সহ

রোজাদার ব্যক্তিরা যদি তৃতীয় রোজা রাখে তাহলে তারা নিজেদের পিছের সকল গুনা খাতা মুছে ফেলতে পারবে। হাদিসে দেওয়া রয়েছে যে ব্যক্তির তৃতীয় রোজা রাখবে, তাকে সেই সারাদিন ফেরেশতারা রোজাদারদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা দিবেন।

চতুর্থ রোজার ফজিলত দলিল সহ

আপনি কি জানেন চতুর্থ রোজার ফজিলত কি? চতুর্থ রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে দেওয়া রয়েছে, যে ব্যক্তি চতুর্থ রোজা রাখবে অথবা চতুর্থ রোজাদারকে আসমানী কিতাবের যে চারটি বড় বড় কিতাব রয়েছে সেই কিতাবে সমপরিমাণ সওয়াব প্রদান করা হবে।

পঞ্চম রোজার ফজিলত দলিল সহ

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন পঞ্চম রোজার ফজিলত কি? পঞ্চম রোজার ফজিলত অনেক। আমাদের প্রত্যেকেরই মক্কাতে একবার যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে সেক্ষেত্রে আপনি যদি পঞ্চম রোজা করেন তাহলে, পঞ্চম রোজাদার ব্যক্তিকে মক্কা নগরীর মসজিদে নামাজ পড়ার সওয়াব প্রদান করা হবে।

আরো পড়ুন: অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম 1 মিনিটে আইডি কার্ড তৈরি

ষষ্ঠম রোজার ফজিলত দলিল সহ

ষষ্ঠম রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানলে আপনারা অবাক হবেন। কারণ এই একটি রোজা রাখার কারণে আপনারা প্রচুর সওয়াব লাভ করতে পারবেন। হাদিসে রয়েছে যে ব্যক্তি ষষ্ঠম রোজা রাখবে তাকে, ফেরেশতাদের সাথে সেই সপ্তম আকাশের যে বায়তুল মামুর তাওয়াফ রয়েছে তার সওয়াব প্রদান করা হবে।

সপ্তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

আপনি কি জানেন সপ্তম রোজার ফজিলত কি? সপ্তম রোজার ফজিলত অনেক। আপনার প্রতিটি নিশ্চয়ই ফেরাউন এর কাহিনী শুনেছেন। আপনি যদি সপ্তম রোজা রাখেন তাহলে ফেরাউনের বিরুদ্ধে যে মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন তার সহযোগী হিসেবে আপনি সমান পরিমাণ সওয়াব লাভ করবেন।

অষ্টম রোজার ফজিলত দলিল সহ

অষ্টম রোজার ফজিলত অনেক। হাদিসে রয়েছে যে ব্যাক্তি ৩০ টি রোজার মধ্যে অষ্টম রোজা রাখবে তার ওপর হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রহমত সারাদিন বর্ষিত হবে। আলহাম–দুলিল্লাহ আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই অষ্টম রোজা রাখা।

নবম রোজার ফজিলত দলিল সহ

আপনি কি জানেন নবম রোজার ফজিলত কি? নবম রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। আমার মতে ৩০ টি রোজার মধ্যে সবচেয়ে সেরা একটি ফজিলত সম্পন্ন রোজা হল এই নবম রোজা। আমাদের নবীকে দেখার আমাদের প্রত্যেকের ইচ্ছা রয়েছে সেক্ষেত্রে আপনি যদি এই নবম রোজা রাখেন তাহলে নবী রাসুলদের সাথে দাঁড়িয়ে আপনি একসাথে ইবাদত করার সওয়াব লাভ করতে পারবেন।

দশম রোজার ফজিলত দলিল সহ

দশম রোজার ফজিলত অনেক। কোন রোজাদার ব্যক্তি যদি ৩০ রোজার মধ্যে এই দশম রোজা রাখে তাহলে সেই রোজাদার ব্যক্তিকে ইহকাল এবং পরকাল উভয়কালে কল্যাণ দান করা হবে।

১১তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

আপনি কি জানেন 11 তম রোজার ফজিলত দলিলসহ কি? ১১ তম পূজার ফজিলত সম্পর্কে কুরআন এবং হাদিসে দেওয়া রয়েছে যে, যে ব্যক্তি ১১ তম রোজা রাখবে তার মৃত্যু নবজাতকের মত নিষ্পাপ এবং শান্তির হবে।

১২ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

১২ তম রোজার ফজিলত অনেক। কোন রোজাদার ব্যক্তি যদি এই ১২ তম রোজা রাখে তাহলে সে প্রচুর কল্যাণ এবং সওয়াব লাভ করতে পারবে। হাদিসে রয়েছে বারো তম রোজা রাখলে, রোজাদার ব্যক্তির হাশরের ময়দানে চেহারা আকাশের পূর্ণিমার চাঁদের মতো ঝলমলে এবং উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

১৩ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন রোজার ফজিলত কি? প্রতিটি রোজার আলাদা আলাদা ফজিলত রয়েছে আপনি যদি ১৩ তম রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনি অবাক হয়ে পড়বেন। আমরা প্রত্যেকে জানি যে প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তিকে হাশরের ময়দানের সম্মুখীন হতে হবে।

আপনি যদি এই ১৩ তম রোজা রাখেন তাহলে হাশরের ময়দানে আপনাকে সৃষ্টিকর্তা সকল বিপদ আপদ এবং কষ্টকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করবে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত ১৩ তম রোজা রাখা

১৪ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

১৪ তম রোজা রাখলে রোজাদার ব্যক্তিদের হিসাব খাতা সহজ হবে। ১৪ তম রোজা রাখার ফজিলত অনেক হাদিসে এ বিষয়ে রয়েছে যে ব্যক্তি 14 তম রোজা রাখবে সেই রোজাদার ব্যক্তির হাশরের ময়দানে হিসাব খাতা অনেক বেশি সহজ করা হবে।

15 তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

আপনি কি জানেন ১৫ তম রোজার ফজিলত সম্পর্কে? 15 তম রোজার ফজিলত অনেক। যে রোজাদার ব্যক্তির ১৫ তম রোজা রাখবে সমস্ত ফেরেশতারা সেই রোজাদার ব্যক্তির জন্য সারাদিন পর্যন্ত দোয়া করতে থাকবে। আর ফেরেশতাদের দোয়া খুব ভাগ্যবান ব্যক্তিরাই পেয়ে থাকে। আপনি সে ভাগ্যবান ব্যাক্তির মধ্যে একজন হতে পারবেন যদি আপনি ১৫ তম রোজা রাখেন।

16 তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

আমরা অনেকে মনে করি শুধুমাত্র ২৮ তম রোজা এবং ২৭ তম রোজার ফজিলত রয়েছে কিন্তু অন্যান্য যার ফজিলত অনেক বেশি। আপনি যদি এই 16 তম রোজা রাখেন তাহলে হাদিসে রয়েছে যে ব্যক্তি 16 তম রোজা রাখবে তাকে সৃষ্টিকর্তা জাহান্নাম থেকে চিরতরে মুক্তি প্রদান করবে

এবং জান্নাতে স্থান করে দিবে। অতএব 16 তম এই রোজাটি আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য খুবই জরুরী আমাদের উচিত এই 16 তম রোজাটি অবশ্যই রাখা এতে আমরা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাব এবং জান্নাতে জায়গা পাব।

১৭ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

১৭ তম রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানলে আপনারা প্রত্যেকেই অবাক হবেন। ১৭ তম রোজার প্রতিরোধ এত বেশি যে আপনি যদি ১৭ তম এই রোযাটি রাখেন তাহলে একদিনের জন্য আপনি নবীদের মতো সমান সওয়াব লাভ করতে পারবেন।

১৮ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন ১৮ তম রোজার ফজিলত কি?? ১৮ তম রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে দেওয়া রয়েছে যে, যে ব্যক্তি ১৮তম রোজা রাখবে কিংবা 18 তম রোজাদার ব্যক্তি এবং তার বাবা-মার প্রতি সৃষ্টিকর্তা সন্তুষ্টি দেখাবে এবং তাদের পরিবারের বরকত দিবে।

১৯ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

১৯ তম রোজার ফজিলত অনেক। যে ব্যক্তি এ 19 তম রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানবে সে কখনোই আর এই ১৯ তম রোজাটি বাদ দিবে না। হাদিসে রয়েছে যে ব্যক্তি এই 19 তম রোজা রাখবে তাকে পৃথিবীর যত পাথর ছোট ছোট কঙ্কর টিলা রয়েছে সে সমস্ত পদার্থ গুলো রোজাদারের জন্য সারাদিন দোয়া করতে থাকবে।

২০ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

আপনি কি জানেন ২০তম রোজার ফজিলত কি? ২০ তম রোজার ফজিলত অনেক যে ব্যক্তি এই ২০ তম রোজা রাখবে তার জন্য হাদিসে দেওয়া রয়েছে রোজাদার ব্যক্তিকে সৃষ্টিকর্তার পথে যারা জীবন দেয় কিংবা শহীদ হয় তাদের

মত সমান পরিমাণ সওয়াব দান করা হবে। এক কথায় যারা ইসলামের পথে নিজেকে উৎসর্গ করে সৃষ্টিকর্তার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয় তাদের মত সমান পরিমাণ সওয়াব পাবে এই 20 তম রোজাদার ব্যক্তিরা।

২১ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

আপনি যদি এই ২১ তম রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানেন তাহলে আগামী থেকে আপনি আর কখনো একুশ তম রোজা বাদ দিবেন না যে কোন একটি রোজা বাদ দিলে আপনি সেই রোজার ফজিলত গুলো পাবেন না। যে ব্যক্তি ২১তম রোজা রাখবে

সেই রোজাদার ব্যক্তির জন্য একটি সুন্দর উজ্জ্বল জান্নাত সৃষ্টিকর্তা নির্মাণ করে দিবেন। অতএব সৃষ্টিকর্তার নিকট আমাদের প্রার্থনা এই যে, আমাদের প্রত্যেককে ২১ তম রোজা রাখার তৌফিক দান করুন।

২২ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

২২ তম রোজার ফজিলত অনেক। আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিদের কে হাশরের ময়দানে একদিন অবশ্যই যেতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনি যদি এই ২২ তম রোজা রাখেন তাহলে হাদিসে রয়েছে, ২২ তম রোজাদার ব্যক্তিদের হাশরের দিনে সকল ধরনের চিন্তা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।

২৩ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

২৩ তম রোজার ফজিলত হলো: যে ব্যক্তি ২৩ তম রোজা রাখবে কিংবা ”23 তম রোজাদার ব্যক্তির জন্য সৃষ্টিকর্তা জান্নাতে একটি আলাদাভাবে শহর নির্মাণ করে দিবেন” এই শহরটি হবে শুধুমাত্রই ২৩ তম রোজাদার ব্যক্তিদের জন্য। অতএব আমরা শুধুমাত্র একটি রোজা করার মাধ্যমেই জান্নাত হাসিল করতে পারব।

২৪ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

আপনি কি জানেন এই ২৪ তম রোজার ফজিলত কি? প্রতিটি রোজারই আলাদা আলাদা ফজিলত রয়েছে আপনি যদি এই ২৪তম রোজা রাখেন তাহলে হাদিসে রয়েছে, ”২৪ তম রোজাদার ব্যক্তির যেকোনো ২৪ টি দোয়া সৃষ্টিকর্তা অতি দ্রুত কবুল করবেন।”

আরো পড়ুন: সব ধরনের চাকরির অভিজ্ঞতা সনদ পত্রের নমুনা

২৫ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

২৫ তম রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানলে আপনারা সত্যি অবাক হয়ে পড়বেন। আমরা কবরের ভয়ে কত কান্না করি কত ইবাদত করি যেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের কবরের আজাব মাফ করে দেন সেক্ষেত্রে আপনি যদি ”এই ২৫ তম রোজা রাখেন তাহলে সৃষ্টিকর্তা আপনার কবরের শাস্তি চিরতরে বন্ধ করে দিবেন।”

২৬ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

আপনি কি জানেন 26 তম রোজার ফজিলত কি? আমরা অনেকেই নিশ্চয় শুনেছি যে ২৭ তম এবং ২৮ তম রোজার ফজিলত অনেক কিন্তু ২৬ তম রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানলে আপনি সত্যিই অবাক হবেন। ”যে রোজাদার ব্যক্তি এই 26 তম রোজা রাখবে তাকে সৃষ্টিকর্তা তার পিছের ৪০ বছরের সমস্ত গুনাহ খাতা মাফ করে দিবেন”।

২৭ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

27 তম রোজার ফজিলত অনেক। যে রোজাদার ব্যক্তি এ 27 তম রোজা রাখবে সেই রোজাদার ব্যক্তিকে খুব সহজেই পুলসিরাত পার করে দেওয়া হবে অর্থাৎ হাদিসে রয়েছে, ”যে ব্যক্তি ২৭ তম রোজা রাখবে তাকে চোখের পলকেই পুলসিরাতের রাস্তা পার করে দেওয়া হবে।”

২৮ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

আপনি কি জানেন এই ২৮ তম রোজার ফজিলত কি?? ২৮তম রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে রয়েছে যেই রোজাদার ব্যক্তি ৩০ টি রোজার মধ্যে ”এই ২৮ তম রোজা রাখবে তার জন্য সৃষ্টিকর্তা জান্নাতের নেয়ামত সমূহ কে আরও দুই গুণ বেশি বৃদ্ধি করে দিবেন।”

২৯ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

২৯ তম রোজার প্রতিরোধ সম্পর্কে হাদিসে বর্ণনা দেওয়া রয়েছে যে ”যে ব্যক্তি এই ২৯ তম রোজা রাখবে সেই ব্যক্তিকে এক দিনেই ১ হাজার কবুল হজ্জের সমপরিমাণ সওয়াব দেওয়া করা হবে।।”আমাদের প্রত্যেকের ইচ্ছা থাকে একদিন হজ পালন করার সে ক্ষেত্রে আপনি যদি এই ২৯ তম রোজা রাখেন তাহলে একদিনেই আপনি ১ হাজার তম কবুল হজের সমপরিমাণ সওয়াব পেয়ে যাবেন।

৩০ তম রোজার ফজিলত দলিল সহ

আপনি কি জানেন এই ৩০ তম রোজার ফজিলত কি? ৩০তম রোজা হল রমজান মাসের সবচেয়ে শেষ রোজা। সে ক্ষেত্রে হাদিসে রয়েছে যে ব্যক্তি এই ৩০ তম রোজা রাখবে সেই ব্যক্তির সম্পূর্ণ রমজান মাসের ফজিলত গুলো আরো দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হবে

অর্থাৎ যেমন ২৯ তম রোজা রাখলে আমরা ১ হাজার পরিমাণ কবুল হওয়ার সময় পরিমাণ সওয়াব লাভ করি ঠিক একই ভাবে যদি আপনি ৩০ তম রোজা রাখেন তাহলে সেখানে ১ হাজারের পরিবর্তে ২ হাজার পরিমাণ কবুল হজের সমান পরিমাণ সওয়াব লাভ করতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন যে এই ৩০ টি রোজার ফজিলত কি। আমরা অনেকে এতদিন জানতাম যে শুধুমাত্র ২৭ তম রোজা এবং ২৮ তম রোজার ফজিলত সবচেয়ে বেশি কিন্তু এ ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল প্রতিটি রোজার আলাদা আলাদা ফজিলত রয়েছে এবং প্রতিটি ফজিলত অনেক বেশি।

২৮ তম রোজার ফজিলত হলো জান্নাতের প্রতিটি নেয়ামত ২৮ তম রোজাদার ব্যক্তির জন্য দ্বিগুণ করে দেওয়া হবে পাশাপাশি ২৭তম রোজার ফজিলত হল যে ব্যক্তি এই ২৭তম রোজা রাখবে তার জন্য পুলসিরাতে রাস্তা পার হওয়া খুবই সহজ হয়ে যাবে।

এই দুইটি রোজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর পাশাপাশি বাকি রইল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি রোজার সব অনেক বেশি তাই আপনারা প্রত্যেকে চেষ্টা করবেন প্রতিটি রোজায় রাখার।। যেকোনো একটি রোজা যদি বাদ দেন তাহলে তার সবগুলো আপনিও লাভ করতে পারবেন না।

এই জন্য প্রতিটি রোজা রাখার চেষ্টা করবেন। সৃষ্টিকর্তা রোজা রাখা প্রতিটি মুমিন ব্যক্তির জন্য বাস্তব মূল্য করে দিয়েছেন তবে যদি কোন সমস্যা থাকে কিংবা অসুস্থ থাকেন সেক্ষেত্রে রোজা রাখার কোন প্রয়োজন নেই। ইসলাম সবচেয়ে সহজ ধর্ম এখানে কোন কিছু কোন ব্যক্তির উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।

আপনি যদি অসুস্থ থাকেন এই সময় আপনাকে রোজা রাখতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বরং ইসলামে দেওয়া রয়েছে যদি কোন ব্যক্তি অসুস্থ থাকে তাহলে তার রোজা রাখার কোন প্রয়োজন নেই। তবে একজন সুস্থ সবল ব্যক্তির জন্য রোজা রাখার জরুরী এতে সে ওপরের এই সকল সাওয়াব

গুলো লাভ করতে পারবে। অর্থাৎ যদি আপনি সম্পূর্ণ রমজান মাসে রোজা রাখেন তাহলে আপনার পিছের সমস্ত গুনাহের খাতা মাফ হয়ে যাবে আপনি হজের সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবেন আপনার পিছে সবগুলা খাতা মুছে ফেলতে পারবেন নিজেকে শুধরে নিতে পারবেন পুলসিরাতের রাস্তার সহজ করে দিতে পারবেন,

আপনার জন্য সৃষ্টিকর্তা আলাদা জান্নাতের শহর নির্মাণ করে দিবে , কবরের আজাব মাফ হয়ে যাবে ইত্যাদি এছাড়াও আরো অনেক সওয়াব লাভ করতে পারবেন। তাই আমাদের প্রত্যেকে রোজা রাখতে হবে। আশা করছি আপনারা সকলেই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এই ৩০ রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে।

সাওমের গুরুত্ব ও ফজিলত

আপনি কি সাওমের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান? সাউন্ড এটি একটি আরবি শব্দ সাউন্ড আরবি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে রোজা আমরা রমজান মাসে যে রোজাগুলো পালন করে থাকি একে আরবীতে সাউন্ড বলা হয়। রমজান মাস আমাদের প্রত্যেকের মুসলিম ব্যক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ

এই একটি মাসের উসিলাতে আমরা আমাদের পিছের সমস্ত গুনাহ খাতা মাফ করে ফেলতে পারব এবং কবরের আজাবকে কমিয়ে ফেলতে পারব পাশাপাশি আমরা চাইলে এই রোজা রাখার মাধ্যমে হজের সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করতে পারব।

আরো পড়ুন: সব ধরনের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম দেখে নিন

রমজান মাসের এই একমাস রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করতে পারব এবং নতুন একজন ব্যক্তির জন্ম দিতে পারব। এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রত্যেকের উপর এই রোজা রাখাকে ফরজ করেছেন। এই প্রসঙ্গতে সৃষ্টিকর্তা নিজে বলেছেন যে,”মুমিনগণ তোমাদের প্রত্যেকের ওপরে রমজান মাসের এই রোজা ফরজ করা হয়েছে,,,

ঠিক এভাবেই তোমাদের– পূর্ববর্তী উম্মতদের ওপর —ফরজ করা হয়েছিল এতে তোমরা —তাকওয়া এবং পরহেজগারীকে —লাভ করতে পারবে। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন যে রোজা রাখা আমাদের প্রত্যেকের জন্য কতটা জরুরী।

এখানে সৃষ্টিকর্তা নিজেই বলে দিয়েছেন যে আমাদেরকে রোজা রাখতে হবে এবং রোজা রাখা আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই রোজা রাখতেই হবে। এই রমজান মাস অত্যন্ত বরকতময় একটি মাস এই মাসের উছিলাতে আমাদের পিছের সকল গুনাহ খাতা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারব

ঠিক এই রমজান মাসেই আমাদের পবিত্র কুরআন মাজীদকে তৈরি করা হয়েছিল। আল কুরআন এর ভাষাতে এই রমজান মাসে এমন একটি মাস যা মানবজাতির দিশারী এবং আলোর পথ হিসেবে কাজ করে এই মাসে মানবকুল সত্যের পথ সম্পর্কে জানতে পারে।

এই রমজান মাসেই আমরা মুসলিমগণ পেয়েছি লাইলাতুল কদরের রাত যে রাতে সৃষ্টিকর্তার নিকট আপনি যদি কোন কিছু চেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আপনার মনের আশা কি আপনার চালাকে পূরণ করবে। এই সম্মানিত রাতকে সম্মান জানিয়ে রোজা রাখুন

এবং বেশি বেশি সৃষ্টিকর্তার জন্য ইবাদত করুন সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য লাভ করুন সৃষ্টিকর্তা নৈকট্য লাভ করুন। এই মাসের উছিলাতে আপনারা প্রত্যেকেই সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ করতে পারবেন আর যদি আপনি একবার সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য পেয়ে যান তাহলে আপনার আর কাউকে পাওয়ার কোন প্রয়োজন হবে না।

এই রমজান মাসের ফজিলত অনেক বেশি যদি কোন রোজাদার ব্যক্তি রমজান মাসের প্রতিটি রোজা রাখে তাহলে ”সে ব্যক্তির পিছের চল্লিশ বছরের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে”, ”সে খুব সহজে পুলসিরাতের রাস্তা পার করে যেতে পারবে”,”তার জন্য সৃষ্টিকর্তা জান্নাতে আলাদা একটি শহর তৈরি করবে”

এবং ”জান্নাতের প্রতিটি নেয়ামত তার জন্য দ্বিগুণ হয়ে পড়বে”। এছাড়াও রোজাদার ব্যক্তিরা আরো অনেক সওয়াব লাভ করতে পারবে যেমন ১ হাজার কবুল হজের পরিমাণ সওয়াব লাভ করতে পারবে। এই রমজান মাসের প্রজাত সম্পর্কে জানলে

আপনারা আর আগামীতে কখনো একটি রোজাও বাদ দিবেন না আশা করছি আপনারা সকলেই নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন সাওমের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে।। এবার চলুন আমরা দেখে আসি রোজা রাখার উপকারিতা গুলো।

রোজা রাখার উপকারিতা

আপনার অনেকে নিশ্চয় মনে করেন রোজা রাখলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোজা রাখার কারণে বিভিন্ন রোগবালাই তৈরি হয় কিন্তু এই ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল রোজা রাখার মাধ্যমে একদিকে যেমন আপনারা সৃষ্টিকর্তা থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি সওয়াব লাভ করতে পারবেন আরেকদিকে আপনাদের শরীর সুস্থ থাকবে।

বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে রোজাদার ব্যক্তিরা অথবা যখন কোন ব্যক্তি রোজা রাখে তখন তার শরীর থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক এনজাইম এবং উপাদানগুলো বেরিয়ে যায়। যখন আমরা রোজা রাখি তখন

আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকারক এনজাইম ক্ষতিকারক উপাদান যা স্বাস্থ্য জনক ক্ষতিকর এইগুলো নষ্ট হয়ে যায়। সারাদিন খালি পেটে থাকার কারণে এই ক্ষতিকারক উপাদান গুলো থেকে আমরা মুক্তি পাই।

ইসলামে এমন কিছুই নেই যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে ইসলামের প্রতিটি জিনিস আমাদের জন্য উপকারী এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিচে দেখে নিন রোজা রাখার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে।

রোজা রাখার উপকারিতা

  • রোজা রাখলে শরীরের থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন গুলো বেরিয়ে যাই।
  • রোজা রাখলেন সেহরিতে এবং ইফতারের পুষ্টিকর খাবারের প্রাধান্য দিয়ে আপনি খুব সহজে আপনার ওজনকে কমাতে পারবেন।
  • চিকিৎসাবিদ বলেন রোজা রাখলে উচ্চ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমতে শুরু করে এতে উচ্চ রক্তচাপ কমে যাবে।
  • রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে এটি সৃষ্টিকর্তার কুদরত।
  • বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে রুবেল থাকাকালীন অবস্থায় আমাদের ব্রেইনে স্ট্রেস হরমন কমে যায় এতে ব্রেনের কার্যকারিতা বাড়ে এবং আমরা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাই।
  • লক্ষ্য করে দেখুন অন্যান্য দিনে যখন আমরা না খেয়ে থাকি তখন আমাদের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয় মাথা ব্যথা কিছু নিয়ে চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি কিন্তু যখন আপনি রোজা রাখবেন তখন আপনার এমন কোন সমস্যা দেখা যাবে না।

রোজা রাখা শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয় এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আশা করছি আপনারা সকলেই নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন রমজান মাসে রোজা রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে এবং রোজা রাখার উপকারিতা সম্পর্কে রোজা রাখলে আপনারা উপরের এই সকল উপকারিতা সমূহ লাভ করতে পারবেন।

যারা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রয়েছেন কিংবা উচ্চ কোলেস্টেরল এ সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত রোজা রাখুন এতে উচ্চ রক্তচাপ এর ঝুঁকি কমে যাবে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন গুলো বেরিয়ে যাবে। আশা করছি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন রোজা রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি রোজা রাখলে কি ওজন কমে?

রোজা রাখলে কি ওজন কমে

অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন রোজা রাখলে কি ওজন কমে নাকি? যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন তারা এই পবিত্র রমজান মাসের উসিলাতে নিজের ওজনকে কমিয়ে ফেলতে পারবেন যখন আমরা সারাদিন না খেয়ে থাকি তখন আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট গুলো কমতে শুরু করে এতে আপনারা ওজন কমাতে পারবেন।

আরো পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদের জন্য আবেদন পত্র তৈরি করার নিয়ম

আর যারা রমজান মাসে ওজন কমা নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন অর্থাৎ আগে থেকে ওজন কম আবার রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে যদি আরো ওজন কমে যায় এইভাবে আপনার রোজা রাখতে পারছে না তাদের জন্য এটি সুখবর দেই, আপনি যদি রমজান মাসে ইফতারিতে এবং সেহরিতে হালকা ফ্যাট জাতীয় খাবার গ্রহণ করেন তাহলে আপনার ওজন কমবে না বরং এটি আরো পারফেক্ট হতে শুরু করবে।

রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে?

অনেকের মনেই এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে! যে রমজান মাস কবে শুরু হবে? বাংলাদেশের ২০২৫ সালে এবার রমজান মাস শুরু হবে মার্চ মাসের ২ তারিখ রবিবার থেকে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম নগরী সৌদি আরবের শুক্রবারে ২৮ তারিখে আকাশের রমজানের চাঁদ দেখা গেছে যার ফলে শুক্রবারে প্রথম তারাবি অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং মার্চ মাসের এক তারিখে একটি রোজা পালন করা হচ্ছে।

প্রতিবছর বাংলাদেশের সৌদি আরবের পরের দিন ঈদ পালন করা হয় এবং সৌদি আরবের পরের দিন রমজান এর রোজা পালন করা হয় সেক্ষেত্রে যদি শনিবারে সৌদি আরবে প্রথম রোজা অনুষ্ঠিত হয় তাহলে বাংলাদেশে প্রথম রোজা অনুষ্ঠিত হবে রবিবারে।

মার্চ মাসের ২ তারিখ রবিবারে রমজান মাসের প্রথম রোজা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আপনাদের প্রত্যেককে রমজান মাসের অনেক অনেক অনেক বেশি শুভেচ্ছা জানাই।

বাংলাদেশে ২০২৫ ঈদুল ফিতর কবে

আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন যে বাংলাদেশের 2025 সালে ঈদুল ফিতর কবে উদযাপিত হবে? আমরা প্রত্যেকে জানি যে রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। একমাস রোজা রাখার পরে পবিত্র ঈদুল আযহার আনন্দে আমরা প্রত্যেকে মেতে উঠি। আমাদের প্রত্যেকের মনে আলাদা একটি আনন্দ দেখতে পাওয়া যায় এই ঈদুল ফিতরকে ঘিরে।

ঈদুল ফিতর নির্ভর করে আকাশে চাঁদ দেখার উপর। যদি ৩০ টা রোজা পূর্ণ হয় তবে ঈদ ১ এপ্রিল বাংলাদেশ উদযাপিত হবে আর যদি ৩০ টা রোজা পূর্ণ না হয় এবং ২৯টা রোজার পরে ঈদ উদযাপিত হয় তাহলে ৩১ মার্চ বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশে 2025 সালে ঈদুল ফিতর কবে উদযাপিত হবে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ আলোচনা করা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে ত্রিশ রোজা পরিবারসহ রোজা রাখার গুরুত্ব এবং উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করলাম।

আপনারা অনেকে হয়তো মনে করেন শুধুমাত্র আটাশ এবং ২৮ রোজার ফজিলত রয়েছে তাছাড়া বাকি রোজার কোন ফজিলত নেই থাকলেও অনেক কম কম কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুলের ফজিলত অনেক বেশি তাই প্রতিটি রোজা আমাদেরকে রাখতে হবে যে কোন একটি রোজা বাদ দিলে আমরা সে রোজার ফজিলত গুলো আর লাভ করতে পারবোনা।

প্রতিটি রোজার আলাদা আলাদা প্রচুর ফজিলত রয়েছে এই ফজিলত গুলো পাওয়ার জন্য আমাদেরকে রোজা রাখতে হবে। প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তির উপর রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তিদের কে রোজা রাখতেই হবে। সৃষ্টিকর্তা নিজেই বলেছেন আমাদের উপর রোজা ফরজ তাই আমাদের উচিত রোজা রাখা।

অনেকে মনে করেন রোজা রাখলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে এবং রোগবালাই তৈরি হবে কিন্তু এ ধারনাগুলো সম্পূর্ণ ভুল রোজা রাখার পরে আপনার শরীর থেকে খারাপ টক্সিন গুলো বেরিয়ে যাবে এতে আপনার স্বাস্থ্য আরও ভালো থাকবে তাই রোজা রাখার পরে আমাদের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন রোজা রাখার গুরুত্ব এবং রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে একটি কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন আর বন্ধু-বান্ধবের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করুন এতে তারাও ৩০ রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারবে।৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ রোজা না রাখলে ভয়ংকর ক্ষতি হবে

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *